এসি বিদ্যুৎকে ডিসিতে রূপান্তর করার যন্ত্র: বিস্তারিত নির্দেশনা

এসি বিদ্যুৎকে ডিসিতে রূপান্তর করার যন্ত্র: বিস্তারিত নির্দেশনা

আমার মনে হয়, ইলেকট্রিসিটি নিয়ে কাজ করার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল কারেন্ট সম্পর্কে জানা। কারণ, এটিই সেই শক্তি যা আমাদের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস চালাতে সাহায্য করে। আর এই কারেন্ট দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটা হল ডিসি বা ডাইরেক্ট কারেন্ট এবং আরেকটি হল এসি বা অল্টারনেটিং কারেন্ট। তবে এগুলি কী এবং কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে। আর আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এই দুই ধরনের কারেন্ট সম্পর্কেই বিস্তারিত জানব। এছাড়াও রেক্টিফায়ার কী, তা কীভাবে কাজ করে এবং এর কী ধরনের রয়েছে সে সম্পর্কেও আমরা জানব। তাই, যদি তুমিও এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকো, তাহলে আমার সঙ্গে থাকো এবং এই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ো।

এসি কারেন্ট

এসি বিদ্যুৎকে ডিসি’তে রূপান্তরিত করতে রেক্টিফায়ার নামক একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। রেক্টিফায়ার একটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস যা এসি বিদ্যুতের একমাত্র অর্ধেক অংশকে প্রবাহিত করার অনুমতি দেয়, যার ফলে ডিসি বিদ্যুৎ তৈরি হয়। রেক্টিফায়ার বিভিন্ন প্রকারের রয়েছে, যেমন ডায়োড, থাইরিস্টর, এবং সিলিকন-নিয়ন্ত্রিত রেক্টিফায়ার (SCR)। ডায়োড সবচেয়ে সহজ এবং সাধারণ ধরনের রেক্টিফায়ার। এটি একটি আধা-পরিবাহী ডিভাইস যা বিদ্যুতকে শুধুমাত্র একটি দিকে প্রবাহিত করার অনুমতি দেয়। থাইরিস্টর এবং SCR উভয়ই আরও উন্নত প্রকারের রেক্টিফায়ার যা অ্যাসি বিদ্যুতের প্রবাহকে আরও সূক্ষ্মভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হতে পারে।

ডিসি কারেন্ট

একমাত্র যন্ত্র যা AC বিদ্যুৎকে DC তে রূপান্তরিত করে তা হল ডায়োড। আর এই ধর্মের কারণে ডায়োডকে রেকটিফায়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডায়োড হল একটি দ্বি-টার্মিনাল ইলেক্ট্রনিক উপাদান যা একটি দিক থেকে অন্য দিকে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে দেয়।

যখন ডায়োড পুর্নিমাসত্ত্ব (ফরোয়ার্ড বাইয়াসড) অবস্থায় থাকে, তখন এটি একটি কম প্রতিরোধের পাথ অফার করে এবং এটি বিদ্যুৎ প্রবাহকে অনুমতি দেয়। অন্যদিকে, যখন ডায়োড বিপরীতমুখী (রিভার্স বাইয়াসড) অবস্থায় থাকে, তখন এটি একটি উচ্চ প্রতিরোধের পাথ অফার করে এবং এটি বিদ্যুৎ প্রবাহকে বাধা দেয়।

See also  প্রকৃতির রানি: কোন জেলাটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জেলা?

আসুন এটিকে একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝি। ধরুন, একটি ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে একটি AC বিদ্যুৎ উৎস একটি ডায়োডের সাথে সংযুক্ত। যখন AC বিদ্যুৎ চক্রের পুর্নিমাসত্ত্ব অর্ধচক্রে থাকে, ডায়োডটি পুর্নিমাসত্ত্ব বাইয়াসড হয়ে যায় এবং এটি বিদ্যুৎ প্রবাহকে অনুমতি দেয়। ফলস্বরূপ, একটি ডিসি বিদ্যুৎ প্রবাহ ডায়োডের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। যখন AC বিদ্যুৎ চক্রের বিপরীতমুখী অর্ধচক্রে থাকে, ডায়োডটি বিপরীতমুখী বাইয়াসড হয়ে যায় এবং এটি বিদ্যুৎ প্রবাহকে বাধা দেয়। ফলস্বরূপ, কোন ডিসি বিদ্যুৎ প্রবাহ ডায়োডের মাধ্যমে প্রবাহিত হয় না।

এভাবে, ডায়োড AC বিদ্যুৎ চক্রের পুর্নিমাসত্ত্ব অর্ধচক্র থেকে ডিসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এই ধর্মকে রেকটিফিকেশন প্রক্রিয়া বলা হয়।

রেকটিফায়ার কি?

রেকটিফায়ার হল একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা বিকল্প বিদ্যুৎ (AC) কে সরাসরি বিদ্যুৎ (DC) এ রূপান্তরিত করে। এটি বিভিন্ন বৈদ্যুতিক ডিভাইস এবং সিস্টেমে ব্যবহৃত হয় যা AC বিদ্যুতের সাথে সরাসরি কাজ করতে পারে না। রেকটিফায়ার মূলত ডায়োড নামক একটি ইলেকট্রনিক উপাদান ব্যবহার করে। ডায়োডটি একটি একমুখী ভাল্বের মতো কাজ করে, যা বিদ্যুতকে শুধুমাত্র একটি দিকে প্রবাহিত হতে দেয়।

যখন AC বিদ্যুৎ একটি রেকটিফায়ারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, ডায়োডগুলি শুধুমাত্র একটি দিকে প্রবাহিত হতে দেয়, যা নেতিবাচক থেকে ধনাত্মক দিকে। এর ফলে AC বিদ্যুতের একটি কম্পনশীল সরাসরি বিদ্যুৎ তরঙ্গ তৈরি হয়, যেখানে তরঙ্গের একটি অর্ধেক সাইকেল ধনাত্মক এবং অন্য অর্ধেক সাইকেল ঋণাত্মক। এই কম্পনশীল DC বিদ্যুৎ তারপর আরও ফিল্টার করা বা মসৃণ করা যেতে পারে যাতে একটি মসৃণ DC বিদ্যুৎ তরঙ্গ তৈরি করা যায় যা বেশিরভাগ বৈদ্যুতিক ডিভাইস দ্বারা ব্যবহার করা যেতে পারে।

রেকটিফায়ারের ধরন

রেকটিফায়ার হল একটি যন্ত্র যা AC বিদ্যুৎকে DC বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে। এই প্রক্রিয়াটি রেক্টিফিকেশন নামে পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের রেকটিফায়ার রয়েছে, তবে সবচেয়ে সাধারণ ধরন হল ডায়োড রেকটিফায়ার। ডায়োড রেকটিফায়ার এক দিকে বিদ্যুৎ প্রবাহ করতে দেয় এবং অন্য দিকে প্রবাহকে বাধা দেয়। এটি সাধারণত একটি সিলিকন বা জার্মেনিয়াম ডায়োড দিয়ে তৈরি হয়।

See also  লেখকরা কেন ছদ্মনাম ব্যবহার করেন? এর কারণগুলো খুঁজে বের করুন!

ডায়োড রেকটিফায়ারের পাশাপাশি, অন্যান্য ধরনের রেকটিফায়ার রয়েছে যেমন থাইরিস্টর রেকটিফায়ার, সিলিকন-নিয়ন্ত্রিত রেকটিফায়ার (SCR), এবং ত্রিয়েক বা মাল্টিফেজ রেকটিফায়ার। এই রেকটিফায়ারগুলির প্রত্যেকটির রেক্টিফিকেশন প্রক্রিয়ার নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে।

যে কোনও নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনের জন্য সেরা ধরনের রেকটিফায়ার নির্বাচন করার সময়, কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ, যেমন ইনপুট ভোল্টেজ, আউটপুট কারেন্ট, দক্ষতা এবং ব্যয়।

রেকটিফায়ারের কাজের পদ্ধতি

রেকটিফায়ার হলো একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যা বিকল্প তড়িৎ প্রবাহকে (AC) সরাসরি তড়িৎ প্রবাহে (DC) রূপান্তর করে। এটি করার জন্য, রেকটিফায়ার ডায়োড ব্যবহার করে, যা তড়িৎ প্রবাহকে একটি দিক থেকে অন্য দিকে প্রবাহিত করতে দেয়। যখন একটি AC তরঙ্গ রেকটিফায়ারের মধ্যে প্রবেশ করে, তখন ডায়োডগুলি শুধুমাত্র তরঙ্গের ধনাত্মক অর্ধচক্রকে প্রবাহিত করতে দেয়। এটি একটি পালসেটেড DC আউটপুট তৈরি করে, যা তারপরে একটি ক্যাপাসিটরের মাধ্যমে ফিল্টার করা যেতে পারে একটি মসৃণ DC আউটপুট তৈরি করতে।

রেকটিফায়ার বিভিন্ন আকারে এবং আকারে আসে এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু সাধারণ অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে রয়েছে পাওয়ার সাপ্লাই, बैटरी चार्जर এবং মোটর স্টার্টার। রেকটিফায়ারের সর্বাধিক সাধারণ প্রকারগুলির মধ্যে একটি হল ডায়োড ব্রিজ রেকটিফায়ার, যা চারটি ডায়োড ব্যবহার করে একটি পূর্ণ-তরঙ্গ রেকটিফায়ার তৈরি করতে। অন্যান্য প্রকারের রেকটিফায়ারগুলির মধ্যে রয়েছে হাফ-ওয়েভ রেকটিফায়ার, সেন্টার-ট্যাপ রেকটিফায়ার এবং ভোল্টেজ মাল্টিপ্লায়ার।

রেকটিফায়ারগুলি অত্যন্ত দরকারী ডিভাইস যা বহু অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহার করা যেতে পারে। তারা সাধারণত অপেক্ষাকৃত সস্তা এবং নির্ভরযোগ্য এবং সহজেই পাওয়া যায়।

রেকটিফায়ারের ব্যবহার

রেকটিফায়ার হল একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যা বিকল্প বিদ্যুৎ (AC) কে সরাসরি বিদ্যুৎ (DC) তে রূপান্তরিত করে। আমরা জানি যে, বিকল্প বিদ্যুৎ একটি বিদ্যুৎস্রোত যা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর এর দিক পরিবর্তন করে। অপরদিকে সরাসরি বিদ্যুৎ একটি বিদ্যুৎস্রোত যা একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হয়। রেকটিফায়ারসমূহ বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে, যেমন ডায়োড, থাইরিস্টর এবং ট্রায়াক। সহজে বোঝার জন্য, একটি ডায়োডের কথা বলা যাক। একটি ডায়োড হল একটি দুই-টার্মিনাল ডিভাইস যা বিদ্যুৎকে শুধুমাত্র একটি দিকে প্রবাহিত করতে দেয়। যখন একটি ডায়োড একটি AC সার্কিটে সংযুক্ত করা হয়, তখন এটি AC এর একটি অর্ধচক্রকে অবরুদ্ধ করে এবং শুধুমাত্র অন্য অর্ধচক্রকে প্রবাহিত করতে দেয়। এটি একটি পালসেটিং DC সার্কিট তৈরি করে, যা একটি ক্যাপাসিটর দ্বারা ফিল্টার করা যেতে পারে যাতে একটি মসৃণ DC সার্কিট তৈরি করা যায়।

See also  ইংরেজির ইতিহাসে লুকিয়ে আছে ‘ইংরেজি’ নামের রহস্য

Rani Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *