আমার শাশুড়ির সাথে আমার সম্পর্ক কখনোই সহজ ছিল না। তিনি সবসময় আমাকে সমালোচনা করছেন, আমার কাজের দোষ ধরছেন এবং আমার জায়গায় হস্তক্ষেপ করছেন। আমি ইতিমধ্যে বহুবার তার সাথে কথা বলেছি, কিন্তু কিছুই পরিবর্তন হয়নি। আমি হতাশ হয়ে পড়েছি এবং জানি না আর কী করব।

আপনি যদি আপনার শাশুড়ির সাথে সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে আপনি একা নন। অনেক মহিলা তাদের শাশুড়ির সাথে সমস্যায় পড়েন এবং এটি মোকাবেলা করা কঠিন হতে পারে। এই সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য আপনার কী করতে হবে তা আপনাকে দেখানোর জন্য এই ব্লগ পোস্টটি লিখেছি। এই ব্লগে, আমি আপনার শাশুড়ির মানসিকতা বোঝার, আপনার নিজের সীমানা নির্ধারণের, আপনার স্বামীর সাথে কথা বলার এবং পরিবার বা বন্ধুদের কাছ থেকে সহায়তা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে বৈধ পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্পগুলিও রয়েছে। আমি আশা করি এই টিপসগুলি আপনাকে আপনার শাশুড়ির সাথে সমস্যা মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে। আপনি যদি এই সমস্যাগুলির সাথে লড়াই করছেন, তাহলে একা নন। অনেক মহিলা এই সমস্যাগুলির সম্মুখীন হয় এবং সমস্যা সমাধানের উপায় রয়েছে। আমার টিপসগুলো অনুসরণ করে, আপনি একটি স্বাস্থ্যকর, আরও ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।

আপনার শাশুড়ির মানসিকতা বোঝা

আপনার শাশুড়ির সাথে একটি সুস্থ এবং সম্মানজনক সম্পর্ক বজায় রাখা আপনার বিয়েতে সামগ্রিক সুখের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, যদি আপনার শাশুড়ি আপনাকে বিয়ে করতে চান, তবে এটি একটি অত্যন্ত অস্বস্তিকর এবং চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি হতে পারে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য, এবং তার অন্তর্নিহিত কারণগুলি সনাক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই ধরনের আচরণের কিছু সম্ভাব্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

• অতিরিক্ত মাদারলি প্রবৃত্তি
• ছেলের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা
• আপনার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুভূতি
• আপনার প্রতি হিংসা
• একটি হতাশার পূর্ণ জীবন এবং আপনার স্বামীর উপরে নির্ভরতা

এই কারণগুলি বুঝতে পারলে আপনি আপনার শাশুড়ির আচরণের সাথে আরও সহানুভূতিশীল হতে পারবেন এবং তার সাথে একটি সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে পারবেন।

আপনার সীমানা নির্ধারণ করা

আপনিই আপনার জীবনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের কর্তা। র মাধ্যমে, আপনি আপনার জীবনের কর্তৃত্ব নিতে পারেন এবং নিশ্চিত করতে পারেন যে আপনার দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা সমস্ত কিছু আপনার মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। শুরু করার জন্য, আপনি কীভাবে অনুভব করতে চান এবং আপনি কী ধরণের লোক হিসেবে পরিচিত হতে চান তা বিবেচনা করুন। এরপরে, আপনার সীমানা প্রকাশ করার জন্য শক্তিশালী এবং সরাসরি শব্দ ব্যবহার করে একটি বিবৃতি তৈরি করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি বলতে পারেন, “আমি আমার জায়গা এবং সময়কে মূল্য দেই, এবং আমি এমন ব্যক্তিদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করি যারা আমাকে সম্মান করে।” সহজ নয়, তবে এটি অবশ্যই এর মূল্যবান। যখন আপনি আপনার সীমানা নির্ধারণ করেন, তখন আপনি নিজেকে এবং অন্যদের কাছে বার্তা দেন যে আপনি কী সহ্য করবেন এবং কী করবেন না। এটি আপনাকে নিজের জীবনের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ দিতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনাকে আরও সুখী এবং পূর্ণতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

আপনার স্বামীর সাথে কথা বলা

আপনার স্বামী আপনার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী, তাই তার সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। খোলা এবং সৎ যোগাযোগ আপনার বিয়ের ভিত্তি স্থাপন এবং সুস্থ এবং সুখী সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অত্যাবশ্যক। এখানে কয়েকটি টিপস দেওয়া হল যা আপনার স্বামীর সাথে কথোপকথনকে উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে:

• স্পষ্টভাবে যোগাযোগ করুন: যা বলতে চান তা স্পষ্টভাবে এবং সরাসরি বলুন। ইঙ্গিত বা ইঙ্গিত ব্যবহার করবেন না, কারণ এটি বিভ্রান্তি এবং ভুল বোঝাবুঝির দিকে পরিচালিত করতে পারে।
• সক্রিয়ভাবে শুনুন: আপনার স্বামী যা বলছেন তা শুধু শুনবেন না, তা সক্রিয়ভাবে শুনুন। তার কথাগুলোর বোঝার এবং তার দৃষ্টিভঙ্গি বুঝার চেষ্টা করুন।
• ব্যক্তিগত আক্রমণ এড়িয়ে চলুন: আপনার স্বামীর সাথে তর্ক বা মতবিরোধ হতে পারে, তবে ব্যক্তিগত আক্রমণের আশ্রয় নেবেন না। পরিবর্তে, সমস্যাগুলির উপর মনোযোগ দিন এবং সমাধান খুঁজতে কাজ করুন।
• আদর্শ সময় ও স্থান বেছে নিন: সিরিয়াস বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য একটি আদর্শ সময় এবং স্থান বেছে নিন। যখন আপনারা উভয়েই শান্ত এবং মনোযোগী থাকেন তখন কথা বলুন।
• আনন্দদায়ক কার্যকলাপে জড়িত হোন: কেবল গুরুতর বিষয় নিয়েই কথা বলবেন না। আনন্দদায়ক কার্যকলাপে জড়িত হোন যা আপনাদের একসাথে সময় কাটাতে এবং আপনার বন্ধনকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।

এই টিপস অনুসরণ করে, আপনি আপনার স্বামীর সাথে খোলা এবং সৎ যোগাযোগের একটি ভিত্তি স্থাপন করতে পারেন যা আপনার বিয়েকে সমৃদ্ধ এবং পূর্ণ করবে।

পরিবার বা বন্ধুদের কাছে সহায়তা চাওয়া

আপনি যদি এই অবস্থানের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তবে প্রথমেই মনে রাখবেন যে আপনি একা নন। অনেক মহিলা এই একই অভিজ্ঞতা দিয়েছে এবং আপনাকে সাহায্য করার জন্য সম্পদ আছে।

যদি সম্ভব হয় তবে আপনার শাশুড়ির কাছে কথা বলার চেষ্টা করুন। তাকে জানান যে আপনি বিবাহ করতে চান না এবং আপনার সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করুন। তিনি হয়ত আপনার কথা শুনবেন না, কিন্তু কমপক্ষে আপনি চেষ্টা করেছেন।

যদি আপনার শাশুড়ির কাছে কথা বলতে না পারেন, তবে পরিবারের বা বন্ধুদের কাছে সহায়তা চান। তারা পরিস্থিতি বুঝতে পারেন এবং আপনাকে পরামর্শ দিতে পারেন।

আপনি যদি হুমকিবোধ করেন, তবে পুলিশকে কল করুন। আপনি যদি নিরাপদ না হন তবে আপনাকে পরিত্রাণ পেতে হবে।

আপনি যদি বিপদে থাকেন তবে জাতীয় পারিবারিক সহিংসতা হটলাইনকে 1-800-799-7233 নম্বরে কল করুন।

আইনী পদক্ষেপ নেওয়া

যদি আপনার শাশুড়ি আপনাকে বিয়ে করতে চান তাহলে প্রথমেই আপনাকে অবশ্যই উচিত। এটি একটি গুরুতর অপরাধ এবং আপনার নিরাপত্তার জন্য আপনার তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আপনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন বা আপনি স্থানীয় আইনজীবীরের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। আপনার আইনজীবী আপনার অধিকার ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করতে পারেন এবং আপনাকে আপনার শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহায্য করতে পারেন।