রামকৃষ্ণকে কেন ‘পরমহংস’ বলা হয়? জানুন এর রহস্যময় কাহিনী!

রামকৃষ্ণকে কেন ‘পরমহংস’ বলা হয়? জানুন এর রহস্যময় কাহিনী!

रामकृष्ण परमहंस के नाम से जाने जाने वाले महान संत श्री रामकृष्ण को ‘परमहं’ की उपाधि प्राप्त है। यह उपाधि उनके आध्यात्मिक साधना और आत्मज्ञान प्राप्ति के उपलक्ष्य में उन्हें प्रदान की गई थी। इस लेख में, मैं आपको बताऊंगा कि रामकृष्ण को ‘परमहंस’ क्यों कहा जाता था। मैं आपको ‘परमहंस’ उपाधि के इतिहास और उसे प्रदान करने की प्रक्रिया के बारे में जानकारी दूंगा। हम उपाधि देने वाले द्वारा रामकृष्ण की मान्यता और ‘परमहंस’ उपाधि के अर्थ और महत्व का भी पता लगाएंगे। इसके अलावा, हम चर्चा करेंगे कि कैसे इस उपाधि ने रामकृष्ण के जीवन और शिक्षाओं को प्रभावित किया। यह लेख आपको रामकृष्ण के आध्यात्मिक पथ और उनकी शिक्षाओं की गहरी समझ प्रदान करने में मदद करेगा।

রামকৃষ্ণ কে ‘পরমহংস’ বলা হতো কেন?

রামকৃষ্ণ পরমহংসকে ‘পরমহংস’ বলা হতো কারণ তিনি ছিলেন হংসের মতো নির্লিপ্ত ও আধ্যাত্মিক উচ্চতর একজন সাধক। তিনি মায়ার প্রতি আসক্ত ছিলেন না এবং ব্রহ্মের সঙ্গে একাত্ম হয়েছিলেন। তিনি সর্বদা ভগবানের মধ্যে মগ্ন থাকতেন এবং তাঁর সমস্ত কাজ ও কথা ছিল আধ্যাত্মিক জ্ঞানে পরিপূর্ণ। তাঁর এই আধ্যাত্মিক উচ্চতার কারণেই তাঁকে ‘পরমহংস’ উপাধি দেওয়া হয়েছিল।

এই ‘পরমহংস’ উপাধিটি তাঁকে দিয়েছিলেন তাঁর শিষ্য বিবেকানন্দ। একদিন বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণকে দেখতে তাঁর কুটিরে এসেছিলেন। সেদিন রামকৃষ্ণ হংসের পালকে বসে জপ করছিলেন। বিবেকানন্দ তাঁর এই অবস্থা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, “আপনি তো ঠিক হংসের মতোই নির্লিপ্ত ও আধ্যাত্মিক।” সেই থেকেই রামকৃষ্ণকে ‘পরমহংস’ বলা হতো।

পরমহংস’ উপাধি প্রদানের ইতিহাস

রামকৃষ্ণ পরমহংস হলেন ভারতের একজন বিখ্যাত সন্ন্যাসী এবং আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি “পরমহংস” উপাধি পেয়েছিলেন, যা সংস্কৃত শব্দ “পরম” (সর্বোচ্চ) এবং “হংস” (হাঁস) থেকে উদ্ভূত। এই উপাধিটি ঐতিহ্যগতভাবে শুধুমাত্র সর্বাধিক উन्नত স্তরের সন্ন্যাসীদের দেওয়া হয়, যাদের বলা হয় যে তারা আত্মজ্ঞান লাভ করেছেন এবং মোক্ষ অর্জন করেছেন।

See also  স্যার সৈয়দ আহমদ খান: আধুনিক মুসলিম ভারতের জনক তিনিই

রামকৃষ্ণকে ১৮৬৬ সালে তোতাপুরী মহান্ত থেকে “পরমহংস” উপাধি দেওয়া হয়েছিল। তোতাপুরী মহান্ত ছিলেন একজন বিখ্যাত সন্ন্যাসী, যিনি রামকৃষ্ণের আধ্যাত্মিক গুরু ছিলেন। তিনি রামকৃষ্ণের আধ্যাত্মিক অনুভূতি এবং শাস্ত্রীয় জ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাকে এই উপাধি দিয়েছিলেন। “পরমহংস” উপাধি দেওয়ার মাধ্যমে, তোতাপুরী মহান্ত রামকৃষ্ণকে শুধুমাত্র একজন উচ্চ স্তরের সন্ন্যাসী হিসাবেই নয়, বরং একজন মহান ঋষি হিসাবেও স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এই উপাধিটি তখন থেকে রামকৃষ্ণের সাথে যুক্ত হয়ে গিয়েছে এবং তাকে রামকৃষ্ণ পরমহংস হিসাবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং স্মরণ করা হয়।

উপাধিদাতা কর্তৃক রামকৃষ্ণের স্বীকৃতি

রামকৃষ্ণকে ‘পরমহংস’ উপাধি দিয়েছিলেন পুরীতে তার দীক্ষাগুরু তোতাপুরী মহারাজ। এটি একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ “সর্বোচ্চ হংস”। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, হংসকে জ্ঞান, বৈরাগ্য এবং আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তোতাপুরী মহারাজ রামকৃষ্ণের অসামান্য আধ্যাত্মিক বিকাশ এবং সত্য অনুসন্ধানের অদম্য তৃষ্ণা দেখে তাকে এই উপাধি দিয়েছিলেন। পরমহংস উপাধি রামকৃষ্ণের আধ্যাত্মিক অবস্থানের সর্বোচ্চ স্তরের প্রতীক। এটি নির্দেশ করে যে তিনি আধ্যাত্মিক স্কেলের সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছেন এবং আত্মজ্ঞান ও ঈশ্বরের উপলব্ধি লাভ করেছেন।

‘পরমহংস’ উপাধির অর্থ ও তাৎপর্য

পরমহংস উপাধিটি হিন্দুধর্মে সর্বাধিক শ্রদ্ধেয় এবং পবিত্র উপাধিগুলির মধ্যে একটি। এই শব্দটি সংস্কৃত শব্দ “পরম” (সর্বোচ্চ) এবং “হংস” (হংস) থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এটি এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি আধ্যাত্মিক সাধনার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছেন এবং মোক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।

শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস ছিলেন একজন মহান সাধক এবং সংস্কারক যিনি ঊনবিংশ শতাব্দীতে বেঁচে ছিলেন। তিনি তার অনুগামীদের দ্বারা ‘ঠাকুর’ নামেও পরিচিত ছিলেন। ‘পরমহংস’ উপাধিটি তাকে তার গুরু তোতাপুরী মহারাজ দিয়েছিলেন, যিনি তার আধ্যাত্মিক সাধনার উচ্চ স্তরের কথা জানতেন।

তোতাপুরী মহারাজ ছিলেন একজন বিখ্যাত অদ্বৈত বেদান্ত দার্শনিক এবং তিনি রামকৃষ্ণের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা এবং শাস্ত্রজ্ঞান দ্বারা অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি রামকৃষ্ণকে পরমহংস উপাধি দিয়েছিলেন, যা তার আধ্যাত্মিক প্রাপ্তির স্বীকৃতি ছিল। এই উপাধিটি রামকৃষ্ণের আধ্যাত্মিক মহত্ত্ব এবং তাঁর শিক্ষার সর্বজনীনতার প্রতীক।

See also  ইবন তাইমিয়া: যুগান্তকারী ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেম

তুমি যখন ‘পরমহংস’ শব্দটি শুনবে তখন সর্বদা মনে রেখো যে এটি শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিদের জন্যই ব্যবহার করা হয় যারা আধ্যাত্মিক সাধনার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছেন। এটি একটি অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় উপাধি যা রামকৃষ্ণ পরমহংসের মতো মহান সাধকদের মহিমা প্রকাশ করে।

Pavel Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *