এই প্রবন্ধে, আমরা কাজকে একটি রাশি হিসেবে আলোচনা করব। আমরা পরীক্ষা করে দেখব কাজ একটি স্কেলার রাশি কিনা, এবং যদি এটি হয়, তাহলে কেন। আমরা ঋণাত্মক কাজের ধারণাটিও অন্বেষণ করব এবং কাজ একটি স্কেলার রাশি হওয়া সত্ত্বেও এটি ঋণাত্মক হতে পারে কেন তা ব্যাখ্যা করব। শেষ পর্যন্ত, আমরা স্কেলার এবং ঋণাত্মক কাজের উদাহরণ প্রদান করব। এই প্রবন্ধটি পাঠ করার পর, আপনি বুঝতে পারবেন কীভাবে কাজকে একটি রাশি হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, এটি কীভাবে স্কেলার এবং ঋণাত্মক হতে পারে এবং বাস্তব জীবনের পরিস্থিতিতে এর প্রয়োগ কীভাবে করা যায়।

কাজ কী রাশি?

কর্কটক্রান্তি রেখাটি 地球 (পৃথিবী) এর ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থিত একটি কাল্পনিক রেখা, যা উত্তর গোলার্ধের সবচেয়ে দক্ষিণের অক্ষাংশ । এই রেখাটির অক্ষাংশ 23.436 ডিগ্রী উত্তর এবং এটি पृथ्वी (পৃথিবী) এর বিষুব রেখা থেকে প্রায় 2,485 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কর্কটক্রান্তি রেখার উত্তরে অবস্থিত স্থানগুলি উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত এবং দক্ষিণে অবস্থিত স্থানগুলিকে দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত বলে মনে করা হয়।

বাংলাদেশ কর্কটক্রান্তি রেখার উত্তরে অবস্থিত একটি দেশ। এর ভৌগোলিক অবস্থান 20°34′ উত্তর থেকে 26°38′ উত্তর অক্ষাংশ এবং 88°01′ পূর্ব থেকে 92°41′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। এই অবস্থানটি বাংলাদেশকে উত্তর গোলার্ধে এবং কর্কটক্রান্তি রেখার উত্তরে অবস্থিত করেছে।

কর্কটক্রান্তি রেখাকে ইংরেজিতে ট্রপিক অব ক্যান্সার বলা হয়। এর কারণ হল, প্রাচীনকালে, যখন সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার উপরে সরাসরি মাথার উপরে থাকত, তখন ক্যান্সার নক্ষত্রমণ্ডল দিগন্তে উঠত। এই কারণে, কর্কটক্রান্তি রেখাকে ট্রপিক অব ক্যান্সার নামেও পরিচিত।

স্কেলার রাশি কী?

স্কেলার রাশি হলো একটি ভৌত রাশি যা শুধুমাত্র একটি মান দ্বারা নির্ধারিত হয়, দিক দ্বারা নয়। উদাহরণস্বরূপ, তাপমাত্রা, দ্রুততা এবং ভর সবই স্কেলার রাশি।

যদিও কাজ একটি স্কেলার রাশি, তবুও এটি ঋণাত্মক হতে পারে। কাজকে কিছু যান্ত্রিক ক্রিয়া সম্পাদন করতে প্রয়োজনীয় শক্তির পরিমাণ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যখন একটি বল কোনো বস্তুর উপর ক্রিয়া করে এবং বস্তুটির সরণের দিকের সাথে বলের দিকের কোণ 90 ডিগ্রির বেশি হয়, তখন কাজটি ঋণাত্মক হিসাবে বিবেচিত হয়।

উদাহরণস্বরূপ, যখন তুমি কোনো বস্তুকে মাটির উপর ঘষে টানো, তখন বলটি বস্তুর সরণের দিকের সাথে 90 ডিগ্রির বেশি কোণে কাজ করে। এর ফলে বস্তুর গতিশক্তি হ্রাস পায় এবং কাজটি ঋণাত্মক হিসাবে বিবেচিত হয়।

ঋণাত্মক কাজের আরও একটি উদাহরণ হল বস্তুর গতির বিপরীতে ক্রিয়াশীল ঘর্ষণ বল। ঘর্ষণ বলের কাজ হল বস্তুর গতি শক্তিকে তাপ শক্তিতে রূপান্তর করা, যা বস্তুর গতি হ্রাস করে। এই কাজটিও ঋণাত্মক হিসাবে বিবেচিত হয়।

তাই, যদিও কাজ একটি স্কেলার রাশি, কিন্তু এটি ঋণাত্মক হতে পারে যখন বল এবং সরণের দিকের মধ্যে কোণ 90 ডিগ্রির বেশি হয় বা যখন ঘর্ষণ বল বস্তুর গতির বিপরীতে কাজ করে।

কাজের স্কেলার রাশি হওয়ার কারণ

কাজ একটি স্কেলার রাশি কারণ এটি শুধুমাত্র মাত্রা (সংখ্যা) দ্বারা বর্ণনা করা যায় এবং এর কোনো দিক নেই। যেমন, যদি আমরা একটি বস্তুর উপর 10 নিউটন কাজ করি, তাহলে আমরা শুধুমাত্র এই কাজের পরিমাণটি নির্দেশ করতে পারি, কিন্তু আমরা এই কাজের দিকটি নির্দেশ করতে পারি না।

তবে, এটি একটি ঋণাত্মক রাশি হতে পারে কারণ এটি শক্তির হ্রাসকে প্রতিনিধিত্ব করে। যখন আমরা একটি বস্তুর উপর ঋণাত্মক কাজ করি, তখন আমরা আসলে বস্তু থেকে শক্তি দূর করছি। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা একটি বস্তুকে মাটিতে ফেলতে দিই, তাহলে মাধ্যাকর্ষণ বল বস্তুর উপর ঋণাত্মক কাজ করে, যার ফলে বস্তুর গতিশক্তি হ্রাস পায়।

ঋণাত্মক কাজ কী?

ঋণাত্মক সূচক হল সেই সকল সংখ্যা যা শূন্যের চেয়ে কম। যেমন, -1, -2, -3 ইত্যাদি। ঋণাত্মক সংখ্যা সাধারণত কিছু ঘাটতি বা অভাবকে নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ, -5 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নির্দেশ করে যে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে 5 ডিগ্রি।

ঋণাত্মক সংখ্যাগুলি কাজের পরিমাপের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি কোনও প্রকল্পে কাজ করেন এবং আপনি প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় নেন, তবে আপনার কাজের পরিমাণ ঋণাত্মক হবে। এটি নির্দেশ করে যে আপনি প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে যা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেছেন।

কাজ স্কেলার রাশি হলেও ঋণাত্মক হওয়ার কারণ

কাজ হল একটি স্কেলার রাশি কারণ এটি কেবল পরিমাণ নির্দেশ করে, দিক নয়। তবে এটি ঋণাত্মক হতে পারে কারণ এটি একটি বস্তুর অন্য বস্তুর উপর প্রযুক্ত করা বলের বিপরীত দিক নির্দেশ করে।

যদি আমরা একটি উদাহরণ বিবেচনা করি, ধরুন একটি বস্তু x-অক্ষ বরাবর +5 m/s বেগে গতিশীল। এখন, আমরা বস্তুটির উপর -10 N বল প্রয়োগ করি x-অক্ষের বিপরীত দিকে। এই বলটি বস্তুর গতির বিরোধিতা করবে এবং বস্তুর গতি হ্রাস করবে। আমরা এই বলটিকে -10 N হিসাবে প্রকাশ করতে পারি কারণ এটি x-অক্ষের বিপরীত দিকে কাজ করে।

এই উদাহরণ থেকে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কাজটি স্কেলার হলেও এটি ঋণাত্মক হতে পারে যদি এটি বস্তুর গতির বিপরীত দিকে করা হয়।

উদাহরণ

কাজ একটি স্কেলার রাশি হওয়া সত্তেও এটি ঋণাত্মক হতে পারে কারণ এটি একটি দিক নির্দেশিত রাশি। দশা অর্থাৎ দিক অর্থাৎ বলের প্রয়োগ দ্বারা ভরের সরণের দিককে নির্দেশ করে। যখন কোনো ঘটনার কারণে বল দ্বারা সৃষ্ট অবস্থানের সরণ ঘটনার বিপরীত দিকে হয় তখন সেই কাজকে ঋণাত্মক কাজ বলে। সহজ কথায় কাজ হল বল দ্বারা ভরের সরণযুক্ত দিকটি। যদি কোনো বলের প্রয়োগে ভরের সরণ ঘটনার বিপরীত দিকে হয়, তাহলে সেই কাজটিকে আমরা ঋণাত্মক কাজ বলি।

স্বরূপ, যদি আমরা কোনো বস্তুর উপর একটি বল প্রয়োগ করি এবং বস্তুটি বলের প্রয়োগের বিপরীত দিকে সরে যায়, তাহলে আমরা বলি যে আমরা বস্তুর উপর ঋণাত্মক কাজ করেছি। এমন পরিস্থিতিতে, বলের প্রয়োগের দিকটি এবং বস্তুর সরণের দিকটি বিপরীত হয়। এই ক্ষেত্রে, কাজটি ঋণাত্মক হয় কারণ এটি শক্তির হ্রাসের প্রতিনিধিত্ব করে।