আমি এই বছরের ষষ্ঠী পূজার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। এই আলোচনা থেকে আপনারা ষষ্ঠী পূজার ইতিহাস, উদযাপন, কারণ, গুরুত্ব এবং পালনীয় নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এই পূজার সঙ্গে যুক্ত কিংবদন্তী ও রীতিনীতি সম্পর্কেও আপনাদের জানানো হবে। আশা করছি এই আলোচনা থেকে আপনারা ষষ্ঠী পূজার সম্পর্কে সার্বিক একটি ধারণা পাবেন এবং এই বিশেষ দিনটিকে আরও ভালোভাবে উদযাপন করতে পারবেন।
ষষ্ঠী পূজা
হল দেবী দুর্গার পূজোর একটি অংশ যেখানে দেবীর ষষ্ঠীরূপ পূজা করা হয়। এটি দেবী দুর্গার পূজার প্রথম দিন এবং এই দিনে মা দুর্গা মেষবাহিনী দুর্গেশ্বরীর পূজা করা হয়। পौराণিক কাহিনী অনুসারে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর নামে একটি অসুরকে বধ করার জন্য তার ষষ্ঠীরূপে প্রকাশ পান। এই দিনে ভক্তরা দেবীর পূজা করেন এবং উপবাস রাখেন। তারা দেবীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন যাতে তিনি তাদের মন্দির থেকে রক্ষা করেন এবং তাদের মঙ্গল করেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এবং ভক্তরা এটিকে আনন্দ এবং উৎসাহের সাথে উদযাপন করেন।
ষষ্ঠী পূজার উদযাপন
হল দেবী দুর্গার পূজোর একটি অংশ যেখানে দেবীর ষষ্ঠীরূপ পূজা করা হয়। এটি দেবী দুর্গার পূজার প্রথম দিন এবং এই দিনে মা দুর্গা মেষবাহিনী দুর্গেশ্বরীর পূজা করা হয়। পौराণিক কাহিনী অনুসারে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর নামে একটি অসুরকে বধ করার জন্য তার ষষ্ঠীরূপে প্রকাশ পান। এই দিনে ভক্তরা দেবীর পূজা করেন এবং উপবাস রাখেন। তারা দেবীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন যাতে তিনি তাদের মন্দির থেকে রক্ষা করেন এবং তাদের মঙ্গল করেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এবং ভক্তরা এটিকে আনন্দ এবং উৎসাহের সাথে উদযাপন করেন।
ষষ্ঠী পূজা করার কারণ
দুর্গাপূজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পূজা হলো ষষ্ঠী পূজা। প্রতিপদ থেকে অষ্টমী পর্যন্ত সপ্তমী তিথিতে এই পূজা করা হয়। এই দিনে কুমারিকা, গণেশ ও কর্তিকের সঙ্গে পিতৃপুরুষের পূজো করার রীতিও রয়েছে। এছাড়াও আয়ুধাপুজো এই দিন সকালে করা হয়। দুর্গাপুজোর আয়োজন এবং সাজসজ্জায় নিয়োজিত শিল্পী, মৃৎশিল্পী এবং কারিগররা তাঁদের হাতে থাকা সব ধরনের কার্যসরঞ্জামের পূজো করেন এই দিনটিতে। বিশ্বাস করা হয় যে রণমুখে অবতরণ করার আগে দুর্গা এই দিনটিতে তাঁর সমস্ত আয়ুধের পূজা করেছিলেন। সেই থেকেই এই আয়ুধাপূজার রেওয়াজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া পূজোর মণ্ডপে দুর্গা মূর্তি তৈরির কাজ শেষ হলেও সেই মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠার পূর্বদিন অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিনে পঞ্চমী থেকে শুরু হওয়া চক্ষুদানের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। তাই ষষ্ঠী পূজোর অন্যতম গুরুত্ব হল এই প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান।
ষষ্ঠী পূজার গুরুত্ব
প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে এই পূজাটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই পূজা মূলত শীতলার পূজা। শীতলা হলেন দেবী দুর্গারই একটি রূপ। তিনি রোগ, মহামারী এবং দুর্ভিক্ষ থেকে আমাদের রক্ষা করেন।
ষষ্ঠী পূজা করলে সন্তানদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু লাভ হয়। এছাড়াও এই পূজায় সিদ্ধিদাতা ব্রহ্মা এবং বিশ্বকর্মা দেবতারও পূজা করা হয়। তাই এই পূজা করলে সকল কাজে সিদ্ধিলাভ হয় এবং আমাদের জীবন থেকে সমস্ত দুর্ভোগ দূর হয়। ষষ্ঠী পূজা করলে আমাদের মন, কথা এবং কর্মে শুদ্ধতা আসে। এই পূজা করার মাধ্যমে আমরা দেবীর আশীর্বাদ লাভ করি এবং আমাদের জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তি দূর হয়।
ষষ্ঠী পূজায় পালনীয় নিয়মাবলী
অপরিসীম। প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে এই পূজাটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই পূজা মূলত শীতলার পূজা। শীতলা হলেন দেবী দুর্গারই একটি রূপ। তিনি রোগ, মহামারী এবং দুর্ভিক্ষ থেকে আমাদের রক্ষা করেন।
ষষ্ঠী পূজা করলে সন্তানদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু লাভ হয়। এছাড়াও এই পূজায় সিদ্ধিদাতা ব্রহ্মা এবং বিশ্বকর্মা দেবতারও পূজা করা হয়। তাই এই পূজা করলে সকল কাজে সিদ্ধিলাভ হয় এবং আমাদের জীবন থেকে সমস্ত দুর্ভোগ দূর হয়। ষষ্ঠী পূজা করলে আমাদের মন, কথা এবং কর্মে শুদ্ধতা আসে। এই পূজা করার মাধ্যমে আমরা দেবীর আশীর্বাদ লাভ করি এবং আমাদের জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তি দূর হয়।
Leave a Reply