হে পাঠকবৃন্দ, আজ আমি আপনাদের সঙ্গে একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদবাক্যের ইতিহাস ও অর্থ নিয়ে কথা বলতে এসেছি। এই প্রবাদবাক্যটির নাম হলো “মিছরির ছুরি”। আমাদের বাঙালির জীবনে এই প্রবাদবাক্যটির ব্যবহার প্রচুর। কিন্তু এই বাক্যাংশটির আসল অর্থ কী, এর উৎপত্তি কোথায়, আর এটি আমরা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে ব্যবহার করি, সে বিষয়ে অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই। আজ এই প্রবন্ধটির মধ্য দিয়ে, আমরা এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করব এবং এই প্রবাদবাক্যটি সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করব।
মিছরি কি?
মিছরি হলো এক ধরণের মিষ্টি যা সরকারিভাবে সুক্রোজ বা সাদা চিনির কেলাস B পণ্য হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। এটি একটি সাদা, ক্রিস্টলাইন উপাদান যেটি চিনি গাছের রস থেকে তৈরি করা হয়। মিছরি সাধারণত গ্রানুলেটে বা ব্লকে পাওয়া যায় এবং এটি খাওয়া যায় বা চায়ে বা অন্যান্য পানীয় মিষ্টি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। মিছরি হলো সুক্রোজের বিশুদ্ধ রূপ, এবং এতে কোনো অ্যাডিটিভ বা প্রিজারভেটিভ থাকে না। এটি একটি প্রাকৃতিক মিষ্টিকারক এবং এটি চিনি substitutes হিসাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
ছুরির সাথে মিছরির সম্পর্ক
মিছরির ছুরি কেন বলা হয়? মিছরি দিয়ে কি ছুরি বানানো হয়? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে প্রথমেই বুঝতে হবে মিছরি ও ছুরির আসল অর্থ কী। মিছরি হলো এক প্রকারের মিষ্টি, যা চিনির স্ফটিক দিয়ে তৈরি করা হয়। আর ছুরি হলো এক প্রকারের ধারালো অস্ত্র, যা কাটাকাটি বা আঘাত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তাহলে মিছরি আর ছুরির মধ্যে কী সম্পর্ক থাকতে পারে?
আসলে, ‘মিছরির ছুরি’ একটি বাগধারা বা প্রবাদ। এই প্রবাদটি এমন একটি বিষয়কে বোঝায় যা দেখতে মিষ্টি ও আকর্ষণীয় মনে হলেও আসলে তা ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক। অর্থাৎ, ‘মিছরির ছুরি’ বলতে এমন কিছুকে বোঝায় যা প্রথমে ভালো বা আনন্দদায়ক মনে হলেও পরে তা সমস্যা বা বিপদ ডেকে আনতে পারে। যেমন, মিষ্টি খাওয়া ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অনুরূপভাবে, কোনো কিছু দেখতে আকর্ষণীয় মনে হলেও তার প্রকৃত উদ্দেশ্য বিপজ্জনক হতে পারে। সুতরাং, ‘মিছরির ছুরি’ প্রবাদটি আমাদের সতর্ক করে দেয় যে, সবকিছুকে তার বাহ্যিক চেহারা দ্বারা বিচার করা উচিত নয়, বরং তার প্রকৃত স্বরূপ বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
বাক্যাংশের উৎপত্তি
মিছরির ছুরি কেন বলা হয়? মিছরি দিয়ে কি ছুরি বানানো হয়? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে প্রথমেই বুঝতে হবে মিছরি ও ছুরির আসল অর্থ কী। মিছরি হলো এক প্রকারের মিষ্টি, যা চিনির স্ফটিক দিয়ে তৈরি করা হয়। আর ছুরি হলো এক প্রকারের ধারালো অস্ত্র, যা কাটাকাটি বা আঘাত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তাহলে মিছরি আর ছুরির মধ্যে কী সম্পর্ক থাকতে পারে?
আসলে, ‘মিছরির ছুরি’ একটি বাগধারা বা প্রবাদ। এই প্রবাদটি এমন একটি বিষয়কে বোঝায় যা দেখতে মিষ্টি ও আকর্ষণীয় মনে হলেও আসলে তা ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক। অর্থাৎ, ‘মিছরির ছুরি’ বলতে এমন কিছুকে বোঝায় যা প্রথমে ভালো বা আনন্দদায়ক মনে হলেও পরে তা সমস্যা বা বিপদ ডেকে আনতে পারে। যেমন, মিষ্টি খাওয়া ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অনুরূপভাবে, কোনো কিছু দেখতে আকর্ষণীয় মনে হলেও তার প্রকৃত উদ্দেশ্য বিপজ্জনক হতে পারে। সুতরাং, ‘মিছরির ছুরি’ প্রবাদটি আমাদের সতর্ক করে দেয় যে, সবকিছুকে তার বাহ্যিক চেহারা দ্বারা বিচার করা উচিত নয়, বরং তার প্রকৃত স্বরূপ বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
আসল অর্থ ব্যাখ্যা
মিছরির ছুরি বলতে শুনে প্রথমেই মনে হয় এটি মিছরি দিয়ে তৈরি একটি আসল ছুরি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এটি একটি কথন। ‘মিছরির ছুরি’ কথাটি ব্যবহার করা হয় এমন একটি ব্যক্তিকে বোঝাতে যে কথায়-বার্তায় মিষ্টি এবং আকর্ষণীয় শব্দ ব্যবহার করে আবার নিজের কাজেও মিষ্টি এবং সহজ সরল ভাব দেখায়, কিন্তু আসলে তার কথা এবং কাজের মধ্যে রয়েছে অনেকটা ব্যবধান। তিনি মিষ্টি কথার ছুরিকাঘাত করে অন্যকে ব্যথিত করেন, তার সহজতার আড়ালে লুকিয়ে রাখেন তার স্বার্থপরতা। তাই সাবধান থাকুন এই মিছরির ছুরি থেকে, যাদের মধুর বাক্যে খুব সহজেই আপনি প্রতারিত হতে পারেন।
‘মিছরির ছুরি’ বাক্যাংশের বিভিন্ন ব্যবহার
‘মিছরির ছুরি’ বাক্যাংশটি আমাদের দৈনন্দিন কথোপকথনে প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এই বাক্যাংশটি কেন ব্যবহার করা হয়, সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। ‘মিছরি’ একটি মিষ্টি খাবার যা চিনির তৈরি। আর ‘ছুরি’ একটি ধারালো অস্ত্র যা কাটার কাজে ব্যবহার করা হয়। তাই প্রথমেই এটি বোঝা যায় যে মিছরি দিয়ে ছুরি বানানো সম্ভব নয়।
তাহলে ‘মিছরির ছুরি’ বাক্যাংশটি কেন ব্যবহার করা হয়? আসলে এই বাক্যাংশটি একটি রূপক। এটি এমন একটি পরিস্থিতিকে বোঝায় যেখানে কিছু মিষ্টি বা আকর্ষণীয় মনে হলেও তা আসলে ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক। এই রূপকটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন মহাকবি কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘ছোটদের কবিতা’ নামক কবিতার বইয়ে। এই বইয়ের একটি কবিতায় তিনি লিখেছেন, “মিছরির ছুরি ফুলের ঝাপটে, বেদনা বিষে ঢেকে রেখেছে”।
এই কবিতার মাধ্যমে নজরুল ইসলাম দেখিয়েছেন যে কিছু জিনিস যা দেখতে বা শুনতে ভালো লাগে, তা আসলে বিপজ্জনক হতে পারে। যেমন, কোনো সুন্দর ফুলে হয়তো বিষাক্ত কাঁটা থাকতে পারে। বা কোনো মিষ্টি খাবার হয়তো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই কারণে, আমাদের যেকোনো কিছুকে দেখে বা শুনে তার বিপদ সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। ‘মিছরির ছুরি’ বাক্যাংশটি আমাদের এই সতর্কতা মনে করিয়ে দেয়।
উপসংহার
‘মিছরির ছুরি’ বাক্যাংশটি আমাদের দৈনন্দিন কথোপকথনে প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এই বাক্যাংশটি কেন ব্যবহার করা হয়, সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। ‘মিছরি’ একটি মিষ্টি খাবার যা চিনির তৈরি। আর ‘ছুরি’ একটি ধারালো অস্ত্র যা কাটার কাজে ব্যবহার করা হয়। তাই প্রথমেই এটি বোঝা যায় যে মিছরি দিয়ে ছুরি বানানো সম্ভব নয়।
তাহলে ‘মিছরির ছুরি’ বাক্যাংশটি কেন ব্যবহার করা হয়? আসলে এই বাক্যাংশটি একটি রূপক। এটি এমন একটি পরিস্থিতিকে বোঝায় যেখানে কিছু মিষ্টি বা আকর্ষণীয় মনে হলেও তা আসলে ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক। এই রূপকটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন মহাকবি কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘ছোটদের কবিতা’ নামক কবিতার বইয়ে। এই বইয়ের একটি কবিতায় তিনি লিখেছেন, “মিছরির ছুরি ফুলের ঝাপটে, বেদনা বিষে ঢেকে রেখেছে”।
এই কবিতার মাধ্যমে নজরুল ইসলাম দেখিয়েছেন যে কিছু জিনিস যা দেখতে বা শুনতে ভালো লাগে, তা আসলে বিপজ্জনক হতে পারে। যেমন, কোনো সুন্দর ফুলে হয়তো বিষাক্ত কাঁটা থাকতে পারে। বা কোনো মিষ্টি খাবার হয়তো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই কারণে, আমাদের যেকোনো কিছুকে দেখে বা শুনে তার বিপদ সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। ‘মিছরির ছুরি’ বাক্যাংশটি আমাদের এই সতর্কতা মনে করিয়ে দেয়।
Leave a Reply