আমরা প্রায়ই বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা শিখি এবং বলি। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন যে, এইসব ভাষাগুলির উৎপত্তি কীভাবে হলো? বা কীভাবে এতগুলো ভাষার জন্ম হলো? আমরা যে ইংরেজি ভাষাটি ব্যবহার করি, তারও একটি উৎপত্তি আছে। এটি কোথা থেকে এলো এবং কীভাবে বিকশিত হলো, তা জানতে আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন।
এই আর্টিকেলে, আমরা ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি এবং বিকাশের বিশদ বিবরণ দিব। আমরা প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা থেকে শুরু করে জার্মানিক ভাষা, ওল্ড ইংলিশ, মিডল ইংলিশ এবং আধুনিক ইংরেজির মধ্য দিয়ে যাব। আমরা প্রতিটি পর্যায়ে ইংরেজির কাঠামো, শব্দভাণ্ডার এবং ব্যাকরণের পরিবর্তনগুলি পরীক্ষা করব।
এই আর্টিকেলটি পড়ার পর, আপনি ইংরেজি ভাষার আকর্ষণীয় ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনি এর উৎপত্তি, এর বিকাশ এবং বিভিন্ন পর্যায়ে এর বিবর্তন সম্পর্কে জানবেন। সুতরাং, যদি আপনি ইংরেজি ভাষা বা ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কে আগ্রহী হন, তাহলে এই আর্টিকেলটি অবশ্যই পড়ুন।
ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি
খুঁজতে হলে ফিরে যেতে হয় জার্মানিক ভাষা পরিবারের দিকে। ইংরেজি জার্মানিক ভাষা পরিবারের একটি পশ্চিম জার্মানিক ভাষা। প্রায় দুই হাজার বছর আগে, জার্মানিক ভাষাভাষী একটি উপজাতি উত্তর সাগরের উপকূলরেখা থেকে ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল। এই উপজাতিগুলোকে অ্যাংলস, স্যাক্সন এবং জুটস বলা হত। তাদের ভাষাগুলিকে যথাক্রমে অ্যাংল, স্যাক্সন এবং জুটস হিসাবে পরিচিত ছিল। এই ভাষাগুলোর মিশ্রণ থেকেই আধুনিক ইংরেজির উদ্ভব হয়েছে।
সপ্তম শতাব্দীতে, অ্যাংলস, স্যাক্সন এবং জুটসরা গ্রেট ব্রিটেনের দ্বীপে বসতি স্থাপন করেছিল। তাদের ভাষাগুলো সেখানে বিভিন্ন আঞ্চলিক উপভাষায় বিভক্ত হয়ে যায়। এই উপভাষাগুলো পরবর্তীতে আধুনিক ইংরেজির বিভিন্ন উপভাষার ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। নবম শতাব্দীতে, ওল্ড ইংলিশ সাহিত্যের সূচনা হয়। এই সময়ে, ইংরেজি ভাষা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ভাষাগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, বিশেষ করে ওল্ড নর্স।
দশম শতাব্দীতে, নরম্যানরা ইংল্যান্ড জয় করে। তারা ফ্রেঞ্চ ভাষা নিয়ে এসেছিল, যা ইংরেজি ভাষার উপর একটি গভীর প্রভাব ফেলেছিল। আধুনিক ইংরেজি ভাষার অনেক শব্দ ফরাসি থেকে এসেছে। এই সময়ের পরেও, ইংরেজি বিভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করেছে, যেমন- ল্যাটিন, গ্রীক এবং অন্যান্য। এই প্রক্রিয়াটি আজও অব্যাহত রয়েছে, مما ইংরেজিকে একটি জীবন্ত এবং ক্রমাগতভাবে বিকশিত ভাষা হিসাবে রূপান্তরিত করছে।
ইংরেজি ভাষার প্রাথমিক রূপ
খুঁজতে হলে ফিরে যেতে হয় জার্মানিক ভাষা পরিবারের দিকে। ইংরেজি জার্মানিক ভাষা পরিবারের একটি পশ্চিম জার্মানিক ভাষা। প্রায় দুই হাজার বছর আগে, জার্মানিক ভাষাভাষী একটি উপজাতি উত্তর সাগরের উপকূলরেখা থেকে ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল। এই উপজাতিগুলোকে অ্যাংলস, স্যাক্সন এবং জুটস বলা হত। তাদের ভাষাগুলিকে যথাক্রমে অ্যাংল, স্যাক্সন এবং জুটস হিসাবে পরিচিত ছিল। এই ভাষাগুলোর মিশ্রণ থেকেই আধুনিক ইংরেজির উদ্ভব হয়েছে।
সপ্তম শতাব্দীতে, অ্যাংলস, স্যাক্সন এবং জুটসরা গ্রেট ব্রিটেনের দ্বীপে বসতি স্থাপন করেছিল। তাদের ভাষাগুলো সেখানে বিভিন্ন আঞ্চলিক উপভাষায় বিভক্ত হয়ে যায়। এই উপভাষাগুলো পরবর্তীতে আধুনিক ইংরেজির বিভিন্ন উপভাষার ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। নবম শতাব্দীতে, ওল্ড ইংলিশ সাহিত্যের সূচনা হয়। এই সময়ে, ইংরেজি ভাষা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ভাষাগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, বিশেষ করে ওল্ড নর্স।
দশম শতাব্দীতে, নরম্যানরা ইংল্যান্ড জয় করে। তারা ফ্রেঞ্চ ভাষা নিয়ে এসেছিল, যা ইংরেজি ভাষার উপর একটি গভীর প্রভাব ফেলেছিল। আধুনিক ইংরেজি ভাষার অনেক শব্দ ফরাসি থেকে এসেছে। এই সময়ের পরেও, ইংরেজি বিভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করেছে, যেমন- ল্যাটিন, গ্রীক এবং অন্যান্য। এই প্রক্রিয়াটি আজও অব্যাহত রয়েছে, مما ইংরেজিকে একটি জীবন্ত এবং ক্রমাগতভাবে বিকশিত ভাষা হিসাবে রূপান্তরিত করছে।
প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা
আমরা যখন ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি খুঁজি, তখন আমাদের য় ফিরে যেতে হয়। টি ছিল একটি পুনর্গঠিত ভাষা যা প্রায় 6,000 বছর আগে মধ্য এশিয়ায় কথিত হত। টির সরাসরি কোনো বংশধর নেই, তবে এটি বিভিন্ন ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার মূল ভাষা, যার মধ্যে ইংরেজিও রয়েছে। টি ইন্দো-ইরানি, স্ল্যাভিক, জার্মানিক, সেল্টিক, ইতালিক, আর্মেনিয়, গ্রীক এবং আলবেনিয়ান ভাষা পরিবারের পূর্বপুরুষ। এই ভাষাগুলি আজ বিশ্বের ব্যাপকভাবে কথিত হয় এবং কয়েক বিলিয়ন মানুষের মাতৃভাষা। যখন আমরা ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি খুঁজি, তখন আমাদের য় ফিরে যেতে হয়।
জার্মানিক ভাষা
গুলো একটি ভাষা পরিবার যা ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে কথিত হয়। এগুলো ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের একটি শাখা। গুলোর মধ্যে ইংরেজি, জার্মান, ডাচ, সুইডিশ, নরওয়েজিয়ান, ডেনিশ, আইসল্যান্ডিক এবং ফ্যারোইজ অন্তর্ভুক্ত। এই ভাষাগুলোর একটি সাধারণ পূর্বপুরুষ ভাষা রয়েছে, যা সাধারণত প্রোটো-জার্মানিক নামে পরিচিত।
প্রোটো-টি প্রায় ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে উত্তর ইউরোপে কথিত হত। সময়ের সাথে সাথে, এই ভাষাটি বিভিন্ন উপভাষায় বিভক্ত হয়ে যায়, যা শেষ পর্যন্ত আজ আমরা যে গুলো জানি তা তৈরি করে। গুলোর মধ্যে অনেক মিল রয়েছে, যেমন তাদের ব্যাকরণ এবং শব্দভাণ্ডার। তবে, তাদের মধ্যে কিছু পার্থক্যও রয়েছে, বিশেষ করে উচ্চারণ এবং শব্দভাণ্ডারের ক্ষেত্রে।
গুলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কথিত ভাষাগুলোর মধ্যে রয়েছে। ইংরেজি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কথিত ভাষা, এবং জার্মান ইউরোপের সবচেয়ে বেশি কথিত ভাষাগুলোর মধ্যে একটি। গুলো বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ওল্ড ইংলিশ
ইংরেজি ভাষার জনক হিসেবে অ্যাংলো স্যাক্সনদেরকেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আধুনিক ইংরেজির শুরুও এই অ্যাংলো স্যাক্সনদের দ্বারাই। পঞ্চম শতকে অ্যাংলো স্যাক্সনরা যখন ব্রিটেনে আসে তখন থেকেই এই ভাষার সূচনা ঘটে। তবে সেই সময় এই ভাষাকে তারা ‘এ্যাংগলিশ’ বলে ডাকতেন। পরবর্তীতে নর্মানরা এখানে এসে জয় করার পর ‘এ্যাংগলিশ’ শব্দটির পরিবর্তন ঘটিয়ে ‘ইংলিশ’ বলে ডাকতে থাকে।
মিডল ইংলিশ
ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি হল জার্মানিক ভাষা থেকে, যা প্রথম শতাব্দীতে বর্তমানে উত্তর জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসের অঞ্চলে বসবাসকারী এঙ্গেল, স্যাক্সন এবং জুটস নামে তিনটি জার্মানিক উপজাতির দ্বারা কথা বলা হত। এই ভাষাটি পরে আধুনিক ইংরেজি ভাষার পূর্বপুরুষ, ওল্ড ইংলিশ-এ পরিণত হয়, যা ৫ম এবং ১১শ শতাব্দীর মধ্যে ইংল্যান্ডে কথা বলা হত।
ওল্ড ইংলিশকে প্রাচীন নর্স দ্বারা প্রভাবিত করা হয়, যা ভাইকিংদের দ্বারা ৮ম এবং ১১শ শতাব্দীর মধ্যে ইংল্যান্ডে আক্রমণের সময় কথা বলা হত। এই প্রভাবটি ইংরেজি শব্দভাণ্ডারে বহু শব্দ যেমন “knife,” “skirt,” এবং “skull” যোগ করেছে।
১১শ শতকে, নরম্যানরা ইংল্যান্ড জয় করে এবং ফরাসি ভাষা ইংরেজি ভাষার উপর একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। এই প্রভাবের ফলে ইংরেজি শব্দভাণ্ডারে বহু শব্দ যেমন “justice,” “government,” এবং “beauty” যোগ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, ইংরেজি ভাষা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়, যার ফলে মধ্য ইংরেজি ভাষার উদ্ভব হয়।
মধ্য ইংরেজি ১২শ এবং ১৫শ শতাব্দীর মধ্যে কথা বলা হত, এবং এটি আধুনিক ইংরেজি ভাষার পূর্বপুরুষ। এই সময়ের মধ্যে, ইংরেজিতে বহু পরিবর্তন ঘটে, যেমন ব্যাকরণের সরলীকরণ, শব্দভাণ্ডারের বৃদ্ধি এবং উচ্চারণের পরিবর্তন। এই পরিবর্তনগুলির ফলে মধ্য ইংরেজি আধুনিক ইংরেজি ভাষার চেয়ে অনেক বেশি ভিন্ন হয়ে ওঠে।
১৫শ শতাব্দীর শেষের দিকে, উচ্চারণের বড় পরিবর্তনগুলির একটি সিরিজ ঘটে, যা মধ্য ইংরেজির আধুনিক ইংরেজি ভাষার রূপান্তরকে চিহ্নিত করে। এই পরিবর্তনগুলির ফলস্বরূপ, মধ্য ইংরেজি আজকে আমরা যে ইংরেজি ভাষাটি কথা বলি তার থেকে অনেক আলাদা হয়ে যায়।
আধুনিক ইংরেজি
ভাষার জনক হিসেবে বিবেচিত হন জিওফ্রে চসার। তিনি চতুর্দশ শতাব্দীর একজন ইংরেজ কবি, লেখক ও দার্শনিক ছিলেন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ হল ক্যান্টারবারি টেলস, যা মধ্যযুগীয় ইংরেজি সাহিত্যের একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। চসারের লেখাগুলি ইংরেজি ভাষার বিকাশ এবং আধুনিকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাঁর রচনাগুলি ইংরেজি শব্দভাণ্ডার, বাক্যাংশ এবং রূপতত্ত্বের প্রমিতকরণে অবদান রেখেছে এবং ইংরেজি সাহিত্যের ভিত্তি স্থাপনে সহায়তা করেছে। চসারকে “ইংরেজি ভাষার পিতা” উপাধি দেওয়া হয়েছে, কারণ তাঁর রচনাগুলি ইংরেজি ভাষাকে একটি স্বকীয়, স্বতন্ত্র এবং সাহিত্যিক রূপ দিতে সাহায্য করেছে।
Leave a Reply