গ্রিনল্যান্ড কি ডেনমার্কের অংশ? জেনে নিন গ্রিনল্যান্ডের রহস্যময় ইতিহাস

গ্রিনল্যান্ড কি ডেনমার্কের অংশ? জেনে নিন গ্রিনল্যান্ডের রহস্যময় ইতিহাস

আমি আজকে তোমাদের গ্রিনল্যান্ড নিয়ে একটা ব্লগ পোস্ট লিখতে যাচ্ছি। অনেকেই জানে না যে গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের অংশ। আজ এই লেখায় আমি আলোচনা করব গ্রিনল্যান্ড কীভাবে ডেনমার্কের অন্তর্ভুক্ত হলো, তাদের ইতিহাস ও উপনিবেশিকতা, ডেনমার্কের সঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসন এবং সম্পর্কের ইতিহাস, গ্রিনল্যান্ডের যেটুকু স্বীকৃতি আছে তার ব্যাখ্যা, সীমাবদ্ধ স্বীকৃতির প্রভাব এবং গ্রিনল্যান্ডের ভবিষ্যত অবস্থা কী হতে পারে।

গ্রিনল্যান্ড কী ডেনমার্কের অন্তর্ভুক্ত?

গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্ক রাজ্যের স্বায়ত্তশাসিত অংশ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ, যার আয়তন প্রায় ২২ লাখ বর্গ কিলোমিটার। গ্রিনল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৫৬,০০০, যাদের অধিকাংশই দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে বাস করে।

ঐতিহাসিকভাবে, গ্রিনল্যান্ড ছিল একটি নরস উপনিবেশ। ১২৬১ সালে আইসল্যান্ড থেকে ভাইকিং নরসরা গ্রিনল্যান্ডে বসতি স্থাপন করেন। ১৫৩৬ সালে নরওয়ে এবং ডেনমার্কের সঙ্গে ইউনিয়ন হওয়ার পর গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের অংশ হয়ে যায়। ১৮১৪ সালে নরওয়ে ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যায়, কিন্তু গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের অধীনেই থাকে।

১৯৫৩ সালে গ্রিনল্যান্ডকে ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অংশের মর্যাদা দেওয়া হয়। এর অর্থ হল যে গ্রিনল্যান্ডের নিজস্ব সরকার এবং সংসদ রয়েছে, যা দ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি পরিচালনা করে। তবে, ডেনমার্ক এখনও গ্রিনল্যান্ডের পররাষ্ট্র নীতি এবং প্রতিরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে।

গ্রিনল্যান্ডের জনসংখ্যার অধিকাংশই ইনুইট জাতির লোক। তারা প্রধানত মৎস্যশিকার, শিকার এবং পর্যটন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। গ্রিনল্যান্ডের অর্থনীতি মূলত মৎস্যশিল্প এবং খনিজ সম্পদের উপর নির্ভরশীল। দ্বীপের খনিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে লেড, দস্তা, রূপা এবং স্বর্ণ।

গ্রিনল্যান্ডের একটি অনন্য ভূগোল রয়েছে। দ্বীপটির অধিকাংশ অংশ হিমবাহ দ্বারা আবৃত, যা বিশ্বের মোট হিমবাহের ৮০ শতাংশেরও বেশি। গ্রিনল্যান্ডের উপকূলরেখা অত্যন্ত খাঁড়া এবং কয়েকটি ছোট দ্বীপ দ্বারা বেষ্টিত। দ্বীপের সর্বোচ্চ পর্বতটি হল গানবিয়র্ন পর্বত, যা ২,৮৩৫ মিটার উঁচু।

গ্রিনল্যান্ড একটি বিস্ময়কর এবং বৈচিত্র্যময় দ্বীপ যা প্রচুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। এটি সাহসী ভ্রমণকারীদের জন্য একটি দুর্দান্ত গন্তব্য যারা দূরবর্তী এবং অপ্রচলিত স্থানগুলি অন্বেষণ করতে পছন্দ করে।

See also  বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী: নাম, জীবনী ও অবদান

গ্রিনল্যান্ডের ইতিহাস ও উপনিবেশিকতা

গ্রিনল্যান্ড একটি বিশাল দ্বীপ যা উত্তর মেরুর কাছে অবস্থিত। এটি বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ, যার আয়তন ২১ লাখ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি। গ্রিনল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৫৬,০০০ জন, যার অর্থ এটি বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে জনবিরল জনবহুল দেশ।

গ্রিনল্যান্ডের প্রথম বাসিন্দারা ইনুইট জনগণ ছিল, যারা প্রায় ২,৫০০ বছর আগে এখানে এসেছিল। ইনুইট জনগণ শিকারী-সংগ্রাহক জীবনযাপন করতেন এবং তাদের সংস্কৃতি খুব শক্তিশালী ছিল।

১০ শতকে, নরওয়েজিয়ান ভাইকিংরা গ্রিনল্যান্ডে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। ভাইকিংরা গ্রিনল্যান্ডকে “গ্রিন ল্যান্ড” নাম দিয়েছিল, কারণ তারা বিশ্বাস করত যে এটি অন্যান্য উত্তর আটলান্টিক দ্বীপের চেয়ে বেশি সবুজ। ভাইকিংরা প্রায় ৫০০ বছর ধরে গ্রিনল্যান্ডে বসবাস করেছিলেন, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তারা ১৫ শতকে তাদের উপনিবেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল।

১৮ শতকে, ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ডের উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ডকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত একটি উপনিবেশ হিসাবে শাসন করেছিল, যখন এটি ডেনমার্কের একটি স্বাধীন অংশ হয়ে ওঠে। আজ, গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের স্বশাসিত অংশ। এর নিজস্ব সরকার এবং সংসদ রয়েছে, এবং এটি নিজস্ব আইন পাস করতে পারে।

ডেনমার্কের সঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসন এবং সম্পর্ক

গ্রিনল্যান্ড হল উত্তর মহাসাগরের সবচেয়ে বড় দ্বীপ এবং পৃথিবীর বৃহত্তম নির্জন অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। এটি প্রায় ৫.৬ মিলিয়ন বর্গ কিমি আয়তন জুড়ে রয়েছে এবং এর জনসংখ্যা প্রায় ৫৬,০০০। গ্রিনল্যান্ড ১৮১৪ সাল থেকে ডেনমার্কের অধীনে ছিল এবং ১৯৫৩ সালে এটি ডেনমার্ক রাজ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে। যাইহোক, ১৯৭৯ সালে, গ্রিনল্যান্ডকে ব্যাপক স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল, যা এটিকে নিজস্ব সরকার, সংসদ এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার ক্ষমতা দিয়েছে।

অধিকাংশ গ্রিনল্যান্ডীয়রা ইনুইট বংশোদ্ভূত এবং তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ভাষা রয়েছে। দ্বীপটির প্রধান শিল্পগুলির মধ্যে রয়েছে মৎস্য पालन, খনন এবং পর্যটন। গ্রিনল্যান্ডে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, যেমন তেল, গ্যাস এবং খনিজ।

See also  হাতের লেখা দ্রুত ও সুন্দর করার অসাধারণ কৌশল

ডেনমার্কের গ্রিনল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক জটিল এবং বিকশিত হয়েছে। গ্রিনল্যান্ডকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত, যা ১৯৭৯ সালের একটি গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছিল, তা ডেনমার্কের জন্য একটি মূলত অস্বাভাবিক সিদ্ধান্ত ছিল, যেটি সাধারণত কেন্দ্রীভূত দেশ হিসাবে পরিচিত। তবে, গ্রিনল্যান্ডকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার সিদ্ধান্তটিকে ডেনমার্কের সরকার এবং গ্রিনল্যান্ডীয় জনগণ উভয়ের দ্বারাই একটি সাফল্য হিসাবে দেখা হয়েছে।

স্বায়ত্তশাসন পাওয়ার পর থেকে, গ্রিনল্যান্ডের অর্থনীতি এবং সংস্কৃতি উভয় ক্ষেত্রেই উल्लेखनीयভাবে উন্নতি হয়েছে। গ্রিনল্যান্ডে জীবনযাত্রার মানও উন্নত হয়েছে, যার ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং আবাসন ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে।

ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের মধ্যে সম্পর্ক এখন অংশীদারিত্বের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। দুটি দেশ সহযোগিতা করে বিভিন্ন বিষয়ে, যেমন মৎস্য পালন, বাজেট এবং প্রতিরক্ষা। গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের রাজ্যের অংশ হিসাবে রয়ে গেছে এবং ডেনমার্কের রাণী দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয়। যাইহোক, গ্রিনল্যান্ডের নিজস্ব সরকার এবং সংসদ রয়েছে, এবং এটি তার নিজস্ব আইন তৈরি করার ক্ষমতা রাখে।

গ্রিনল্যান্ডের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। ২০১৮ সালের একটি গণভোটে, গ্রিনল্যান্ডের ৬০% ভোটাররা ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা লাভের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। যদি গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে, তবে এটি ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের মধ্যে সম্পর্কের জন্য একটি বড় পরিবর্তন হবে।

যতটুকু স্বীকৃতি আছে তার ব্যাখ্যা

গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের স্ব-শাসিত এবং স্বতন্ত্র একটি অঞ্চল। এটি ডেনমার্কের রাজ্যের একটি অংশ হলেও, এটি ডেনমার্ক সংযুক্তরাজ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়। গ্রিনল্যান্ডের নিজস্ব সংসদ, সরকার এবং আইন প্রণয়ন ব্যবস্থা রয়েছে। এটি ডেনমার্কের বাইরের ব্যাপারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে, ডেনমার্ক রক্ষা, পররাষ্ট্র নীতি এবং মুদ্রা ইস্যুতে ভূমিকা রাখে। গ্রিনল্যান্ডের স্ব-শাসন 1979 সালে একটি গণভোটের মাধ্যমে প্রদত্ত হয়েছিল, যা 70% ভোটার দ্বারা সমর্থিত হয়েছিল। তখন থেকে, গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের মধ্যে ব্যাপক স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করে আসছে।

সীমাবদ্ধ স্বীকৃতির প্রভাব

গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের স্ব-শাসিত এবং স্বতন্ত্র একটি অঞ্চল। এটি ডেনমার্কের রাজ্যের একটি অংশ হলেও, এটি ডেনমার্ক সংযুক্তরাজ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়। গ্রিনল্যান্ডের নিজস্ব সংসদ, সরকার এবং আইন প্রণয়ন ব্যবস্থা রয়েছে। এটি ডেনমার্কের বাইরের ব্যাপারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে, ডেনমার্ক রক্ষা, পররাষ্ট্র নীতি এবং মুদ্রা ইস্যুতে ভূমিকা রাখে। গ্রিনল্যান্ডের স্ব-শাসন 1979 সালে একটি গণভোটের মাধ্যমে প্রদত্ত হয়েছিল, যা 70% ভোটার দ্বারা সমর্থিত হয়েছিল। তখন থেকে, গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের মধ্যে ব্যাপক স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করে আসছে।

See also  বিবাহবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা বার্তা: বাংলায় অনন্য শুভকামনা জানানোর উপায়

গ্রিনল্যান্ডের ভবিষ্যত অবস্থা

গ্রিনল্যান্ডের ভবিষ্যত অস্পষ্ট এবং বেশ কিছু কারণ দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি প্রধান কারণ হল জলবায়ু পরিবর্তন, যা বরফ গলানো এবং সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। এটি গ্রিনল্যান্ডের অবকাঠামো এবং অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। আরেকটি প্রধান কারণ হল প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষ করে খনিজ এবং তেল। গ্রিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, এবং এটি আগামী বছরগুলোতে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে, প্রাকৃতিক সম্পদের নিষ্কাশন এবং ব্যবহার পরিবেশগত সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।

ও ডেনমার্কের সাথে তার সম্পর্ক দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের একটি স্বশাসিত অংশ এবং ডেনমার্কের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পায়। ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা জটিল, এবং ভবিষ্যতে এটি কিভাবে পরিবর্তিত হবে তা দেখা যাবে।

গ্রিনল্যান্ডের ভবিষ্যত অনিশ্চিত, তবে এটি একটি দেশ যার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ডেনমার্কের সাথে তার সম্পর্ক সহ বেশ কয়েকটি কারণ তার ভবিষ্যত অবস্থাকে প্রভাবিত করবে।

Omi Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *