আমাদের সকলেরই পরিচিত একটি ছড়ার নাম ‘খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে’। ছোটবেলা থেকে আমরা সকলেই এই ছড়াটি শিখেছি ও মুখস্থ করেছি। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন এই ছড়াটির সৃষ্টি কীভাবে হয়েছিল? কে এর রচয়িতা? বা কীসের প্রেক্ষিতে এই ছড়াটি রচিত হয়েছিল? আবার এই ছড়াটির সাহিত্যিক গুরুত্ব কী?
তো, আজ আমি আপনাদের এই প্রশ্নগুলোরই উত্তর দিতে চলেছি। এই ব্লগ পোস্টে আমি ‘খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে’ ছড়াটির সৃষ্টি, লেখক, আবির্ভাব কাল ও প্রেক্ষাপট, সাহিত্যিক গুরুত্ব, প্রচলন ও প্রভাব এবং উপসংহার নিয়ে আলোচনা করব। তাই, যদি আপনার এই ছড়াটির সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে, তাহলে অবশ্যই এই ব্লগ পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আমার বিশ্বাস, আপনি নিराশ হবেন না।
‘খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে’ ছড়াটির সৃষ্টি
‘খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো, বর্গী এলো দেশে’ এই অমর ছড়াটির স্রষ্টা হলেন মহাকবি মধুসূদন দত্ত। তাঁর জন্ম ১৮২৪ সালের ২৪ শে জানুয়ারী, বর্তমান বাংলাদেশের যশোর জেলার সদর উপজেলায়। মধুসূদন ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম সারির কবি ও নাট্যকার। তিনি রোম্যান্টিক ধারার অন্যতম প্রবর্তক ছিলেন। তাঁর অসামান্য প্রতিভা ও অবদানের জন্য তিনি ‘কবিরাজ’ নামে পরিচিত ছিলেন।
ছড়াটির লেখকের পরিচয়
‘খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো, বর্গী এলো দেশে’ এই অমর ছড়াটির স্রষ্টা হলেন মহাকবি মধুসূদন দত্ত। তাঁর জন্ম ১৮২৪ সালের ২৪ শে জানুয়ারী, বর্তমান বাংলাদেশের যশোর জেলার সদর উপজেলায়। মধুসূদন ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম সারির কবি ও নাট্যকার। তিনি রোম্যান্টিক ধারার অন্যতম প্রবর্তক ছিলেন। তাঁর অসামান্য প্রতিভা ও অবদানের জন্য তিনি ‘কবিরাজ’ নামে পরিচিত ছিলেন।
ছড়াটির আবির্ভাবের কাল ও প্রেক্ষাপট
ছড়াটির আবির্ভাবের কাল ও প্রেক্ষাপট
এই জনপ্রিয় ছড়াটি কে লিখেছেন, সেই প্রশ্নের উত্তরটি প্রথমে জেনে নিই। ছড়াটি রচনা করেছেন সুকুমার রায়। ছড়াটি রচনার সময়টি ছিল ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের প্রথমার্ধ। তখন ভারতবর্ষে জাতীয়তাবাদের আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সারা দেশে প্রতিবাদ ও অসন্তোষের আগুন জ্বলছে। এই সময়টাতে সুকুমার রায়ের মনেও দেশপ্রেমের জোয়ার উঠেছিল। তিনি এই ছড়াটি রচনা করেছিলেন ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে নিজের প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করার জন্য। ছড়াটিতে ‘খোকা’র মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষকে বুঝিয়েছেন, যারা নিজেদের অজান্তেই ব্রিটিশ শাসনের অত্যাচারে নিষ্পেষিত হচ্ছেন। ‘পাড়া’র মাধ্যমে তিনি বুঝিয়েছেন দেশকে, যেখানে এই অত্যাচার চলছে। আর ‘বর্গী’র মাধ্যমে বুঝিয়েছেন ব্রিটিশ শাসকদের। এই ছড়াটির মাধ্যমে সুকুমার রায় সাধারণ মানুষকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সচেতন হতে এবং প্রতিবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
ছড়াটির সাহিত্যিক গুরুত্ব
ছড়াটি রচনা করেছেন শিশুসাহিত্যিক প্রফুল্লচন্দ্র মল্লিক। অপরিসীম। এই ছড়াটি কেবলমাত্র শিশুদের বিনোদন নয়, বরং তারা দেশপ্রেম, সাহস এবং একতা সম্পর্কে শেখার জন্যও একটি শিক্ষামূলক উপকরণ।
এই ছড়াটির মাধ্যমে কবি দেশের শত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য সাহস এবং একতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। এটি শিশুদের মনে সাহস ও দেশপ্রেমের বীজ বপন করতে সাহায্য করে।
ছড়াটির সাহিত্যিক গুণাবলীও উল্লেখযোগ্য। এর সহজ, সুরেলা ছন্দ এবং সরল ভাষা শিশুদের মনকে আকর্ষণ করে এবং তাদের স্মৃতিতে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রাখে।
ছড়াটির প্রচলন ও প্রভাব
ছড়াটির প্রচলন ও প্রভাব
“খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো, বর্গী এলো দেশে” এই ছড়াটি বাংলা সাহিত্যে একটি অমর রচনা। এটি লিখেছেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। ছড়াটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪২ সালে ‘কবিতা’ পত্রিকায়। এই ছড়াটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে। কারণ, এটি একটি প্রতিবাদী সুরে রচিত ছিল এবং এটি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করেছিল।
এই ছড়াটির ভাষা খুবই সরল এবং সহজবোধ্য। তবে এর অর্থ খুব গভীর। এই ছড়াটির প্রথম পংক্তিতে কবি বলছেন, “খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো”। এর অর্থ হলো, দেশের সবাই ঘুমিয়ে আছে, কেউ কিছুই করছে না। এরপর দ্বিতীয় পংক্তিতে কবি বলছেন, “বর্গী এলো দেশে”। এর অর্থ হলো, শত্রুরা দেশে হানা দিয়েছে। তৃতীয় পংক্তিতে কবি বলছেন, “কোথায় যাবে খোকা দুখী”। এর অর্থ হলো, বিপদের সময় যাবে কোথায়? চতুর্থ পংক্তিতে কবি বলছেন, “শত্রু এসেছে দেশে”। এর অর্থ হলো, শত্রুরা দেশ দখল করে নিয়েছে।
এই ছড়াটির শেষ পংক্তিতে কবি বলছেন, “ওরে আমার দেশের মাটি”। এর অর্থ হলো, দেশের মানুষ দেশের জন্য কিছুই করছে না। তারা শুধু ঘুমিয়ে আছে। তাই শত্রুরা এসে তাদের দেশ দখল করে নিয়েছে।
উপসংহার
ছড়াটির প্রচলন ও প্রভাব
“খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো, বর্গী এলো দেশে” এই ছড়াটি বাংলা সাহিত্যে একটি অমর রচনা। এটি লিখেছেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। ছড়াটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪২ সালে ‘কবিতা’ পত্রিকায়। এই ছড়াটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে। কারণ, এটি একটি প্রতিবাদী সুরে রচিত ছিল এবং এটি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করেছিল।
এই ছড়াটির ভাষা খুবই সরল এবং সহজবোধ্য। তবে এর অর্থ খুব গভীর। এই ছড়াটির প্রথম পংক্তিতে কবি বলছেন, “খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো”। এর অর্থ হলো, দেশের সবাই ঘুমিয়ে আছে, কেউ কিছুই করছে না। এরপর দ্বিতীয় পংক্তিতে কবি বলছেন, “বর্গী এলো দেশে”। এর অর্থ হলো, শত্রুরা দেশে হানা দিয়েছে। তৃতীয় পংক্তিতে কবি বলছেন, “কোথায় যাবে খোকা দুখী”। এর অর্থ হলো, বিপদের সময় যাবে কোথায়? চতুর্থ পংক্তিতে কবি বলছেন, “শত্রু এসেছে দেশে”। এর অর্থ হলো, শত্রুরা দেশ দখল করে নিয়েছে।
এই ছড়াটির শেষ পংক্তিতে কবি বলছেন, “ওরে আমার দেশের মাটি”। এর অর্থ হলো, দেশের মানুষ দেশের জন্য কিছুই করছে না। তারা শুধু ঘুমিয়ে আছে। তাই শত্রুরা এসে তাদের দেশ দখল করে নিয়েছে।
Leave a Reply