ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তন: ইতিহাস, গৌতম বুদ্ধ এবং অশোকের ভূমিকা

ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তন: ইতিহাস, গৌতম বুদ্ধ এবং অশোকের ভূমিকা

আমি একজন বাঙালি কন্টেন্ট রাইটার। আজ আমি তোমাদের জানাব ভারতের বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে। এই আর্টিকেলটিতে আমি তোমাদের বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক, বুদ্ধদেবের জীবন ও শিক্ষা, ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তার, বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান শাখা, ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব এবং বর্তমানে ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেব। এই আর্টিকেল পড়ার পর, তোমরা ভারতের বৌদ্ধ ধর্মের সম্পূর্ণ ইতিহাস এবং বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবে। তাই আর দেরি না করে শুরু করা যাক!

ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক

ভারতবর্ষে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক হলেন গৌতম বুদ্ধ, যিনি শাক্যমুনি নামেও পরিচিত। প্রাচীন ভারতের লুম্বিনীতে খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৩ সালের দিকে জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধ। তিনি শাক্য রাজবংশের একজন রাজপুত্র হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। যুবরাজ হিসেবে অত্যন্ত সুখ-সমৃদ্ধি ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। কিন্তু মানুষের জীবনে দুঃখ-দুর্দশা ও অসন্তুষ্টির কারণ কী, তা বোঝার আগ্রহে রাজ্য ত্যাগ করেন তিনি। ছয় বছর ধরে তিনি কঠোর তপস্যা করেছেন। তিনি নিজের দেহকে অনাহার ও অন্যান্য কঠোর অত্যাচারের মাধ্যমে পীড়ন করেছেন। কিন্তু তিনি কোনো অগ্রগতি করতে পারেননি। অবশেষে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, তপস্যা দ্বারা মুক্তি পাওয়া যায় না। এরপর তিনি বোধিবৃক্ষের তলায় ধ্যান করতে শুরু করেন। ৪৯ দিন ধরে তিনি ধ্যান করেছেন। তিনি মায়া-মোহ থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং জ্ঞান লাভ করেছেন। তখন থেকে তিনি গৌতম বুদ্ধ নামে পরিচিত হন। বুদ্ধ তার জ্ঞান এবং শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ভারতবর্ষে ভ্রমণ শুরু করেন। তিনি অষ্টাঙ্গিক মার্গের উপদেশ দেন, যা দুঃখ থেকে মুক্তির পথ। তার শিক্ষা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেক লোক বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। বুদ্ধের মৃত্যুর পর তার শিক্ষা ও দর্শন ভারত এবং অন্যান্য এশিয়ান দেশে আরও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৫৩৫ মিলিয়ন মানুষ বৌদ্ধ ধর্ম পালন করে।

See also  একাকী জীবন: শান্তি, স্বাধীনতা এবং সীমাহীনতা অন্বেষণ

বুদ্ধের জীবন ও শিক্ষা

ভারতবর্ষে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক হলেন গৌতম বুদ্ধ, যিনি শাক্যমুনি নামেও পরিচিত। প্রাচীন ভারতের লুম্বিনীতে খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৩ সালের দিকে জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধ। তিনি শাক্য রাজবংশের একজন রাজপুত্র হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। যুবরাজ হিসেবে অত্যন্ত সুখ-সমৃদ্ধি ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। কিন্তু মানুষের জীবনে দুঃখ-দুর্দশা ও অসন্তুষ্টির কারণ কী, তা বোঝার আগ্রহে রাজ্য ত্যাগ করেন তিনি। ছয় বছর ধরে তিনি কঠোর তপস্যা করেছেন। তিনি নিজের দেহকে অনাহার ও অন্যান্য কঠোর অত্যাচারের মাধ্যমে পীড়ন করেছেন। কিন্তু তিনি কোনো অগ্রগতি করতে পারেননি। অবশেষে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, তপস্যা দ্বারা মুক্তি পাওয়া যায় না। এরপর তিনি বোধিবৃক্ষের তলায় ধ্যান করতে শুরু করেন। ৪৯ দিন ধরে তিনি ধ্যান করেছেন। তিনি মায়া-মোহ থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং জ্ঞান লাভ করেছেন। তখন থেকে তিনি গৌতম বুদ্ধ নামে পরিচিত হন। বুদ্ধ তার জ্ঞান এবং শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ভারতবর্ষে ভ্রমণ শুরু করেন। তিনি অষ্টাঙ্গিক মার্গের উপদেশ দেন, যা দুঃখ থেকে মুক্তির পথ। তার শিক্ষা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেক লোক বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। বুদ্ধের মৃত্যুর পর তার শিক্ষা ও দর্শন ভারত এবং অন্যান্য এশিয়ান দেশে আরও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৫৩৫ মিলিয়ন মানুষ বৌদ্ধ ধর্ম পালন করে।

ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তার

ের পেছনে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন সম্রাট অশোক। অশোক, যিনি মূলত চণ্ড অশোক নামে পরিচিত ছিলেন, মৌর্য্য সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট ছিলেন। তিনি ২৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ৩৩ বছর শাসন করেন। অশোকের শাসনামলে বৌদ্ধ ধর্ম ভারতে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়।

অশোকের বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের পেছনে মূল ঘটনা ছিল কলিঙ্গ যুদ্ধ। ২৬১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অশোক কলিঙ্গ রাজ্য আক্রমণ করেন এবং এটিকে তার সাম্রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন। যুদ্ধে প্রায় এক লক্ষ মানুষ মারা যায় এবং এক লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্দী হয়। এই রক্তপাত অশোককে গভীরভাবে আঘাত করে এবং তিনি যুদ্ধের হিংসা ও নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে ঘোষণা করেন। তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন এবং অহিংসা ও ধর্মের নীতি প্রচার করতে শুরু করেন।

See also  শেখ হাসিনাকে ‘কাঁঠাল রানী’ বলা হয় কেন? জানুন অজানা কারণগুলো

অশোক বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তারের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেন। তিনি সারা ভারতে স্তম্ভ এবং শিলালিপি নির্মাণ করেন, যাতে বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা খোদাই করা হয়। তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন এবং তাদের ভারত এবং বিদেশে ধर्म প্রচারের জন্য পাঠান। অশোকের প্রচেষ্টার ফলে বৌদ্ধ ধর্ম ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং শীঘ্রই এটি ভারতের প্রধান ধর্মগুলোর একটি হয়ে ওঠে।

বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান শাখা

ের পেছনে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন সম্রাট অশোক। অশোক, যিনি মূলত চণ্ড অশোক নামে পরিচিত ছিলেন, মৌর্য্য সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট ছিলেন। তিনি ২৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ৩৩ বছর শাসন করেন। অশোকের শাসনামলে বৌদ্ধ ধর্ম ভারতে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়।

অশোকের বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের পেছনে মূল ঘটনা ছিল কলিঙ্গ যুদ্ধ। ২৬১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অশোক কলিঙ্গ রাজ্য আক্রমণ করেন এবং এটিকে তার সাম্রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন। যুদ্ধে প্রায় এক লক্ষ মানুষ মারা যায় এবং এক লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্দী হয়। এই রক্তপাত অশোককে গভীরভাবে আঘাত করে এবং তিনি যুদ্ধের হিংসা ও নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে ঘোষণা করেন। তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন এবং অহিংসা ও ধর্মের নীতি প্রচার করতে শুরু করেন।

অশোক বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তারের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেন। তিনি সারা ভারতে স্তম্ভ এবং শিলালিপি নির্মাণ করেন, যাতে বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা খোদাই করা হয়। তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন এবং তাদের ভারত এবং বিদেশে ধर्म প্রচারের জন্য পাঠান। অশোকের প্রচেষ্টার ফলে বৌদ্ধ ধর্ম ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং শীঘ্রই এটি ভারতের প্রধান ধর্মগুলোর একটি হয়ে ওঠে।

ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব

অপরিসীম। তবে, এটি একটি অবিসংবাদিত সত্য যে, সম্রাট অশোক এই ধর্মের প্রবর্তক ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনিই একে সমগ্র ভারতবর্ষে ছড়িয়ে দেন এবং এটিকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।

See also  তুরস্কের নতুন নাম কী, কখন ঘোষণা করা হলো এবং কেন পরিবর্তন করা হলো?

অশোকের শাসনামলেই বৌদ্ধ ধর্ম ভারতের অন্যতম শক্তিশালী ধর্ম হয়ে ওঠে। তিনি সারা দেশে বৌদ্ধ মন্দির ও বিহার নির্মাণ করেন। সেই সঙ্গে, তিনি বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসারের জন্য বহু উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যেমন, তিনি বিখ্যাত বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন, বিদেশি রাজ্যে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য প্রচারকদের পাঠান এবং বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা ও মূল্যবোধের প্রচারের জন্য স্তম্ভ ও শিলালিপি নির্মাণ করেন।

অশোকের সমর্থনে এবং বৌদ্ধ ধর্মের শান্তি ও অহিংসার শিক্ষার কারণে, এই ধর্ম ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এটি শুধুমাত্র ভারতের ধর্মীয় প্রেক্ষাপটকেই পরিবর্তন করে না, বल्कि এর শিল্প, স্থাপত্য, সাহিত্য এবং দর্শনকেও প্রভাবিত করে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব আজও ভারতের সংস্কৃতিতে স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

বর্তমানে ভারতে বৌদ্ধধর্ম

বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা আজও বিশ্বব্যাপী মানুষের অনুপ্রেরণা দেয়। ভারত এই ধর্মের জন্মস্থান হওয়ায় এখানকার সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঙ্গে বৌদ্ধধর্মের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সম্রাট অশোকের শাসনকালে ভারতে বৌদ্ধধর্মের বিস্তার ও প্রসার ঘটেছিল। তিনি সারা সাম্রাজ্যে বৌদ্ধ স্তম্ভ ও মঠ নির্মাণ করেছিলেন এবং বৌদ্ধ শিক্ষার প্রচার-প্রসার করেছিলেন। এই শিক্ষা সামাজিক সম্প্রীতি, অহিংসা ও সহনশীলতার ওপর গুরুত্ব দেয়। বৌদ্ধধর্ম ভারতের শিল্প ও স্থাপত্যকেও প্রভাবিত করেছে। অজন্তা ও এলোরা গুহাগুলি বৌদ্ধ শিল্প ও স্থাপত্যের বিশ্বখ্যাত নিদর্শন। আজও ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বৌদ্ধ বিহার, মূর্তি ও অন্যান্য স্মৃতিস্তম্ভ দেখা যায়। এই সব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বৌদ্ধধর্মের সমৃদ্ধ ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয় এবং ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে এর অবদানকে তুলে ধরে।

Ucchal Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *