আজ আমরা পল্লব রাজবংশের ইতিহাস ও উত্থান-পতনের গল্প বলব। দক্ষিণ ভারতের এই প্রাচীন রাজ্যটি তার শিল্পকলা, স্থাপত্য এবং রাজনৈতিক প্রভাবের জন্য পরিচিত। আমরা তাদের শাসনকাল, তাদের উল্লেখযোগ্য রাজাদের, এবং তাদের রাজ্যের অন্তকে নিয়ে কথা বলব। পল্লব রাজবংশের ইতিহাস একটি মহাকাব্য, শক্তি এবং শিল্পকর্মের গল্প। এটি একটি রাজবংশের গল্প যাদের শাসনকাল দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নে একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেছিল। তাই যোগ দিন আমাদের সাথে এই আকর্ষণীয় যাত্রায়, আমরা পল্লব রাজবংশের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য উন্মোচন করি।
পল্লব রাজবংশের ইতিহাস ও উত্থান-পতন
পল্লব রাজবংশের শেষ রাজা ছিলেন নন্দীvarmন তৃতীয়। তিনি ৮৯৭ থেকে ৯২১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তিনি গণ্ডরামতি ও বুদ্ধবর্মনের পুত্র ছিলেন। তার রাজ্য পূর্ব ভারতের আন্ধ্র প্রদেশ এবং ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চল এবং তমিলনাড়ুর কিছু অংশ জুড়ে বিস্তৃত ছিল। নন্দীvarmন তৃতীয় একজন শক্তিশালী এবং সক্ষম শাসক ছিলেন। তিনি চোল রাজাদের পরাজিত করে তাদের রাজ্য দখল করেন। তিনি রাষ্ট্রকূট রাজাদেরও পরাজিত করেছিলেন। নন্দীvarmন তৃতীয় একজন পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন। তিনি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন এবং শিল্প এবং সাহিত্যকে উৎসাহিত করেছিলেন। তিনি একজন বিখ্যাত কবিও ছিলেন এবং তাঁর কবিতার একটি সংকলন লিখেছিলেন যা নন্দীvarmন তৃতীয়ের কাব্য নামে পরিচিত।
পল্লব রাজবংশের শাসনকাল এবং প্রভাব
পল্লব রাজবংশের শেষ রাজা ছিলেন নন্দীvarmন তৃতীয়। তিনি ৮৯৭ থেকে ৯২১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তিনি গণ্ডরামতি ও বুদ্ধবর্মনের পুত্র ছিলেন। তার রাজ্য পূর্ব ভারতের আন্ধ্র প্রদেশ এবং ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চল এবং তমিলনাড়ুর কিছু অংশ জুড়ে বিস্তৃত ছিল। নন্দীvarmন তৃতীয় একজন শক্তিশালী এবং সক্ষম শাসক ছিলেন। তিনি চোল রাজাদের পরাজিত করে তাদের রাজ্য দখল করেন। তিনি রাষ্ট্রকূট রাজাদেরও পরাজিত করেছিলেন। নন্দীvarmন তৃতীয় একজন পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন। তিনি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন এবং শিল্প এবং সাহিত্যকে উৎসাহিত করেছিলেন। তিনি একজন বিখ্যাত কবিও ছিলেন এবং তাঁর কবিতার একটি সংকলন লিখেছিলেন যা নন্দীvarmন তৃতীয়ের কাব্য নামে পরিচিত।
পল্লব বংশের উল্লেখযোগ্য রাজারা এবং তাদের শাসনাধীন অঞ্চল
পল্লব রাজবংশের শেষ রাজা ছিলেন নন্দীবর্মন তৃতীয়। তিনি ৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ৯২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেন। নন্দীবর্মনের শাসনামলে পল্লব রাজবংশ দুর্বল এবং অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছিল। তিনি চোল এবং রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্যের আক্রমণ মোকাবেলা করতে অক্ষম ছিলেন। ৯০৩ খ্রিস্টাব্দে চোল রাজা প্রথম পরান্তক পল্লব রাজধানী কাঞ্চী দখল করেন। নন্দীবর্মন তৃতীয় উত্তরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন এবং তাঁর রাজ্য খণ্ড বিখণ্ড হয়ে যায়। ৯২৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি মারা যান এবং পল্লব রাজবংশের পতন ঘটে।
পল্লব বংশের শেষ রাজা কে ছিলেন?
পল্লব রাজবংশের শেষ রাজা ছিলেন প্রথম নারাসিংহবর্মন। তিনি ৬৩০ থেকে ৬৪০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তিনি পল্লব বংশের অন্যতম শক্তিশালী শাসক ছিলেন এবং কাঞ্চীপুরমে কৈলাসনাথ মন্দির নির্মাণের জন্য বিখ্যাত। তাঁর রাজত্বকালে পল্লব সাম্রাজ্য তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটকের বেশির ভাগ অংশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল।
শেষ পল্লব রাজার পরিচয়
ছোটবেলা থেকেই আমাদের ইতিহাসের বইয়ে পড়ে এসেছি পল্লব রাজবংশের কথা। প্রাচীন দক্ষিণ ভারতের অন্যতম শক্তিশালী সাম্রাজ্য ছিলো এই পল্লব বংশ। কিন্তু তুমি কি জানো, পল্লব বংশের শেষ রাজা কে ছিলেন?
পল্লব বংশের শেষ রাজা ছিলেন নৃপতুঙ্গবর্মন। তিনি নবম শতাব্দীর শেষভাগ এবং দশম শতাব্দীর প্রথমভাগে রাজত্ব করেন। তাঁর রাজধানী ছিল কাঞ্চী। নৃপতুঙ্গবর্মন একজন শক্তিশালী এবং দক্ষ শাসক ছিলেন। তিনি তাঁর রাজ্যকে উত্তর দিকে গঙ্গা নদী পর্যন্ত প্রসারিত করেছিলেন। নৃপতুঙ্গবর্মন ছিলেন একজন মহান যোদ্ধা এবং তিনি চোল, পাণ্ড্য এবং রাষ্ট্রকূটদের মতো শত্রুদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল অভিযান চালিয়েছিলেন।
তাঁর রাজত্বকাল শিল্পকলা এবং স্থাপত্যের উন্নতির জন্যও বিখ্যাত ছিল। তিনি মহাবলীপুরমে বহু মন্দির এবং স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছিলেন, যা আজও তাঁর শাসনের সাক্ষ্য হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। নৃপতুঙ্গবর্মনের রাজত্ব পল্লব বংশের স্বর্ণযুগ হিসাবে বিবেচিত হয়।
তার শাসনকালের সময়কাল এবং প্রধান ঘটনাবলি
পল্লব বংশের শেষ রাজা ছিলেন গোপাল দ্বিতীয়। তিনি ৭৯৫ থেকে ৮১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেছিলেন। তাঁর শাসনকালে পল্লব সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়। ৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে রাষ্ট্রকূট রাজা দন্তিদুর্গ পল্লব রাজ্য আক্রমণ করে এবং তাঁদের রাজধানী কাঞ্চীপুরম দখল করে নেন। এ ঘটনার পর পল্লব সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ক্রমশ বিভক্ত হয়ে যায়। গোপাল দ্বিতীয়ের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র নন্দিবর্মন তৃতীয় সিংহাসনে আরোহণ করেন। কিন্তু তিনিও রাষ্ট্রকূটদের আক্রমণ প্রতিহত করতে পারেননি এবং ৮২৫ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যুর পর পল্লব সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।
পল্লব বংশের পতন এবং দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন
পল্লব বংশের পতন দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিরাট পরিবর্তন বয়ে আনে। পল্লব বংশের শেষ রাজা ছিলেন নন্দিবর্মন তৃতীয়। তিনি নবম শতাব্দীর প্রথম দিকে রাজত্ব করেন। নন্দিবর্মন তৃতীয়ের মৃত্যুর পর পল্লব সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রাজ্যটি ভাঙতে শুরু করে।
এই সময় দক্ষিণ ভারতে রাষ্ট্রকূট বংশের উত্থান ঘটে। রাষ্ট্রকূটরা পল্লবদের কাছ থেকে অনেক এলাকা দখল করে নেয়। এরপর চোল, পাণ্ড্য ও চেরা রাজ্যগুলি শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। পল্লব বংশের পতন দক্ষিণ ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই ঘটনা দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রকে পুনর্নির্ধারণ করে এবং অঞ্চলটির ইতিহাসের গতিপথকে পরিবর্তন করে।
Leave a Reply