খাবার খাওয়ার পর গলা জ্বালা কেন? জেনে নিন কারণ ও প্রতিকার

খাবার খাওয়ার পর গলা জ্বালা কেন? জেনে নিন কারণ ও প্রতিকার

খাদ্য গ্রহণের পরে গলা জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি অনেকেরই হয়ে থাকে। এটি একটি খুবই অস্বস্তিকর এবং বিরক্তিকর সমস্যা যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। যদি আপনারও খাওয়ার পরে গলা জ্বালাপোড়ার সমস্যা হয়, তাহলে আপনি একা নন। অনেক লোক এই সমস্যায় ভুগছে। এই ব্লগ পোস্টে, আমি আপনাদের খাদ্যগ্রাস করার পর গলা জ্বালাপোড়ার কারণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি पाने के लिए কী করতে পারেন তাও জানতে পারবেন।

খাদ্যগ্রাস করার পর গলা জ্বালাপোড়ার কারণসমূহ

খাওয়ার পর গলা জ্বালাপোড়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হলো-

  • অ্যাসিড রিফ্লাক্স: যখন পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে উঠে আসে, তখন এটি গলায় জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
  • হায়াটাস হার্নিয়া: এটি একটি অবস্থা যেখানে পাকস্থলীর একটি অংশ ডায়াফ্রামের একটি ছিদ্রের মধ্য দিয়ে বুকে উপরে উঠে আসে। এটি অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণ হতে পারে।
  • ইসোফেজাইটিস: এটি食道ের আস্তরণের প্রদাহ। এটি গলা জ্বালা, ব্যথা এবং গেলাফ্রেশ হওয়ার কারণ হতে পারে।
  • অ্যালার্জি বা অসহিষ্ণুতা: কিছু খাবারে অ্যালার্জি বা অসহিষ্ণুতা গলায় জ্বালা, ফোলা এবং ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
  • সাইনাস ইনফেকশন: সাইনাস থেকে নাকের পেছন দিয়ে গলায় মিউকাস স্রাব হলে গলায় জ্বালাপোড়া হতে পারে।
  • স্ট্রেপ থ্রোট: এটি একটি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ যা গলায় ব্যথা, জ্বালা এবং ফোলা সৃষ্টি করে।
  • টনসিলাইটিস: এটি টনসিলের প্রদাহ, যা গলায় ব্যথা, জ্বালা এবং ফোলা সৃষ্টি করে।

পাকস্থলীর এসিড রিফ্লাক্স

হল এমন একটি অবস্থা যেখানে পাকস্থলীর এসিড খাদ্যনালীতে ফিরে আসে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেক মানুষ প্রায়ই অভিজ্ঞতা করে। খাবার খাওয়ার পরে গলা জ্বালা হওয়া এটির একটি সাধারণ লক্ষণ।

এই জ্বালা সৃষ্টি হয় যখন पাকস্থলী থেকে অ্যাসিড খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে। এসিডটি খাদ্যনালীর অভ্যন্তরীণ আস্তরণকে জ্বালাতন করে, ফলে জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা হয়। এই অস্বস্তি কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হতে পারে।

See also  বি এড কোর্স: কেন আপনার এটি করতে হবে?

গলা জ্বালার অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে:

  • অ্যাসিড রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি)
  • হিয়াটাল হার্নিয়া
  • খাদ্যনালীর ইওসিনোফিলিয়া
  • গ্যাস্ট্রাইটিস
  • অ্যাসোফেজিয়াল স্টেনোসিস

যদি তোমার খাবার খাওয়ার পরে ঘন ঘন গলা জ্বালা হয়, তবে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারা তোমার লক্ষণগুলির কারণ নির্ধারণ করতে পারে এবং উপযুক্ত চিকিৎসার সুপারিশ করতে পারে।

হায়াটাস হার্নিয়া

একটি চিকিৎসা অবস্থা যা পাকস্থলীর একটি অংশ বুকের মধ্যে চলে যায়। এটি সাধারণত ছোট এবং কোনো লক্ষণ দেখায় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে, গলা জ্বালা, বুকে ব্যথা, হজমের সমস্যা এবং অন্যান্য লক্ষণের কারণ হতে পারে।

গলা জ্বালা হলো র একটি সাধারণ লক্ষণ। যখন পাকস্থলীর অংশ বুকের মধ্যে চলে যায়, তখন এটি পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড এবং অন্যান্য পদার্থকে গলাতে ফিরে আসতে দেয়। এই এসিড এবং পদার্থগুলি গলার আস্তরণকে জ্বালাতন করতে পারে, যার ফলে জ্বালা, ব্যথা এবং কাশি হতে পারে।

আপনি যদি খাবার খাওয়ার পর গলা জ্বালা অনুভব করেন, তবে আপনার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই লক্ষণটি অন্যান্য অবস্থার দ্বারাও সৃষ্ট হতে পারে, তাই সঠিক নির্ণয় এবং চিকিৎসা জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।

ইওসিনোফিলিক এসফ্যাগাইটিস

(EoE) হল একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেখানে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ায় খাদ্যনালির দেয়ালে ইওসিনোফিল নামক প্রদাহ সৃষ্টিকারী কোষ জমা হয়। এই প্রদাহ গলা জ্বালা এবং চুলকানির কারণ হতে পারে, বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পর।

সাধারণত খাদ্যনালির কোষগুলিতে বিদেশি আক্রমণকারীদের, যেমন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইওসিনোফিল নামক কোষগুলি নিঃসৃত হয়। তবে ে, ইওসিনোফিলগুলি খাদ্যনালিতে অতিরিক্ত পরিমাণে নিঃসৃত হয়, এমনকি যখন কোনও আক্রমণকারী না থাকে। এই অতিরিক্ত ইওসিনোফিলগুলি খাদ্যনালির দেয়ালকে প্রদাহিত করে, যা গলা জ্বালা এবং চুলকানির কারণ হতে পারে।

গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি)

(EoE) হল একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেখানে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ায় খাদ্যনালির দেয়ালে ইওসিনোফিল নামক প্রদাহ সৃষ্টিকারী কোষ জমা হয়। এই প্রদাহ গলা জ্বালা এবং চুলকানির কারণ হতে পারে, বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পর।

See also  বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষের ভাষাই সবচেয়ে মিষ্টি? সবার মতামত জানুন |

সাধারণত খাদ্যনালির কোষগুলিতে বিদেশি আক্রমণকারীদের, যেমন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইওসিনোফিল নামক কোষগুলি নিঃসৃত হয়। তবে ে, ইওসিনোফিলগুলি খাদ্যনালিতে অতিরিক্ত পরিমাণে নিঃসৃত হয়, এমনকি যখন কোনও আক্রমণকারী না থাকে। এই অতিরিক্ত ইওসিনোফিলগুলি খাদ্যনালির দেয়ালকে প্রদাহিত করে, যা গলা জ্বালা এবং চুলকানির কারণ হতে পারে।

উপকারী টিপস

খাবার খাওয়ার পর গলা জ্বালা করার একটি সাধারণ কারণ হল অ্যাসিড রিফ্লাক্স। যখন পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে ফিরে আসে, তখন এটি গলাকে জ্বালাতন করে। এটি ঘটতে পারে বিভিন্ন কারণে যেমন বেশি খাওয়া, তৈলাক্ত বা মশলাদার খাবার খাওয়া, বা সোনার আগে খাওয়া। গলা জ্বালা করার অন্যান্য কারণগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে:

  • অ্যালার্জি: খাদ্য, ধূলো বা পোষা প্রাণীর অ্যালার্জি গলা জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
  • সংক্রমণ: সর্দি, ফ্লু বা গলা ব্যথা গলা জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
  • শুষ্কতা: শুষ্ক বাতাস বা অপর্যাপ্ত জল পান গলাকে শুষ্ক এবং জ্বালাতন করতে পারে।
  • ধূমপান: ধূমপান গলাকে জ্বালাতন করে এবং শ্লেষ্মা উৎপাদন বাড়ায়।
  • গলাব্যथा: গলাব্যথা গলাকে জ্বালাতন এবং গিলতে বেদনাদায়ক করে তোলে।

গলা জ্বালা করার কারণ নির্ধারণ করতে আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। একবার কারণ নির্ধারণ হয়ে গেলে, আপনার চিকিৎসক আপনার উপসর্গগুলি উপশম করার জন্য ওষুধ বা জীবনযাত্রার পরিবর্তনগুলি সুপারিশ করতে পারেন।

Shohel Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *