সেলসিয়াস থার্মোমিটার কে আবিষ্কার করেছিলেন?

সেলসিয়াস থার্মোমিটার কে আবিষ্কার করেছিলেন?

সেলসিয়াস থার্মোমিটার আমরা সকলেই ব্যবহার করে থাকি তবে আমরা কি জানি যে সেলসিয়াস থার্মোমিটার কে আবিষ্কার করেছিলেন? না জানলে এখনই জেনে নিন।

সুপ্রভাত বন্ধুরা, আজ আমি তোমাদের সেলসিয়াস থার্মোমিটারের অতীত নিয়ে একটি আকর্ষণীয় আলোচনা করব। তোমরা কি কখনও ভেবেছো যে সেই থার্মোমিটার যা তোমরা প্রতিদিন তোমাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপতে ব্যবহার করো তার একটি ইতিহাসও আছে? হ্যাঁ, আছে আর আজ আমি সেই ইতিহাসটাই তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আমরা সেলসিয়াস থার্মোমিটারের উদ্ভাবক আন্ডার্স সেলসিয়াসের জীবন ও কাজ সম্পর্কে জানবো, সেই সঙ্গে তার তৈরি করা তাপমাত্রা স্কেলের উদ্ভব ও বিবর্তন সম্পর্কেও আলোচনা করব। আমরা দেখবো কিভাবে এই স্কেলটি তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য একটি সর্বজনীন মান হিসাবে গৃহীত হয়েছে এবং আজও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাহলে চলো শুরু করা যাক সেলসিয়াস থার্মোমিটারের ইতিহাসের এই আকর্ষণীয় যাত্রা।

সেলসিয়াস থার্মোমিটারের অতীত

আমি অ্যান্ডার্স সেলসিয়াস, একজন সুইডিশ জ্যোতির্বিদ ও উদ্ভাবক। আমি ১৭৪২ সালে সেন্টিগ্রেড থার্মোমিটার আবিষ্কার করি, যা পরবর্তীতে আমার নামে সেলসিয়াস থার্মোমিটার নামে পরিচিত হয়।

আমার থার্মোমিটার তাপমাত্রা পরিমাপের একটি সহজ এবং নির্ভরযোগ্য উপায় প্রদান করে। এতে একটি স্বচ্ছ গ্লাস টিউব থাকে যার নিচের প্রান্তে বাল্ব আছে। বাল্বে পারদ বা অ্যালকোহল থাকে, যা তাপমাত্রার পরিবর্তনের সাথে প্রসারিত বা সংকুচিত হয়। টিউবের পাশে একটি স্কেল রয়েছে যা তাপমাত্রা নির্দেশ করে। আমি জলের হিমাঙ্কের বিন্দুকে 0 ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ফুটন্ত বিন্দুকে 100 ডিগ্রি সেলসিয়াস হিসেবে সংজ্ঞায়িত করি।

আমার সেলসিয়াস থার্মোমিটার বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং দৈনন্দিন জীবনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। আজ, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত তাপমাত্রা স্কেল।

আন্ডার্স সেলসিয়াসের জন্ম ও প্রথম জীবন

আন্ডার্স সেলসিয়াস (১৭০১-১৭৪৪) ছিলেন একজন সুইডিশ জ্যোতির্বিদ, গণিতবিদ এবং পদার্থবিদ। তিনি ১৭৪২ সালে সেলসিয়াস থার্মোমিটার উদ্ভাবন করার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত, যা এখনও তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

See also  খাতা ও কলম আবিষ্কার কে করলেন? ইতিহাসের তথ্যসমূহ

সেলসিয়াসের জন্ম সুইডেনের উপসালা শহরে। তিনি আঠারো বছর বয়সে উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতে পড়াশোনা করেন। ১৭২৯ সালে তিনি রয়েল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৭৩০ সালে তিনি ফ্রান্সে যান এবং সেখানে পদার্থবিজ্ঞানী রেনে আঁতোইন ফেরচল্ট ডি রিওমারের সাথে কাজ করেন। ১৭৩২ সালে তিনি সুইডেনে ফিরে আসেন এবং উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।

১৭৪২ সালে সেলসিয়াস তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য একটি নতুন স্কেল প্রস্তাব করেন। এই স্কেল, যা এখন সেলসিয়াস স্কেল নামে পরিচিত, 0 ডিগ্রী সেলসিয়াসকে পানির হিমাংক বিন্দু এবং 100 ডিগ্রী সেলসিয়াসকে পানির স্ফুটনাংক বিন্দু হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে। সেলসিয়াসের থার্মোমিটারটি সেই সময়ের অন্যান্য থার্মোমিটারের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য ছিল এবং এটি দ্রুত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় একটি মানক হয়ে ওঠে।

সেলসিয়াসের তাপমাত্রা স্কেলের উদ্ভব

আন্ডার্স সেলসিয়াস (১৭০১-১৭৪৪) ছিলেন একজন সুইডিশ জ্যোতির্বিদ, গণিতবিদ এবং পদার্থবিদ। তিনি ১৭৪২ সালে সেলসিয়াস থার্মোমিটার উদ্ভাবন করার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত, যা এখনও তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

সেলসিয়াসের জন্ম সুইডেনের উপসালা শহরে। তিনি আঠারো বছর বয়সে উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতে পড়াশোনা করেন। ১৭২৯ সালে তিনি রয়েল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৭৩০ সালে তিনি ফ্রান্সে যান এবং সেখানে পদার্থবিজ্ঞানী রেনে আঁতোইন ফেরচল্ট ডি রিওমারের সাথে কাজ করেন। ১৭৩২ সালে তিনি সুইডেনে ফিরে আসেন এবং উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।

১৭৪২ সালে সেলসিয়াস তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য একটি নতুন স্কেল প্রস্তাব করেন। এই স্কেল, যা এখন সেলসিয়াস স্কেল নামে পরিচিত, 0 ডিগ্রী সেলসিয়াসকে পানির হিমাংক বিন্দু এবং 100 ডিগ্রী সেলসিয়াসকে পানির স্ফুটনাংক বিন্দু হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে। সেলসিয়াসের থার্মোমিটারটি সেই সময়ের অন্যান্য থার্মোমিটারের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য ছিল এবং এটি দ্রুত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় একটি মানক হয়ে ওঠে।

See also  ইন্টারনেট আবিষ্কার হলো কিভাবে? পেছনের আবিষ্কারক ও ইতিহাস

তাপমাত্রা নির্ধারণের জন্য স্কেল

তাপমাত্রা মাপার জন্য তিনটি প্রধান স্কেল ব্যবহার করা হয়: সেলসিয়াস, ফারেনহাইট এবং কেলভিন। এই তিনটি স্কেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সেলসিয়াস স্কেল। এই স্কেলে জলের হিমাঙ্ক বিন্দুকে 0°C এবং জলের স্ফুটনাঙ্ককে 100°C হিসেবে ধরা হয়। ফারেনহাইট স্কেলে জলের হিমাঙ্ক বিন্দু 32°F এবং জলের স্ফুটনাঙ্ক 212°F। কেলভিন স্কেল হল একটি পরম স্কেল যেখানে জলের ত্রি-বিন্দুকে 273.16K হিসেবে ধরা হয়।

সেলসিয়াস স্কেলটি সুইডিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যান্ডার্স সেলসিয়াস কর্তৃক 1742 সালে আবিষ্কৃত হয়। তিনি এই স্কেলকে প্রথমে 100 ডিগ্রি থেকে 0 ডিগ্রি পর্যন্ত সংজ্ঞায়িত করেছিলেন, যেখানে 100 ডিগ্রি ছিল জলের হিমাঙ্ক বিন্দু এবং 0 ডিগ্রি ছিল জলের স্ফুটনাঙ্ক। পরে 1745 সালে কার্ল লিনেয়াস এই স্কেলকে বিপরীত করে, যেখানে 0 ডিগ্রি ছিল জলের হিমাঙ্ক বিন্দু এবং 100 ডিগ্রি ছিল জলের স্ফুটনাঙ্ক। এই বিপরীত স্কেলটিই বর্তমানে সেলসিয়াস স্কেল হিসেবে পরিচিত।

সেলসিয়াস স্কেলের গ্রহণ এবং ব্যবহার

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনে তাপমাত্রার পরিমাপ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর তাপমাত্রা পরিমাপের ক্ষেত্রে সেলসিয়াস স্কেল সর্বাধিক ব্যবহৃত ও প্রচলিত স্কেলগুলোর একটি। এই স্কেলটি সুইডিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্ডার্স সেলসিয়াসের নামে নামকরণ করা হয়েছে। তিনি ১৭৪২ সালে এই তাপমাত্রা স্কেলটি উদ্ভাবন করেন।

সেলসিয়াস স্কেলটিতে জলের হিমাংককে ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং জলের ফুটন্ত বিন্দুকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এই দুটি তাপমাত্রার মধ্যবর্তী স্কেলকে ১০০ ভাগে ভাগ করে তাপমাত্রা সূচিত করা হয়। এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো, সেলসিয়াস স্কেলে জলের হিমাংক এবং ফুটন্ত বিন্দু উভয়টিই রুম তাপমাত্রার কাছাকাছি, যা আমাদের জন্য খুবই সুবিধাজনক। এ কারণে সাধারণ জীবনে তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য সেলসিয়াস স্কেলটি সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়।

সেলসিয়াস স্কেলের বর্তমান অবস্থা এবং প্রভাব

মূলত সেলসিয়াস স্কেল হল তাপমাত্রা পরিমাপের একটি মেট্রিক স্কেল যা 1742 সালে সুইডিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যান্ডার্স সেলসিয়াস আবিষ্কার করেছিলেন। এই স্কেলটিতে, জলের হিমাঙ্ককে 0 ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং জলের স্ফুটনাঙ্ককে 100 ডিগ্রি সেলসিয়াস হিসাবে নির্ধারণ করা হয়।

See also  তাপের যান্ত্রিক তুল্যতা আবিষ্কারের আকাশের তারা

তবে আসল বিষয়টি হলো সেলসিয়াস স্কেলটি আজও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, বিশেষত ইউরোপ এবং অন্যান্য অনেক দেশে। এটি একটি সুবিধাজন স্কেল কারণ এটি আমাদের পরিবেশের তাপমাত্রার পরিবর্তনগুলির সাথে সহজেই সম্পর্কযুক্ত হতে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, যখন তাপমাত্রা 0 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামে, আমরা জানি যে জল হিম হয়ে যাবে এবং যখন তাপমাত্রা 100 ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়, আমরা জানি যে জল ফুটতে শুরু করবে।

Torik Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *