আমি একজন পেশাদার বাংলা কন্টেন্ট রাইটার। আমার এই লেখায় আমি বাংলার ক্রিকেটের প্রাথমিক ইতিহাস তুলে ধরব। ক্রিকেটের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত ডব্লিউ. জে. বার্নসের কথা বলব। কলকাতা ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিষ্ঠা ও এর ভূমিকা সম্পর্কে জানাব। বাংলার ক্রিকেটে মহেশ চন্দ্র সরকারের অনবদ্য অবদান নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়া আরও কিছু পথিকৃৎ-এর কথা বলব যারা বাংলার ক্রিকেটের দিগন্ত বিস্তারে নিজেদের ভূমিকা রেখেছেন। শেষ করব বাংলার ক্রিকেটের সোনালী অধ্যায়ের কথা দিয়ে। আমার বিশ্বাস, এই লেখাটি পড়ে আপনি বাংলার ক্রিকেটের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানতে পারবেন।
বাংলার ক্রিকেটের প্রথম পদক্ষেপ
বাংলার ক্রিকেটের ইতিহাস শুরু হয়েছিল ১৮ শতকের শেষের দিকে। ১৭৯২ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমবারের মতো একটি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ম্যাচটি কলকাতায় বসবাসকারী ব্রিটিশদের দুটি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যদিও এই ম্যাচটি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে এটিই বাংলায় ক্রিকেটের প্রথম পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করা হয়।
এরপর ১৯ শতকের প্রথম দিকে ক্রিকেট খেলাটি ক্রমশ বাংলায় জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। ১৮২৪ সালে কলকাতা ক্রিকেট ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিই ভারতের প্রথম ক্রিকেট ক্লাব। এরপর ১৮৪৮ সালে কলকাতা ক্রিকেট এন্ড ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ক্লাবগুলির প্রচেষ্টায় ক্রিকেট খেলাটি বাংলায় আরও জনপ্রিয় হতে থাকে।
১৮৯৩ সালে ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। এই বছর কলকাতায় একটি বহুজাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই টুর্নামেন্টে ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা অংশগ্রহণ করেছিল। এই টুর্নামেন্টটি ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
ক্রিকেটের পথিকৃৎ, ডব্লিউ. জে. বার্নস
একজন বাঙালি হিসেবে, বাংলার ক্রিকেটের জনক কে? এই প্রশ্নটা আমাদের মনে অবশ্যই জাগে। সেই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে আজ আমরা জানবো ডব্লিউ. জে. বার্নস সম্পর্কে। তিনিই হলেন বাংলার ক্রিকেটের প্রথম পথপ্রদর্শক। যিনি বাংলাদেশে ক্রিকেটের বীজ বপন করেছিলেন।
১৮৯৩ সালে, বার্নস কলকাতা রেজিস্ট্রি অফিসের একজন সহকারী হিসেবে ভারতে আসেন। তিনি একজন উৎসাহী ক্রিকেটার ছিলেন এবং ১৮৯৬ সালে কলকাতা ক্রিকেট ক্লাবে যোগদান করেন। সেই সময়, ক্রিকেট শুধুমাত্র ব্রিটিশদের জন্যই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বার্নসের প্রচেষ্টার ফলে, ১৮৯৯ সালে প্রথম বাঙালি ক্রিকেট ক্লাব, “কলকাতা ক্লাব” প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি এই ক্লাবের প্রথম সচিব ছিলেন।
বার্নসের নেতৃত্বে, কলকাতা ক্লাব দ্রুত শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তারা ১৯০১ সালে কলকাতা লীগ জিতে এবং সারা ভারতে তাদের খ্যাতি ছড়িয়ে দিতে থাকে। বার্নসের প্রভাব ক্রিকেটের মাঠের বাইরেও বিস্তৃত ছিল। তিনি বাঙালিদের ক্রিকেট খেলার সুযোগ দেওয়ার জন্য লড়াই করেছিলেন এবং তিনি ক্রিকেটকে শুধু একটি খেলা নয়, বরং বাঙালি জাতিরতার এক প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
বার্নস ১৯২৫ সালে ভারত ত্যাগ করেন, কিন্তু তার ঐতিহ্য টিকে আছে। তার প্রচেষ্টার ফলে, বাংলাদেশ আজ একটি ক্রিকেট-প্রেমী জাতি।
ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিষ্ঠা
একজন বাঙালি হিসেবে, বাংলার ক্রিকেটের জনক কে? এই প্রশ্নটা আমাদের মনে অবশ্যই জাগে। সেই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে আজ আমরা জানবো ডব্লিউ. জে. বার্নস সম্পর্কে। তিনিই হলেন বাংলার ক্রিকেটের প্রথম পথপ্রদর্শক। যিনি বাংলাদেশে ক্রিকেটের বীজ বপন করেছিলেন।
১৮৯৩ সালে, বার্নস কলকাতা রেজিস্ট্রি অফিসের একজন সহকারী হিসেবে ভারতে আসেন। তিনি একজন উৎসাহী ক্রিকেটার ছিলেন এবং ১৮৯৬ সালে কলকাতা ক্রিকেট ক্লাবে যোগদান করেন। সেই সময়, ক্রিকেট শুধুমাত্র ব্রিটিশদের জন্যই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বার্নসের প্রচেষ্টার ফলে, ১৮৯৯ সালে প্রথম বাঙালি ক্রিকেট ক্লাব, “কলকাতা ক্লাব” প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি এই ক্লাবের প্রথম সচিব ছিলেন।
বার্নসের নেতৃত্বে, কলকাতা ক্লাব দ্রুত শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তারা ১৯০১ সালে কলকাতা লীগ জিতে এবং সারা ভারতে তাদের খ্যাতি ছড়িয়ে দিতে থাকে। বার্নসের প্রভাব ক্রিকেটের মাঠের বাইরেও বিস্তৃত ছিল। তিনি বাঙালিদের ক্রিকেট খেলার সুযোগ দেওয়ার জন্য লড়াই করেছিলেন এবং তিনি ক্রিকেটকে শুধু একটি খেলা নয়, বরং বাঙালি জাতিরতার এক প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
বার্নস ১৯২৫ সালে ভারত ত্যাগ করেন, কিন্তু তার ঐতিহ্য টিকে আছে। তার প্রচেষ্টার ফলে, বাংলাদেশ আজ একটি ক্রিকেট-প্রেমী জাতি।
বাংলার ক্রিকেটে মহেশ চন্দ্র সরকারের অবদান
ক্রিকেটের ইতিহাসে মহেশ চন্দ্র সরকার একটি বিখ্যাত নাম। তিনিই বাংলার ক্রিকেটের জনক হিসেবে পরিচিত। তাঁর অবদান ছাড়া বাংলায় ক্রিকেটের এতটা প্রসার সম্ভব হতো না। মহেশ চন্দ্র কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন পেশাদার আইনজীবী। তবে ক্রিকেটের প্রতি তাঁর অদম্য ভালোবাসা ছিল। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য হন। তিনি ১৮৬৪ সালে কলকাতায় প্রথম ক্রিকেট ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। এটিই ছিল ভারতের প্রথম ক্রিকেট ক্লাব। মহেশ চন্দ্রের উদ্যোগেই ১৮৭২ সালে প্রথম ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরবর্তীকালে ভারতের প্রথম টেস্ট ক্রিকেট দল গঠনে ভূমিকা রাখে। তিনিই প্রথম বাঙালি ক্রিকেটার যিনি ইংল্যান্ড সফর করেন। তিনি বাংলায় ক্রিকেটের প্রসারের জন্য ক্রিকেট ম্যাচ, টুর্নামেন্ট ও প্রদর্শনী ম্যাচের আয়োজন করতেন। এছাড়া তিনি ক্রিকেট সম্পর্কিত বই-পুস্তকও প্রকাশ করতেন। মহেশ চন্দ্রের অবদানের জন্য তাঁর কে বাংলার ক্রিকেটের জনক বলা হয়।
বাংলার ক্রিকেটের দিগন্ত বিস্তারে অন্যান্য পথিকৃৎ
ক্রিকেটের দিগন্তবিস্তারে অন্যান্য পথিকৃৎদের কথা বলতে গেলে এটি একটি দীর্ঘ তালিকা। এই তালিকার প্রথমেই আসে নবাব স্যার আবদুল্লা গাজী। তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম ক্রিকেটার, যিনি ১৮৮৯ সালে ইংল্যান্ড সফর করা ভারতীয় দলে খেলেছিলেন। তিনিই প্রথম বাঙালি ক্রিকেটার, যিনি ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলেছিলেন। তারপরে আসে কালিদাস ঘোষ। তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার। তিনি ১৯৩২ সালে ভারতের হয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষতার সঙ্গে বলকে সুইং করতে পারতেন এমন একজন বোলার। তিনি ১৯৩৬ সালে ইংল্যান্ড সফর করা ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন, যা টেস্ট সিরিজ জিতেছিল। বাংলার ক্রিকেটের অপর একজন কিংবদন্তি হলেন পঙ্কজ রায়। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত ব্যাটসম্যান, যিনি ১৯৪৮ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ ব্যাটসম্যান, যিনি দীর্ঘদিন ক্রিজে থাকতে পারতেন। তিনি ১৯৫২ সালে ভারতের হয়ে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন।
বাংলার ক্রিকেটের সোনালী অধ্যায়
বাংলার ক্রিকেটে সোনালী অধ্যায়ের সূচনা হয় যখন বাঙালিরা এই মনোরম খেলাটির সাথে পরিচিত হয়। ইংরেজ শাসনের সময়, 1809 সালে কলকাতায় প্রথম ক্রিকেট ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ধীরে ধীরে বাঙালিরা এই খেলায় আগ্রহী হতে থাকে এবং দল গঠন করে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে শুরু করে। 1892 সালে বাংলার প্রথম আন্তঃজেলা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়। বাংলার ক্রিকেটের জনক হিসেবে পরিচিত রমেশ দত্ত এই টুর্নামেন্টের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন। তার সহযোগিতায় বাংলায় ক্রিকেটের ভীত শক্ত হয় এবং বাঙালি ক্রিকেটাররা তাদের দক্ষতা ও প্রতিভা দিয়ে সারা দেশে খ্যাতি অর্জন করতে শুরু করে।
Leave a Reply