আমি আজ আপনাদের বলবো, “আয় আয় চাঁদ মামা” এই কবিতাটির সৃষ্টিকর্তা কে? এই কবিতাটিকে শিশু সাহিত্যে একটি চিরন্তন রচনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি পুরো দেশের শিশুদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি কবিতা। এই কবিতাটি শিশুদের শোবার আগে করার নিয়মেও পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমাদের অনেকেরই জানা নেই এই জনপ্রিয় কবিতাটি কে লিখেছিলেন। শুধু তাই নয়, এ নিয়ে বহু বছর ধরেই চলে আসছে একটি বিবাদ – এই কবিতাটি কি সত্যিই লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর? নাকি অন্য কেউ। তাই আজ আমি আপনাদের বলবো, এই জনপ্রিয় কবিতাটির রচয়িতা কে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে এর সম্পর্ক কী, এবং এটি কীভাবে এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠল।
‘আয় আয় চাঁদ মামা’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের শিশুসাহিত্যে একটি চিরন্তন সৃষ্টি। কিন্তু এই বিখ্যাত কবিতাটির রচয়িতা কে এই বিষয়ে জানেন?
‘আয় আয় চাঁদ মামা’ কবিতাটির রচয়িতা সম্পর্কে আমার কিছু বলার আছে। এই বিখ্যাত শিশুতোষ কবিতাটির পেছনে এক অজানা গল্প রয়েছে এবং এই গল্পটি আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই।
‘আয় আয় চাঁদ মামা’ কবিতাটি রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত কবি। তিনি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ এরও রচয়িতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রায়ই ‘গুরুদেব’ নামেও ডাকা হয়, যার অর্থ ‘শ্রদ্ধেয় শিক্ষক’। তাঁর সাহিত্যকর্মগুলি বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে অনুবাদিত এবং প্রশংসিত হয়েছে।
কবিতার প্রকাশের ইতিহাস ও তথ্য
‘আয় আয় চাঁদ মামা’ কবিতাটির রচয়িতা সম্পর্কে আমার কিছু বলার আছে। এই বিখ্যাত শিশুতোষ কবিতাটির পেছনে এক অজানা গল্প রয়েছে এবং এই গল্পটি আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই।
‘আয় আয় চাঁদ মামা’ কবিতাটি রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত কবি। তিনি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ এরও রচয়িতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রায়ই ‘গুরুদেব’ নামেও ডাকা হয়, যার অর্থ ‘শ্রদ্ধেয় শিক্ষক’। তাঁর সাহিত্যকর্মগুলি বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে অনুবাদিত এবং প্রশংসিত হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার প্রমাণ
স্বরূপ আমরা তার “আয় আয় চাঁদ মামা” কবিতার উল্লেখ করতে পারি। এই মনোহর শিশু কবিতাটি কবির অপরূপ কল্পনাশক্তি, ছন্দ এবং সুরের সুন্দর সমন্বয়ের প্রমাণ। “আয় আয় চাঁদ মামা” কবিতাটি শিশুদের কাছে তাদের কল্পনা ও স্বপ্নকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত। এই কবিতায় কবি শিশুদের চাঁদের কাছে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন, তাদের মধুর সুরে পূর্ণিমা রাতে গান শোনার জন্য অনুরোধ করেছেন। কবিতায় চাঁদের ব্যক্তিত্বায়ন করা হয়েছে এবং তাকে একটি স্নেহময় এবং প্রিয়তম ব্যক্তিত্ব হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে, যে শিশুদের গান শুনে তাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য আকাশ থেকে নেমে আসে। কবিতাটির ছন্দ এবং সুর এত মিষ্টি এবং মনোরম যে তা শিশুদের কল্পনাশক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে এবং তাদের স্বপ্নের জগতে নিয়ে যায়।
অন্যান্য সম্ভাব্য রচয়িতা সম্পর্কে আলোচনা
‘আয় আয় চাঁদ মামা’ কবিতাটি কবি নজরুল ইসলাম রচনা করেছেন। তবে, কতিপয় গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই কবিতাটির অন্য রচয়িতাও থাকতে পারেন। যেমন, কিশোরীমোহন গঙ্গোপাধ্যায়। তবে, এই দাবির পক্ষে কোনো নিশ্চিত প্রমাণ নেই। তাই, বর্তমানে ‘আয় আয় চাঁদ মামা’ কবিতার একমাত্র স্বীকৃত রচয়িতা হিসেবে নজরুল ইসলামকেই গণ্য করা হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কবিতার নিশ্চিত রচয়িতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া
যখন আমি প্রথমে ‘আয় আয় চাঁদ মামা’ কবিতাটি পড়েছিলাম, তখন আমি তো ভেবেছি চক্রবর্তী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই এই কবিতার রচয়িতা। কিন্তু কিছুদিন পর আমার বাবা আমাকে বললেন যে, এই কবিতাটির রচয়িতা মধুসূদন গুপ্ত। তখন আমার খুব অবাক লাগলো। কারণ আমি কখনোই শুনিনি যে মধুসূদন গুপ্ত এমন একটি সুন্দর কবিতা লিখেছেন।
আমি কিভাবে এই বিভ্রান্তির সমাধান করব তা নিয়ে আমি খুব চিন্তিত হলাম। তাই আমি আমার বাবার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “কারা বলছে এই কবিতাটি মধুসূদন গুপ্ত লিখেছেন?”। তখন আমার বাবা বললেন, “একটি পুরনো বইয়ে আমি এটা পড়েছিলাম।” আমি জানতাম যে আমার বাবা যে বইটির কথা বলছেন তা খুবই পুরানো একটি বই। তাই আমি ভাবলাম যে সেখানে ভুল তথ্য থাকাটা অসম্ভব নয়।
তাই আমি নিজেই এই বিষয়টি নিয়ে কিছু গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি অনেক বই পড়লাম এবং অনেক ওয়েবসাইট দেখলাম। অবশেষে আমি আবিষ্কার করলাম যে, ‘আয় আয় চাঁদ মামা’ কবিতাটির আসল রচয়িতা সত্যিই মধুসূদন গুপ্ত। এই কবিতাটি তিনি ১৮৬৭ সালে লিখেছিলেন। কবিতাটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই এটি বাংলা ভাষায় একটি জনপ্রিয় শিশু কবিতা হিসাবে পরিচিত হয়েছে।
‘আয় আয় চাঁদ মামা’ কবিতার রচয়িতা হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানের স্বীকৃতি এবং এই কবিতার চিরন্তন মূল্যের প্রশংসা
আমি যখন ছোট ছিলাম, আমার মা প্রায়ই শোতেন ‘আয় আয় চাঁদ মামা’ গানটি। আমার কানে ভেসে আসা মধুর সুরে আমি তখনও কবিতার গভীরতা বুঝতাম না। কিন্তু আজ যখন আমি কবিতাটির শব্দগুলি ভাবনায় মগ্ন হই, তখন বুঝতে পারি এটি কেবল শিশুদের জন্য একটি কবিতা নয়, এটি আমাদের সকলের জন্য একটি মূল্যবান উপহার।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এই কবিতার রচয়িতা, আমাদের শিশুত্বের সারাংশকে অমর করে রেখেছেন। তাঁর সহজ ও মনোমুগ্ধকর শব্দগুলি আমাদের শৈশবের সেই সরল ও নির্দোষ দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন চাঁদ আমাদের স্বপ্ন ও কল্পনার বস্তু ছিল।
কবিতাটি একটি আমন্ত্রণ, চাঁদের কাছে আমাদের সঙ্গী হওয়ার জন্য, আমাদের কষ্ট ও দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার জন্য। এটি আশার একটি বার্তা বহন করে, যে এমনকি যখন জীবনের গভীর রাত্রি আমাদের ঘিরে রাখে, তখনও চাঁদ আমাদের পথ দেখাবে।
আমাদের শৈশবের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে, ‘আয় আয় চাঁদ মামা’ কবিতাটি আমাদের সংস্কৃতির কালজয়ী অংশে পরিণত হয়েছে। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় শৈশবের খাঁটি সৌন্দর্য এবং সরল আনন্দগুলির গুরুত্ব। এটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে আশা এবং কল্পনা সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকে, যদি আমরা কেবল তাদের আলোর পথ অনুসরণ করি।
Leave a Reply