আমার আজকের এই লেখাটি হলো ‘কিশোর কন্ঠ’ পত্রিকা সম্পর্কে। অনেক কিশোর-কিশোরীর কাছেই নামটি পরিচিত হলেও এই পত্রিকাটির সূচনা কীভাবে হয়েছিল, কারা ছিলেন এই পত্রিকার প্রথম সম্পাদক, কেন এর নাম ‘কিশোর কন্ঠ’ রাখা হয়েছিল, এর উদ্দেশ্য কী ছিল এবং এই পত্রিকাটির প্রভাব ও অবদান কী ছিল এই বিষয়গুলো হয়তো অনেকেরই অজানা। তবে এই লেখাটি পড়ার পর আপনারা ‘কিশোর কন্ঠ’ পত্রিকাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কিশোর কন্ঠ পত্রিকার জন্মকথা
কিশোর কন্ঠ পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৪ সালের ৬ই জানুয়ারি। প্রথমে এটি প্রকাশিত হতো মাসিক পত্রিকা হিসেবে। পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আব্দুল হক এবং এটির প্রথম সম্পাদক ছিলেন আবুল মনসুর আহমেদ। পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হওয়ার সময় এর দাম ছিলো মাত্র আধা টাকা।
কিশোর কন্ঠ পত্রিকার উদ্দেশ্য ছিলো কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা, তাদের জ্ঞানবৃদ্ধি করা এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন চেতনার সৃষ্টি করা। পত্রিকাটিতে ছোটদের জন্য উপযোগী বিভিন্ন বিষয়, যেমন কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, বিজ্ঞানের বিষয়াবলি, খেলাধুলা, ইত্যাদি প্রকাশিত হতো।
পত্রিকাটির নামকরণ করেন আব্দুল হক। তিনি পত্রিকাটির নাম করার সময় কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে চেতনা সৃষ্টি করার ব্যাপারটি সামনে রেখেছিলেন। তিনি মনে করতেন, কিশোর-কিশোরীরা ভবিষ্যতের আশা আর সম্ভাবনা। তাদের মধ্যে চেতনা সৃষ্টি করতে পারলে তারা দেশ ও জাতির জন্য ভালো কিছু করতে পারবে।
কিশোর কন্ঠের প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন?
একজন কিশোর হিসাবে, আমার বাংলা সাহিত্য প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা ছিল। কিশোর কণ্ঠ ছিল এমন একটি পত্রিকা যা আমার মতো তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা এবং আনন্দ দিয়েছিল।
কিশোর কন্ঠ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি ১৯২৩ সালে ‘কিশোর কন্ঠ’ পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠা করেন। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত একজন শিশুসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং সমাজকর্মী ছিলেন। তিনি শিশুদের জন্য অনেক গান, কবিতা এবং গল্প লিখেছেন। তিনি শিশুশিক্ষার প্রসারে অবদান রেখেছেন। তার সম্পাদনায় কিশোর কন্ঠ পত্রিকা কিশোরদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
কিশোর কন্ঠের নামকরণ প্রক্রিয়া
একজন কিশোর হিসাবে, আমার বাংলা সাহিত্য প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা ছিল। কিশোর কণ্ঠ ছিল এমন একটি পত্রিকা যা আমার মতো তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা এবং আনন্দ দিয়েছিল।
কিশোর কন্ঠ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি ১৯২৩ সালে ‘কিশোর কন্ঠ’ পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠা করেন। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত একজন শিশুসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং সমাজকর্মী ছিলেন। তিনি শিশুদের জন্য অনেক গান, কবিতা এবং গল্প লিখেছেন। তিনি শিশুশিক্ষার প্রসারে অবদান রেখেছেন। তার সম্পাদনায় কিশোর কন্ঠ পত্রিকা কিশোরদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
কিশোর কন্ঠের উদ্দেশ্য কী ছিল?
কিশোর কন্ঠ বাংলা ভাষার একটি দ্বি-সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল, যা প্রধানত ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রকাশিত হত। এটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তরুণদের একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা যেখানে তারা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে, বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে এবং তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারে। পত্রিকাটি তরুণদের মধ্যে জাতীয় সচেতনতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং নেতৃত্বের গুণাবলি গড়ে তুলতেও ভূমিকা রাখত। কিশোর কন্ঠ তরুণদের জন্য একটি মূল্যবান সংস্থান ছিল, এটি তাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং বৌদ্ধিক বিকাশে সহায়তা করেছিল।
কিশোর কন্ঠের প্রভাব ও অবদান
কিশোর কন্ঠ পত্রিকাটি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু কর্তৃক নামকরণ করা হয়েছিল। এটি একটি বাংলা ভাষার মাসিক পত্রিকা যা কিশোরদের জন্য প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২৪ সালের ১লা জানুয়ারি। কিশোর কন্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পত্রিকাটির বর্তমান সম্পাদক হলেন জনাব রাহুল দেব।
কিশোর কন্ঠ পত্রিকাটি কিশোরদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগানোর উদ্দেশ্যে প্রকাশিত হয়েছিল। এই পত্রিকাটি কিশোরদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে যেখানে তারা তাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারে। কিশোর কন্ঠ পত্রিকাটি কিশোরদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্যারিয়ার এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। এই পত্রিকাটি কিশোরদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস এবং তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে।
Leave a Reply