আমি দীর্ঘদিন ধরেই ইতিহাসের ঘটনা নিয়ে লিখছি। তবে এবারের লেখাটি কিছুটা ব্যতিক্রম। এই লেখায় আমি বিসি ক্যালেন্ডারের কথা বলবো। ক্রিস্টপূর্ব ক্যালেন্ডার কীভাবে এলো, এর শুরু ও শেষ সময় কী, কীভাবে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের সময়ে এটি গণনা করা হয়েছিল, বিসি ক্যালেন্ডারের বিভিন্ন ব্যবহার কী, এসব বিষয় নিয়েই আজকের লেখা। আমি আশা করি এই লেখাটি পড়ার পর বিসি ক্যালেন্ডার নিয়ে আপনাদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর মিলবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
ক্রিস্টপূর্ব শুরু ও শেষের অর্থ
ছড়াটির প্রচলন ও প্রভাব
“খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো, বর্গী এলো দেশে” এই ছড়াটি বাংলা সাহিত্যে একটি অমর রচনা। এটি লিখেছেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। ছড়াটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪২ সালে ‘কবিতা’ পত্রিকায়। এই ছড়াটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে। কারণ, এটি একটি প্রতিবাদী সুরে রচিত ছিল এবং এটি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করেছিল।
এই ছড়াটির ভাষা খুবই সরল এবং সহজবোধ্য। তবে এর অর্থ খুব গভীর। এই ছড়াটির প্রথম পংক্তিতে কবি বলছেন, “খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো”। এর অর্থ হলো, দেশের সবাই ঘুমিয়ে আছে, কেউ কিছুই করছে না। এরপর দ্বিতীয় পংক্তিতে কবি বলছেন, “বর্গী এলো দেশে”। এর অর্থ হলো, শত্রুরা দেশে হানা দিয়েছে। তৃতীয় পংক্তিতে কবি বলছেন, “কোথায় যাবে খোকা দুখী”। এর অর্থ হলো, বিপদের সময় যাবে কোথায়? চতুর্থ পংক্তিতে কবি বলছেন, “শত্রু এসেছে দেশে”। এর অর্থ হলো, শত্রুরা দেশ দখল করে নিয়েছে।
এই ছড়াটির শেষ পংক্তিতে কবি বলছেন, “ওরে আমার দেশের মাটি”। এর অর্থ হলো, দেশের মানুষ দেশের জন্য কিছুই করছে না। তারা শুধু ঘুমিয়ে আছে। তাই শত্রুরা এসে তাদের দেশ দখল করে নিয়েছে।
ক্রিস্ট পূর্ব শুরুর সাল
খ্রিস্টপূর্ব কালপঞ্জী শুরু হয় শূন্য দিয়ে। অর্থাৎ, খ্রিস্টজন্মের ঠিক এক বছর পূর্বেই ক্রিস্টপূর্ব এক বছর। এর আগে যে সময়টা ছিল সেটা ক্রিস্টপূর্ব দুই বছর, এর আগেরটা তিন বছর, ইত্যাদি করে নিখুঁত শূন্য পর্যন্তই ক্রিস্টপূর্ব বর্ষপঞ্জীর ধারা প্রসারিত।
শুধু তাই নয়, খ্রিস্টপূর্ব শূন্য বছরও নেই। খ্রিস্টপূর্ব এক বছরের পরে সরাসরি আসে খ্রিস্টপূর্ব এক বছর। এটা বেশ অদ্ভূত শোনালেও, বিষয়টা আসলে এমনটাই।
ক্রিস্ট পূর্ব শেষের সাল
খ্রিস্টপূর্ব শেষের সাল, অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতাব্দী, ছিল আমাদের সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়টি আজকের পঞ্জিকার শুরুর তারিখ হিসাবে ব্যবহৃত হওয়া গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের প্রবর্তনের সাক্ষী হয়েছিল। এই সময়টিতে রোমান সাম্রাজ্যেরও অভ্যুত্থান ঘটেছিল, যা পশ্চিমা বিশ্বের ইতিহাসে একটি প্রভাবশালী শক্তি হয়ে ওঠে। খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতাব্দী কৃষি, প্রযুক্তি এবং বাণিজ্যে অগ্রগতির একটি সময়ও ছিল, যা আমাদের আধুনিক বিশ্বকে আকার দিতে সাহায্য করেছে। এই সময়টি সমৃদ্ধি এবং প্রগতির একটি যুগ ছিল, যা আজও আমাদের প্রভাবিত করে চলেছে।
বিসি ক্যালেন্ডার এবং এর ব্যবহার
খ্রিস্টপূর্ব ক্যালেন্ডারটি আমি গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডারের আগে ব্যবহার করতাম। খ্রিস্টজন্মের আগে থেকে সময় নির্দেশ করার জন্য এটি ব্যবহৃত হত। খ্রিষ্টপূর্ব ক্যালেন্ডারে, বছরগুলিকে খ্রিস্টজন্মের বছর থেকে উল্টো দিকে গণনা করা হয়। যেমন, খ্রিস্টপূর্ব ১০০ সাল হল খ্রিস্টজন্মের ১০০ বছর আগে। খ্রিস্টপূর্ব ক্যালেন্ডারে ০ বছর নেই, তাই খ্রিস্টপূর্ব ১ সালের পরে আসে খ্রিস্টাব্দ ১ সাল। খ্রিষ্টপূর্ব ক্যালেন্ডারটি এখনও কিছু প্রসঙ্গে, যেমন ঐতিহাসিক ঘটনাগুলিকে তারিখ করতে ব্যবহৃত হয়।
ক্রিস্টোফার কলম্বাসের সময় কীভাবে ক্রিস্ট পূর্ব শুরু হয়েছিল তা গণনা করা হয়েছিল
ক্রিস্টোফার কলম্বাসের সময় ক্রিস্ট পূর্ব কত সাল থেকে শুরু হলো তা গণনা করতে হলে আমাদের কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, ক্রিস্ট পূর্ব এবং ক্রিস্টাব্দ হলো দুটি আলাদা সময়কাল। ক্রিস্ট পূর্ব হলো যীশু খ্রিস্টের জন্মের আগেকার সময়কাল এবং ক্রিস্টাব্দ হলো যীশু খ্রিস্টের জন্মের পরবর্তী সময়কাল। দ্বিতীয়ত, ক্রিস্টোফার কলম্বাসের জন্ম হয়েছিল ১৪৫১ সালে, যা ক্রিস্টাব্দের একটি তারিখ। তাই, ক্রিস্টোফার কলম্বাসের সময় কোনো ক্রিস্ট পূর্বের তারিখ হতে পারে না।
এখন, যদি আমরা ধরে নিই যে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের জন্মের সময় ক্রিস্ট পূর্ব 1 সাল ছিল, তাহলে আমরা দেখতে পাব যে তার জন্মের সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় 2023 বছর অতিবাহিত হয়েছে। এটি স্পষ্টতই সম্ভব নয়, কারণ আমরা জানি যে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের জন্ম ১৪৫১ সালে হয়েছিল।
তাই, আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের সময় ক্রিস্ট পূর্ব কোনো তারিখ থেকে শুরু হয়নি। এটি ক্রিস্টাব্দের একটি তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল, যা ১৪৫১ সাল।
খ্রিস্ট পূর্ব যুগের গুরুত্ব
খ্রিস্টপূর্বযুগের গুরুত্ব
খ্রিস্টপূর্ব যুগটি মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল। এটি মানব সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং আমাদের আজকের বিশ্বকে আকার দিতে সাহায্য করেছে। এই যুগটিতে মানুষ কৃষি, লিখন, এবং ধাতববিদ্যা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন করেছিল। আমরা যদি আমাদের বর্তমান জগতকে আরও ভালভাবে বুঝতে চাই, তাহলে আমাদের খ্রিস্টপূর্ব যুগের গুরুত্ব সম্পর্কে জানা அவசியம்।
Leave a Reply