আমার বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি নিয়ে কথা বলব। এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা এই গৌরবময় ঘটনার প্রেক্ষাপট, শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা, ঘোষণার সময় ও স্থান, ঘোষণার বিবরণ, এর প্রভাব এবং আমাদের উত্তরাধিকার সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের এই স্বাধীনতা কিভাবে অর্জিত হলো, কে ছিলেন তার মূল চালিকাশক্তি এবং এর ফলে কী ঘটেছিল, তা আমরা জানব। তাই চলুন এখনই এই ইতিহাসের পাতায় যাত্রা শুরু করা যাক এবং আমাদের স্বাধীনতার গৌরবময় অধ্যায়টি আবারও স্মরণ করি।
স্বাধীনতার ঘোষণার প্রেক্ষাপট
পাকিস্তান সরকারের অন্যায় ও অত্যাচারের প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণাটি তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতা মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এবং মুক্তি বাহিনীর প্রধান কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জি এম ওসমানীর উপস্থিতিতে দেওয়া হয়। স্বাধীনতা ঘোষণাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। এই ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অতুলনীয়। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মাত্র নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে এবং তিনি পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা তাঁর সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে, শেখ মুজিব ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করার আহ্বান জানান।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে এবং তাঁকে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। কিন্তু তাঁর গ্রেফতার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে আরও জোরদার করে। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে শুরু করে এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে।
শেষ পর্যন্ত, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করে এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করে। শেখ মুজিবকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতা ঘোষণার সময় ও স্থান
স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি মাইলফলক। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ রাত ৯টা ৩০ মিনিটে তৎকালীন মুজিবনগরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
মুজিবনগর ছিল মুক্ত এলাকার অস্থায়ী রাজধানী। এটি এখন টাঙ্গাইল জেলার একটি উপজেলা। স্বাধীনতা ঘোষণার সময় বঙ্গবন্ধু সেখানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন। তিনি তখন আত্মগোপনে ছিলেন এবং একটি ছোট রেডিও স্টেশন থেকে ঘোষণাটি সম্প্রচার করেন।
ঘোষণাপত্রটি ছিল সংক্ষিপ্ত কিন্তু শক্তিশালী। এতে বলা হয়েছে, “এই মুহূর্তে আমি, শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের আইনসভার বিদ্যমান সদস্য ও প্রতিনিধি, বিশ্ববাসীর সামনে স্বাধীনতার ঘোষণা করছি।”
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা বাঙালি জাতির জন্য একটি উজ্জ্বল মুহূর্ত ছিল। এটি পাকিস্তানি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রামের সূচনা করেছিল এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করেছিল।
ঘোষণার বিবরণ
কে কখন এবং কোথায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন?
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণাটি ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঘোষিত হয়েছিল। এই ঘোষণাটি তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মাঝরাতে পাঠ করেছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। ঘোষণাপত্রটির খসড়া তৈরি করেছিলেন আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং কাজী গোলাম মাহবুব। ঘোষণায় পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ঘোষণার প্রভাব
কে কখন এবং কোথায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আসুন অতীতে ফিরে যাই।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, রাত ৯টা ৫৩ মিনিটে, তৎকালীন কক্সবাজার জেলার মুজিবনগর নামক স্থানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণাটি পড়েন তৎকালীন স্বাধীনতা সংগ্রামী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি আবুল হাসানাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান। তিনি বলেছিলেন, “আমি, আবুল হাসানাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের বহিষ্কৃত রাষ্ট্রপতির পক্ষে, এবং বাংলাদেশের ৩০ কোটি জনগণের পক্ষে, আজ ২৫ মার্চ, ১৯৭১, ইংরেজি সাল, তথা ১০ বৈশাখ, ১৩৭৮, বাংলা সাল অনুযায়ী, পূর্ব পাকিস্তানকে সার্বভৌম বাংলাদেশ ঘোষণা করছি।”
এই স্বাধীনতা ঘোষণাটি বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এটি বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং শেষ পর্যন্ত বিজয় অর্জনে সহায়তা করেছে। তাই, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার স্থান মুজিবনগরকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ হিসাবে রক্ষা করা হয়েছে। প্রতি বছর ২৫ মার্চ মুজিবনগর দিন পালিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার স্মরণে।
উত্তরাধিকার
কে কখন এবং কোথায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আসুন অতীতে ফিরে যাই।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, রাত ৯টা ৫৩ মিনিটে, তৎকালীন কক্সবাজার জেলার মুজিবনগর নামক স্থানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণাটি পড়েন তৎকালীন স্বাধীনতা সংগ্রামী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি আবুল হাসানাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান। তিনি বলেছিলেন, “আমি, আবুল হাসানাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের বহিষ্কৃত রাষ্ট্রপতির পক্ষে, এবং বাংলাদেশের ৩০ কোটি জনগণের পক্ষে, আজ ২৫ মার্চ, ১৯৭১, ইংরেজি সাল, তথা ১০ বৈশাখ, ১৩৭৮, বাংলা সাল অনুযায়ী, পূর্ব পাকিস্তানকে সার্বভৌম বাংলাদেশ ঘোষণা করছি।”
এই স্বাধীনতা ঘোষণাটি বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এটি বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং শেষ পর্যন্ত বিজয় অর্জনে সহায়তা করেছে। তাই, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার স্থান মুজিবনগরকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ হিসাবে রক্ষা করা হয়েছে। প্রতি বছর ২৫ মার্চ মুজিবনগর দিন পালিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার স্মরণে।
Leave a Reply