ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তন: ইতিহাস, প্রবক্তা এবং প্রভাব

ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তন: ইতিহাস, প্রবক্তা এবং প্রভাব

আমি তোমাদের সঙ্গে আজ বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস ও ভারতের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করব। আমি বলব যে কীভাবে বৌদ্ধ ধর্মের উদ্ভব হয়েছে, কীভাবে এটি ভারতে প্রবেশ করেছে এবং অশোকের এর বিস্তারে ভূমিকা কী ছিল। এছাড়াও, আমি বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার এবং ভারতে এর পতনের কারণগুলি নিয়েও কথা বলব। আমি আশা করি যে এই নিবন্ধটি তোমাদেরকে বৌদ্ধ ধর্ম এবং এর ভারতীয় ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করবে।

বৌদ্ধ ধর্মের উৎপত্তি

ভারতে ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে, যখন গৌতম বুদ্ধ, যিনি সেই সময়ে সিদ্ধার্থ গৌতম নামে পরিচিত ছিলেন, তিনি জ্ঞানোদয় লাভ করেন। তিনি দেখেন যে জীবন দুঃখে ভরা, এবং এই দুঃখের কারণ তৃষ্ণা বা আকাঙ্ক্ষা। তিনি শিক্ষা দিয়েছিলেন যে এই দুঃখের অবসান ঘটানোর একমাত্র উপায় হল অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুসরণ করা, যা একটি আট ধাপের পথ যা জ্ঞানোদয় বা নির্বাণের দিকে পরিচালিত করে।

গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা দ্রুত ভারত এবং বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বহু শিষ্য লাভ করেন, যাদের ভিক্ষু বলা হয়, এবং তারা তার শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেন। সময়ের সাথে সাথে, বৌদ্ধ ধর্ম বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়, প্রত্যেকটির নিজস্ব বিশ্বাস এবং অনুশীলন রয়েছে।

ভারতে প্রবেশ

ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তনকারী সিদ্ধার্থ গৌতম, যিনি পরে গৌতম বুদ্ধ নামে পরিচিত হন। তিনি লুম্বিনীতে অর্থাৎ বর্তমান নেপালে, যা তখন ভারতের অংশ ছিল, মহাকালের কাছাকাছি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শুদ্ধোধন শাক্য ক্ষত্রিয় রাজবংশের রাজা ছিলেন এবং তাঁর মাতা মহামায়া দেবী ছিলেন কোলি রাজ্যের রাজকন্যা। বুদ্ধের জন্মনাম ছিল সিদ্ধার্থ গৌতম। তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল যশোধরা এবং তাঁদের এক পুত্র ছিল যার নাম ছিল রাহুল।

২৯ বছর বয়সে, সিদ্ধার্থ গৌতম সন্ন্যাস গ্রহণ করেন এবং সত্যের অনুসন্ধানে যাত্রা শুরু করেন। তিনি তাঁর রাজকীয় জীবন এবং তার স্ত্রী ও পুত্রকে ত্যাগ করেন। তিনি ছয় বছর ধরে অত্যন্ত কঠোর তপस्या করেন, কিন্তু তিনি সত্য খুঁজে পাননি। তিনি উপলব্ধি করলেন যে, আত্ম-নির্যাতন সত্যের দিকে নিয়ে যায় না। একদিন তিনি একটি পীপল বৃক্ষের নিচে বসেন এবং প্রতিজ্ঞা করেন যে, সত্য না পাওয়া পর্যন্ত তিনি সেখান থেকে উঠবেন না। ৪৯ দিন পরে, তাঁর ৩৫ বছর বয়সে, তিনি চারটি মহৎ সত্য এবং অষ্টাঙ্গিক মার্গ সম্পর্কে উপলব্ধি লাভ করেন। তখন তিনি গৌতম বুদ্ধ নামে পরিচিত হন, যার অর্থ “জাগ্রত।”

See also  খালাতো বোনে কি বিয়ে হালাল? ইসলামের দৃষ্টিতে পরিস্কার বিধান জেনে নিন

অশোকের ভূমিকা

ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তনকারী সিদ্ধার্থ গৌতম, যিনি পরে গৌতম বুদ্ধ নামে পরিচিত হন। তিনি লুম্বিনীতে অর্থাৎ বর্তমান নেপালে, যা তখন ভারতের অংশ ছিল, মহাকালের কাছাকাছি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শুদ্ধোধন শাক্য ক্ষত্রিয় রাজবংশের রাজা ছিলেন এবং তাঁর মাতা মহামায়া দেবী ছিলেন কোলি রাজ্যের রাজকন্যা। বুদ্ধের জন্মনাম ছিল সিদ্ধার্থ গৌতম। তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল যশোধরা এবং তাঁদের এক পুত্র ছিল যার নাম ছিল রাহুল।

২৯ বছর বয়সে, সিদ্ধার্থ গৌতম সন্ন্যাস গ্রহণ করেন এবং সত্যের অনুসন্ধানে যাত্রা শুরু করেন। তিনি তাঁর রাজকীয় জীবন এবং তার স্ত্রী ও পুত্রকে ত্যাগ করেন। তিনি ছয় বছর ধরে অত্যন্ত কঠোর তপस्या করেন, কিন্তু তিনি সত্য খুঁজে পাননি। তিনি উপলব্ধি করলেন যে, আত্ম-নির্যাতন সত্যের দিকে নিয়ে যায় না। একদিন তিনি একটি পীপল বৃক্ষের নিচে বসেন এবং প্রতিজ্ঞা করেন যে, সত্য না পাওয়া পর্যন্ত তিনি সেখান থেকে উঠবেন না। ৪৯ দিন পরে, তাঁর ৩৫ বছর বয়সে, তিনি চারটি মহৎ সত্য এবং অষ্টাঙ্গিক মার্গ সম্পর্কে উপলব্ধি লাভ করেন। তখন তিনি গৌতম বুদ্ধ নামে পরিচিত হন, যার অর্থ “জাগ্রত।”

বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার

বৌদ্ধধর্ম একটি প্রাচীন ধর্ম যা ভারতবর্ষে প্রায় ২৫০০ বছর আগে প্রচলিত হয়েছিল। এর প্রবর্তক ছিলেন সিদ্ধার্থ গৌতম, যিনি পরবর্তীকালে গৌতম বুদ্ধ নামে পরিচিত হন। তিনি লুম্বিনীতে (বর্তমান নেপাল) জন্মগ্রহণ করেন এবং কপিলাবস্তুতে বেড়ে ওঠেন। তিনি একটি ধনী রাজপুত্র ছিলেন, কিন্তু তিনি দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট দেখে মুগ্ধ হন এবং সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। বহু বছর ধরে তিনি আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান করেন এবং অবশেষে বোধিগয়ায় বোধিগাছের নিচে জ্ঞান লাভ করেন। এরপর তিনি বুদ্ধ নামে পরিচিত হন, যার অর্থ “জাগ্রত”। বুদ্ধ তার জীবনের বাকি অংশ জুড়ে ভারতবর্ষে ভ্রমণ করে তার শিক্ষা প্রচার করেন। তিনি চারটি মহান সত্য শিক্ষা দেন: দুঃখ আছে, দুঃখের একটি কারণ আছে, দুঃখের একটি শেষ আছে, এবং দুঃখের অবসানের একটি পথ আছে। তিনি এই জ্ঞানকে অষ্টাঙ্গিক মার্গের মাধ্যমে অর্জন করার উপায়ও শিক্ষা দেন, যা সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, সঠিক চিন্তা, সঠিক বাক্য, সঠিক কর্ম, সঠিক জীবিকা, সঠিক প্রচেষ্টা, সঠিক স্মৃতি এবং সঠিক ধ্যান দিয়ে গঠিত। বুদ্ধের শিক্ষাগুলি তাঁর জীবদ্দশায় এবং তার মৃত্যুর পরেও ভারতবর্ষে व्यापकভাবে প্রচলিত হয়। তার শিক্ষাগুলি বৌদ্ধ ধর্মের ভিত্তি গঠন করেছে, যা আজও বিশ্বের একটি প্রধান ধর্ম।

See also  কৃষি বিজ্ঞানের জনক নরওয়েজীয় বিজ্ঞানী ভিলহেল্ম রামসায়ের কাহিনী

ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের পতন

ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তনকারী ছিলেন গৌতম বুদ্ধ। জন্ম নিয়েছিলেন প্রায় ২৬০০ বছর আগে লুম্বিনী গ্রামে, যা বর্তমানে নেপালে অবস্থিত। তিনি ছিলেন শুদ্ধোধন নামক শাক্য রাজবংশের একজন রাজপুত্র। জন্মের সময় তার নামকরণ করা হয় সিদ্ধার্থ গৌতম। প্রাসাদের সুখ-সমৃদ্ধিতে বেড়ে উঠা সিদ্ধার্থের মনে জীবন ও মৃত্যুর অর্থ খুঁজে পাওয়ার একটা জিজ্ঞাসা ছিল। যৌবনে তিনি বিয়ে করেন এবং রাহুল নামে এক পুত্রের জন্ম হয়। কিন্তু জীবনের অকৃত্রিম সত্য জানার জন্য তিনি গৃহত্যাগ করে সংসার ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি অনেক তপস্বীর কাছে দীক্ষা নিয়েছিলেন এবং অনেক কঠোর তপস্যা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বুদ্ধগয়ার বোধিবৃক্ষের নীচে তিনি জ্ঞান লাভ করেন। তখন থেকে তিনি গৌতম বুদ্ধ নামে পরিচিত হন। বুদ্ধ তার জীবনের বাকি সময় ধর্ম প্রচারে নিয়োজিত থাকেন। তিনি অষ্টাঙ্গিক মার্গ এবং চারটি আদর্শ সত্যের উপর জোর দেন। বুদ্ধের শিক্ষা ভারতে এবং তার বাইরেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং বৌদ্ধ ধর্মের একটি প্রধান ভিত্তি হয়ে ওঠে।

Payel Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *