আমাদের কম্পিউটারে মূল দুটি ধরণের মেমোরি থাকে- প্রাথমিক মেমোরি ও মাধ্যমিক মেমোরি। প্রাথমিক মেমোরির তুলনায় মাধ্যমিক মেমোরির সংস্থাপন ব্যয় কম। প্রাথমিক মেমোরিকে সাধারণত র\u200d্যাম বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এই র\u200d্যামকে কেন অস্থায়ী মেমোরি বলা হয় সেটা কি আপনারা জানেন? যদি না জেনে থাকেন, তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্যই। এই লেখার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন- র\u200d্যাম কীভাবে কাজ করে, কেন এটিকে অস্থায়ী মেমোরি বলা হয়, অস্থায়ী হওয়ার কারণে র\u200d্যামের কি কোনো অসুবিধা আছে? আর এই সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায় সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক।
র্যাম (RAM) এর অস্থায়ী হওয়ার কারণ এবং প্রভাব
র্যামকে (RAM) অস্থায়ী মেমোরি বলা হয় কারণ এটি একটি ভোল্যাটাইল মেমোরি। অর্থাৎ, যখনই কম্পিউটার বন্ধ করা হয়, তখন র্যামের সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায়। এটি কারণ র্যাম বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত হয় এবং যখন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন র্যামের ট্রানজিস্টরগুলি তাদের চার্জ হারিয়ে ফেলে। এর ফলে, র্যামে সংরক্ষিত ডেটা হারিয়ে যায়।
র্যামের অস্থায়ী হওয়ার প্রধান প্রভাবগুলির মধ্যে একটি হল এটি কম্পিউটারের সঞ্চয়নের সীমাবদ্ধতা তৈরি করে। যেহেতু র্যামের ডেটা কম্পিউটার বন্ধ করার সাথে সাথে মুছে যায়, তাই এটি স্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা যাবে না। এর পরিবর্তে, র্যামকে কেবল কম্পিউটার চলার সময় সাময়িকভাবে ডেটা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়।
র্যামের অস্থায়ী হওয়ার আরেকটি প্রভাব হল এটি কম্পিউটারের গতি বাড়ায়। যেহেতু র্যাম বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত হয়, তাই এটি হার্ড ড্রাইভের মতো মেকানিক্যাল স্টোরেজ ডিভাইসগুলির চেয়ে অনেক দ্রুত। এর ফলে কম্পিউটার দ্রুত লোড হয় এবং দ্রুত ডেটা অ্যাক্সেস করে।
যদিও র্যামের অস্থায়ী হওয়ার কিছু অসুবিধা রয়েছে, তবে এটি কম্পিউটারের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি কম্পিউটারকে দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে চালাতে সাহায্য করে।
Leave a Reply