জ্বর হলে ঠোঁটে কেন ঠোসা হয়? এর কারণ ও প্রতিকার

জ্বর হলে ঠোঁটে কেন ঠোসা হয়? এর কারণ ও প্রতিকার

আমি জ্বর নিয়ে অনেক বছর ধরে লিখছি. এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ এটি সবচেয়ে সাধারণ অসুস্থতাগুলির মধ্যে একটি এবং এটি গুরুতর জটিলতার কারণ হতে পারে। এই নিবন্ধে, আমি জ্বর ঠোসা সম্পর্কে আলোচনা করব, এটি কী, লক্ষণগুলি কী কী, কারণগুলি কী কী এবং এটি কীভাবে প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা করা যায়। আমি প্রতিরোধের জন্য কিছু টিপসও শেয়ার করব যাতে আপনি নিজেকে এবং আপনার প্রিয়জনদের এই মারাত্মক অসুস্থতা থেকে রক্ষা করতে পারেন।

জ্বর ঠোসা কী?

ঠোসা হল ফোস্কা যেগুলো জ্বর বা অন্য সংক্রমণের সময় ঠোঁট, মুখ বা জিহ্বায় হয়। এই ফোস্কাগুলো সাধারণত স্বচ্ছ বা সাদা রঙের হয় এবং তাদের ভেতরে তরল থাকে। ঠোসা সাধারণত ব্যথাযুক্ত হয় এবং তা খাওয়া-দাওয়া বা কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

যদিও ঠোসা সাধারণত একটি হালকা অসুস্থতা, তবে কিছু ক্ষেত্রে তা আরও গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যদি তোমার ঠোসাগুলো বড় হয়, ব্যথাযুক্ত হয় বা সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। ঠোসা যদি সংক্রমিত হয়, তাহলে তা জ্বর, ঠান্ডা লাগা এবং মাথাব্যথার মতো লক্ষণ তৈরি করতে পারে।

জ্বর ঠোসার লক্ষণ

জ্বর হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা যা কমবেশি সবারই হয়ে থাকে। তবে অনেকেরই জ্বর হলে ঠোঁটে ঠোসা হয়। এই ঠোঁটে ঠোসা হওয়ার কারণটা কী? আসলে জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে শরীরের ঘাম ঝরানোর প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত হয়। এই ঘামের সাথে শরীরের লবণ ও খনিজ পদার্থও বের হয়ে যায়। ফলে শরীরে লবণ ও খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা দেয়। এই ঘাটতির কারণে ঠোঁটে ঠোসা হয়।

ঠোঁটে ঠোসা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ এটি ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানিশূন্যতার লক্ষণ হতে পারে। তাই জ্বর হলে ঠোঁটে ঠোসা হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এছাড়াও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার যেমন ফল, সবজি, দুধ ইত্যাদি বেশি করে খান। এতে শরীরে লবণ ও খনিজ পদার্থের ঘাটতি পূরণ হবে এবং ঠোঁটের ঠোসা দূর হবে।

See also  ঘুমের মাঝে অবাক হয়ে জেগে ওঠা: কারণ এবং করণীয়

জ্বর ঠোসার কারণ

গতকাল রাতে আমার খুব জ্বর হয়েছিল। আমার ঠোঁটে ঠোঁসা দেখা দিয়েছিল। আমি ভাবছিলাম এই ঠোঁসা হল জ্বরেরই একটা লক্ষণ। কিন্তু পরে জানতে পারলাম যে, জ্বর হলে ঠোঁটে ঠোঁসা হওয়াটা আসলে জ্বরের লক্ষণ না। জ্বরের সাথে ডিহাইড্রেশন হওয়ার কারণে ঠোঁটে ঠোঁসা হয়। কারণ, জ্বর হলে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়। আর ঘামের সাথে শরীর থেকে জলও বের হয়ে যায়। ফলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। আর ডিহাইড্রেশনের কারণে ঠোঁটে ঠোঁসা হয়। তাই জ্বর হলে ঠোঁটে ঠোঁসা দেখলে বুঝতে হবে যে, তোমার শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়েছে। তাই জ্বর হলে অবশ্যই প্রচুর পানি পান করো। এতে শরীর ডিহাইড্রেটেড হওয়া থেকে রক্ষা পাবে এবং ঠোঁটে ঠোঁসাও হবে না।

জ্বর ঠোসা প্রতিরোধ

জ্বরে ঠোঁটের কনুইটিস বা ঠোস হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। প্রথমত, জ্বরের সময় শরীরে প্রচুর ঘাম হয়। ঘামের সাথে শরীর থেকে প্রচুর তরল নির্গত হয়। ফলে, শরীরে তরলের ঘাটতি হতে পারে। এই তরলের ঘাটতির কারণে ঠোঁট শুষ্ক, ফাটা এবং ঠোস হয়ে যেতে পারে।

দ্বিতীয়ত, জ্বরের সময় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। উচ্চ তাপমাত্রা ঠোঁটের ত্বকের কোষগুলিকে ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলি শুষ্ক এবং ঠোস হয়ে যায়, যার ফলে ঠোঁটের কনুইটিস হতে পারে।

তৃতীয়ত, জ্বরের সময় শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। এই দুর্বলতার কারণে, ঠোঁটে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে। এই সংক্রমণগুলিও ঠোঁটের কনুইটিসের কারণ হতে পারে।

জ্বরে ঠোঁটের কনুইটিস প্রতিরোধ করতে, প্রচুর তরল পান করা গুরুত্বপূর্ণ। তরল পানের মাধ্যমে শরীরের তরল ঘাটতি পূরণ করা যায়। এছাড়াও, জ্বরের সময় ঠোঁটে ভ্যাসলিন বা লિপ বাম ব্যবহার করা উচিত। এই পণ্যগুলি ঠোঁটকে আর্দ্র এবং ময়েশ্চারাইজ রাখতে সাহায্য করে।

See also  ফোমের ম্যাট্রেস, জাজিম নাকি তোষক— কোনটা আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো বিছানা?

জ্বর ঠোসার চিকিৎসা

জ্বর হলে ঠোঁটে ঠোসা হওয়া একটি সাধারণ উপসর্গ, যা আমাদের প্রায় সকলের মধ্যেই হয়। মেডিকেল টার্মে এটাকে চিলি বলে। জ্বরের সময় আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, যার ফলে আমাদের ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায় এবং ভেতর থেকে ফেটে যায়। ফাটা ঠোঁটকে ঠোসা বলা হয়।

Payel Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *