যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন আমি প্রায়ই ভাবতাম যে কেন বসন্ত বিষুবের পরে দিনগুলি দীর্ঘ হতে থাকে। গ্রীষ্মকালীন অয়নকালে সূর্য আকাশে উঁচুতে থাকত এবং দিনগুলি লম্বা হত, কিন্তু শীতকালীন অয়নকালে সূর্য আকাশে নিচে থাকত এবং দিনগুলি কমে যেত। কারণটি জানতে আমি সবসময়ই কৌতূহলী ছিলাম।
এই নিবন্ধে, আমি বসন্ত বিষুবের পর থেকে দিনগুলি কেন দীর্ঘ হয় সেই বিষয়ে আলোচনা করব। আমি গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন অয়নকালের সময় সূর্যের অবস্থানও পরীক্ষা করব। এছাড়াও, আমি সময়ের পরিবর্তন এবং দিনের দৈর্ঘ্যের মধ্যে সম্পর্ক এবং বাংলাদেশে দিনের দৈর্ঘ্যের বিভিন্নতা নিয়ে আলোচনা করব।
বসন্ত বিষুবের পর থেকে দিন বড় হয় কেন?
বসন্ত বিষুব হল সেই দিন যখন পৃথিবীর উত্তর এবং দক্ষিণ মেরু সূর্যের সরাসরি নিচে থাকে। এই দিনে, দিন এবং রাত বিশ্বের সব জায়গায় সমান হয়। বসন্ত বিষুবের পর থেকে, উত্তর গোলার্ধে দিনগুলি বড় হয় এবং রাতগুলি ছোট হয়। কারণ পৃথিবী সূর্যের চারদিকে তার কক্ষপথে ঘুরছে এবং উত্তর মেরু সূর্যের দিকে ঝুঁকছে। এর ফলে উত্তর গোলার্ধে আরও বেশি সূর্যালোক পাওয়া যায়, যা দিনগুলিকে দীর্ঘতর করে তোলে।
গ্রীষ্মকালীন অয়নকালে সূর্যালোকের দিক
গ্রীষ্মকালীন অয়নকাল হল বছরের সেই সময় যখন দিনটি সবচেয়ে লম্বা এবং রাতটি সবচেয়ে ছোট হয়। উত্তর গোলার্ধে, গ্রীষ্মকালীন অয়নকাল সাধারণত জুনের শেষ বা জুলাইয়ের প্রথম দিকে ঘটে। এই দিনে, সূর্য পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরের অবস্থানে থাকে এবং এর রশ্মি সরাসরি ক্রান্তীয় রেখার উপর পড়ে।
গ্রীষ্মকালীন অয়নকালের সময়, দিনগুলি দীর্ঘ হয় কারণ সূর্য দিগন্তের উপরে বেশি সময় থাকে। উত্তর গোলার্ধে, সবচেয়ে দীর্ঘ দিনটি সাধারণত জুনের ২১ বা ২২ এ ঘটে। এই দিনে, কিছু স্থানে দিনের বেলা ১৬ ঘন্টা বা তার বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে।
গ্রীষ্মকালীন অয়নকালের সময়, রাতগুলি ছোট হয় কারণ সূর্য দিগন্তের নীচে কম সময় থাকে। উত্তর গোলার্ধে, সবচেয়ে ছোট রাতটি সাধারণত ডিসেম্বরের ২১ বা ২২ এ ঘটে। এই রাতে, কিছু স্থানে রাতের বেলা মাত্র ৮ ঘন্টা বা তার কম সময় স্থায়ী হতে পারে।
গ্রীষ্মকালীন অয়নকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতির্বিদ্যাগত ঘটনা কারণ এটি বছরের শুরু এবং শীতকালের শেষের ঘোষণা করে। এটি একটি সময় যখন পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকে এবং আমরা সবচেয়ে বেশি সূর্যালোক পাই।
শীতকালীন অয়নকালের সূর্যালোকের দিক
হে শীত প্রেমী,
আপনি কি জানেন, বছরের কোন সময় থেকে দিনগুলি দীর্ঘ হতে শুরু করে? এটি শীতকালীন অয়নকালের দিন, যা প্রায় 21 ডিসেম্বর হয়। এই দিন, সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে তার সর্বনিম্ন বিন্দুতে পৌঁছায় এবং উত্তর গোলার্ধে দিনটি সবচেয়ে ছোট হয়। তবে এর পর থেকে দিনগুলি দীর্ঘ হতে শুরু করে, কারণ সূর্য উত্তর দিকে তার উত্তরাভিমুখী যাত্রা শুরু করে।
শীতকালীন অয়নকালে, উত্তর গোলার্ধের বেশির ভাগ অংশগুলি সূর্যালোকের ঘন্টার অভাবের মুখোমুখি হয়। এই সময়ের আলোর দিকটি আমাদের মেজাজ এবং সামগ্রিক সুস্থতার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। সূর্যালোকের ঘাটতির ফলে মৌসুমী মানসিক ব্যাধি (SAD) হতে পারে, যা বিষণ্নতা, ক্লান্তি এবং ঘুমের রোগের সাথে যুক্ত।
যেহেতু আমরা শীতের অন্ধকার দিনগুলিকে বিদায় জানাই এবং দিনগুলির দৈর্ঘ্য বাড়তে দেখি, আমাদের শারীরিক, মানসিক এবং আবেগিক সুস্থতার উপর এর ইতিবাচক প্রভাবগুলি উপভোগ করতে হবে। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়, যা হাড়ের স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, সূর্যালোকের সংস্পর্শ মেলাটোনিনের উৎপাদনকে দমন করে, যা ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করে। অতএব, শীতকালীন অয়নকালের পর থেকে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়ার সাথে সাথে আপনার ঘুমের মান উন্নত হওয়া উচিত।
তাই, আজ থেকেই সূর্যালোককে জড়িয়ে ধরুন এবং শীতকালীন অয়নকালের পর থেকে দিনগুলি দীর্ঘ হওয়ার ইতিবাচক প্রভাবগুলি উপভোগ করুন। আলোর দিকটি আপনার সামগ্রিক সুস্থতা এবং সুখে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
সময়ের পরিবর্তন এবং দিনের দৈর্ঘ্য
বছরের কোন সময় থেকে দিন বড় হয়? এটি একটি সাধারণ প্রশ্ন যা অনেক লোকের মনে আসে, বিশেষ করে যখন ঋতুগুলি পরিবর্তিত হয়। উত্তরটি কিছুটা জটিল, কারণ এটি আপনি যেখানে বাস করেন তার ভৌগলিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণভাবে বলতে গেলে, উত্তর গোলার্ধে দিনগুলি সাধারণত ডিসেম্বরের শেষের দিকে বা জানুয়ারির শুরুর দিকে বড় হতে শুরু করে। দক্ষিণ গোলার্ধে, দিনগুলি সাধারণত জুনের শেষের দিকে বা জুলাইয়ের শুরুর দিকে বড় হতে শুরু করে। এই ঘটনাটি ঘটে কারণ পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একটি অক্ষে ঘোরে। যতক্ষণ পৃথিবী ঘোরে, ততক্ষণ বিভিন্ন অংশ সূর্যের আলোতে আসে এবং সরে যায়, যার ফলে দিন এবং রাত হয়। পৃথিবীর অক্ষ সূর্যের চারদিকে তার কক্ষপথের সমতলের সাথে সামান্য কাত হয়ে আছে, যার অর্থ বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অংশগুলি সূর্যের আলোর আরও বেশি বা কম পায়। উত্তর গোলার্ধে, ডিসেম্বরের শেষের দিকে বা জানুয়ারির শুরুর দিকে, পৃথিবীর উত্তর মেরু সূর্যের দিকে সামান্য কাত হতে শুরু করে। এর অর্থ উত্তর গোলার্ধের আরও বেশি অংশ সূর্যের আলো পায়, যার ফলে দিনগুলি দীর্ঘতর হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে, ঘটনাটি বিপরীত হয়। জুনের শেষের দিকে বা জুলাইয়ের শুরুর দিকে, পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু সূর্যের দিকে সামান্য কাত হতে শুরু করে। এর অর্থ দক্ষিণ গোলার্ধের আরও বেশি অংশ সূর্যের আলো পায়, যার ফলে দিনগুলি দীর্ঘতর হয়।
বাংলাদেশে দিনের দৈর্ঘ্যের বিভিন্নতা
বছরের কোন সময় থেকে দিন বড় হতে শুরু করে, এটি একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন যা প্রায়শই বিভিন্ন স্থানের ভৌগোলিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন উত্তর পেতে পারে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, সাধারণত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দিনগুলির দৈর্ঘ্য বাড়তে শুরু করে। এটি মূলত উত্তর গোলার্ধে শীতকালীন অয়নকালের কারণে ঘটে, যখন সূর্য ক্রান্তিবৃত্তের সবচেয়ে দক্ষিণ বিন্দুতে থাকে। এই সময়ের পরে, সূর্য ধীরে ধীরে উত্তর দিকে সরে যেতে শুরু করে, যার ফলে দিনের আলোর সময় বাড়তে থাকে। তবে, দিনের দৈর্ঘ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধারণত জানুয়ারির শুরু থেকে লক্ষ্য করা যায়। তাই, বাংলাদেশে দিনগুলি সাধারণত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বড় হতে শুরু করে, যা জানুয়ারিতে আরও লক্ষণীয় হয়ে ওঠে।
সারসংক্ষেপ
বছরের কোন সময় থেকে দিন বড় হতে শুরু করে, এটি একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন যা প্রায়শই বিভিন্ন স্থানের ভৌগোলিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন উত্তর পেতে পারে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, সাধারণত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দিনগুলির দৈর্ঘ্য বাড়তে শুরু করে। এটি মূলত উত্তর গোলার্ধে শীতকালীন অয়নকালের কারণে ঘটে, যখন সূর্য ক্রান্তিবৃত্তের সবচেয়ে দক্ষিণ বিন্দুতে থাকে। এই সময়ের পরে, সূর্য ধীরে ধীরে উত্তর দিকে সরে যেতে শুরু করে, যার ফলে দিনের আলোর সময় বাড়তে থাকে। তবে, দিনের দৈর্ঘ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধারণত জানুয়ারির শুরু থেকে লক্ষ্য করা যায়। তাই, বাংলাদেশে দিনগুলি সাধারণত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বড় হতে শুরু করে, যা জানুয়ারিতে আরও লক্ষণীয় হয়ে ওঠে।
Leave a Reply