পলিথিনকে কেন ইথিলিনের পলিমার বলা হয়? (পলিমার অর্থাৎ কী?)

পলিথিনকে কেন ইথিলিনের পলিমার বলা হয়? (পলিমার অর্থাৎ কী?)

আমার আজকের আর্টিকেলের বিষয় পলিথিন। কেমন যে এই পলিথিন আমাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে তা বুঝতে পেরেও আমরা হয়তো অবাক হবো না। পলিথিনের নানান ব্যবহার রয়েছে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে অনেকাংশে সহজতর করেছে। তবে, পলিথিনের পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে, যা আমাদের অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। এই আর্টিকেলটিতে, আমি পলিথিন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব, যার মধ্যে রয়েছে এর সংজ্ঞা, উৎপাদন প্রক্রিয়া, বৈশিষ্ট্য, শিল্পে ব্যবহার এবং পরিবেশের উপর প্রভাব। এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি পলিথিন এবং এর ব্যবহার এবং পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন।

পলিথিনের সংজ্ঞা

পলিথিন কী?

পলিথিন হল একটি পলিমার যা ইথিলিনের পুনরাবৃত্ত ইউনিট দ্বারা গঠিত। এটি একটি হালকা, শক্ত এবং স্বচ্ছ পদার্থ যা পানি এবং অন্যান্য তরলকে অতিক্রম করতে পারে না। পলিথিনের রাসায়নিক সংকেত (C2H4)n।

ইথিলিনের সংজ্ঞা

পলিথিন কী?

পলিথিন হল একটি পলিমার যা ইথিলিনের পুনরাবৃত্ত ইউনিট দ্বারা গঠিত। এটি একটি হালকা, শক্ত এবং স্বচ্ছ পদার্থ যা পানি এবং অন্যান্য তরলকে অতিক্রম করতে পারে না। পলিথিনের রাসায়নিক সংকেত (C2H4)n।

পলিমারাইজেশন প্রক্রিয়া

পলিমারাইজেশন একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যেখানে ছোট ছোট অণুসমূহ (মনোমার) একত্রিত হয়ে বড় বড় অণু বা পলিমার তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ায় পলিমারের শৃঙ্খলের মধ্যে বন্ধন তৈরি হয়। পলিমারাইজেশন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন সাসপেনশন পলিমারাইজেশন, ইমালশন পলিমারাইজেশন ইত্যাদি। পলিমারাইজেশন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত মনোমারের ধরন পলিমারের গঠন ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে।

পলিথিনের বৈশিষ্ট্য

পলিমারাইজেশন একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যেখানে ছোট ছোট অণুসমূহ (মনোমার) একত্রিত হয়ে বড় বড় অণু বা পলিমার তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ায় পলিমারের শৃঙ্খলের মধ্যে বন্ধন তৈরি হয়। পলিমারাইজেশন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন সাসপেনশন পলিমারাইজেশন, ইমালশন পলিমারাইজেশন ইত্যাদি। পলিমারাইজেশন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত মনোমারের ধরন পলিমারের গঠন ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে।

See also  পৃথিবীর জলবায়ু থেকে আকাশের দূরত্ব কত? – বিস্ময়কর তথ্য

শিল্পে পলিথিনের ব্যবহার

পলিথিনকে ইথিলিনের পলিমার বলা হয় কারণ এটি ইথিলিনের পুনরাবৃত্ত একক দ্বারা গঠিত। ইথিলিন একটি পেট্রোকেমিক্যাল যা কাঁচা তেল থেকে উত্পন্ন হয়। যখন ইথিলিনকে উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপের অধীনে রাখা হয়, তখন এটি পলিমারাইজড হয়, অর্থাৎ এটি দীর্ঘ শৃঙ্খলে সংযুক্ত হয়। এই শৃঙ্খলগুলি পলিথিনের প্লাস্টিক তৈরি করে।

পলিথিনের বিভিন্ন ঘনত্ব রয়েছে, যা 0.91 গ্রাম/সিসি থেকে 0.97 গ্রাম/সিসি পর্যন্ত হতে পারে। ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে, পলিথিনকে তিনটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়:

  • নিম্ন ঘনত্বের পলিথিন (LDPE)
  • মধ্যম ঘনত্বের পলিথিন (MDPE)
  • উচ্চ ঘনত্বের পলিথিন (HDPE)

এই বিভিন্ন ঘনত্বগুলি পলিথিনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেয়, যেমন নমনীয়তা, শক্তি এবং তাপ সহ্য করার ক্ষমতা। এই বৈশিষ্ট্যগুলি পলিথিনকে ব্যাগ, প্যাকেজিং, পাইপ এবং অন্যান্য অনেক পণ্য তৈরি করতে বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহার করা যায়।

পরিবেশে পলিথিনের প্রভাব

পলিথিনকে ইথিলিনের পলিমার বলা হয় কারণ এটি ইথিলিন গ্যাসের একাধিক অণু একত্রে যুক্ত হয়ে তৈরি হওয়া একটি পদার্থ। প্রতিটি ইথিলিন অণুতে দুটি কার্বন পরমাণু এবং চারটি হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে। যখন এই অণুগুলি একত্রে যুক্ত হয়, তখন তারা একটি দীর্ঘ, শৃঙ্খলযুক্ত অণু তৈরি করে, যেখানে কার্বন পরমাণুগুলি একটি মেরুদণ্ডের মতো সংযুক্ত থাকে এবং হাইড্রোজেন পরমাণুগুলি মেরুদণ্ডের পাশে ঝুলন্ত থাকে। এই দীর্ঘ, শৃঙ্খলযুক্ত অণুগুলিই পলিথিনের মূল উপাদান। পলিথিনের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে, যা ইথিলিন অণুগুলির সংখ্যা এবং সংযুক্তির ধরণের উপর নির্ভর করে।

Rani Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *