ক্রিকেটের মাঠের আসল মাপ কত? বিভিন্ন ফরম্যাটের মাঠের মাপ ও আকার

ক্রিকেটের মাঠের আসল মাপ কত? বিভিন্ন ফরম্যাটের মাঠের মাপ ও আকার

আমি একজন প্রফেশনাল বাংলা কন্টেন্ট রাইটার। আমি তোমাদের সকলকে ক্রিকেট মাঠের বিভিন্ন মাপ সম্পর্কে কিছু তথ্য দেব। এই আর্টিকেলে আমি ক্রিকেট মাঠের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ, উইকেট, বাউন্ডারি, পিচ এবং বিভিন্ন ফরম্যাটের ক্রিকেট মাঠের মধ্যে আকারের পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেব। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের নির্ধারিত ক্রিকেট মাঠের মাপের মানদণ্ড সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে। এই তথ্যগুলি জানার মাধ্যমে তোমরা ক্রিকেট মাঠের আকার এবং মাপ সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারবে।

ক্রিকেটের মাঠের দৈর্ঘ্য-প্রস্থের মাপ

অপরিসীম। আধুনিক ক্রিকেটের রোমাঞ্চকর বিষয়গুলোর একটি হলো হ্যাটট্রিক। একই ওভারের তিনটি পরপর বলের তিনটি উইকেটকেই বলা হয় হ্যাটট্রিক। যে কোনো বোলারের ক্যারিয়ারে হ্যাটট্রিকের মতো অর্জন অনেক গৌরবের বিষয়। তাই, আমার মতে, সবসময় একই থাকবে।

ক্রিকেটের মাঠের উইকেটের মাপ

ক্রিকেটের মাঠে উইকেটের মাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা খেলার গতিপ্রকৃতিকে প্রভাবিত করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) দ্বারা নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে, উইকেটের মাপ নিম্নরূপ:

  • লম্বা উইকেটের উচ্চতা: ৯০ সেন্টিমিটার (৩৫ ইঞ্চি)
  • লম্বা উইকেটের প্রস্থ: ২৩ সেন্টিমিটার (৯ ইঞ্চি)
  • অনুপ্রস্থ উইকেটের দৈর্ঘ্য: ২১.৯ মিটার (৭২ ফুট)
  • অনুপ্রস্থ উইকেটের প্রস্থ: ১০ ফুট (৩.০৫ মিটার)

এই মাপগুলি নিশ্চিত করে যে খেলার পিচ সমস্ত দলের জন্য ন্যায্য এবং খেলার প্রতিযোগিতামূলক প্রকৃতি বজায় রাখে। উইকেটের মাপ সঠিক না হলে, ব্যাটসম্যানদের সুবিধা হতে পারে বা বোলারদের আধিপত্যে যেতে পারে, যা খেলার ভারসাম্যকে নষ্ট করে।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, উইকেটের পিচটি ঘাস দিয়ে আচ্ছাদিত হতে হবে এবং তা উভয় দলের জন্য সমানভাবে সঠিক হতে হবে। পিচে অতিরিক্ত ঘাস থাকলে বোলারদের সুবিধা হতে পারে, তবে অতি কম ঘাসের কারণে ব্যাটসম্যানদের রান করা সহজ হতে পারে।

উইকেটের মাপ এবং পিচের অবস্থা ক্রিকেট খেলার ফলাফলকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। সুতরাং, আইসিসি এই বিষয়গুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে যাতে খেলা ন্যায্য এবং প্রতিযোগিতামূলক হয়।

See also  বাংলার ক্রিকেটের আদি জনক কে? – একাধিক তত্ত্বের আলোকে

ক্রিকেটের মাঠের বাউন্ডারির মাপ

ক্রিকেটের মাঠের আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, মাঠের চারদিকে বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য ১৩৭ মিটার (৪৫০ ফুট) থেকে ১৫০ মিটার (৪৯০ ফুট) হতে হয়। মাঠের ব্যাটের চিহ্ন থেকে বাউন্ডারির দূরত্ব হতে হবে ৬৪ মিটার (২১০ ফুট) থেকে ৭৩ মিটার (২৪০ ফুট)। আধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হয় যেন খেলার গতি এবং উত্তেজনায় ব্যাঘাত না ঘটে।

মাঠের পিচের মাপ

নিয়ে তোমার জিজ্ঞাসার জবাব দিতে এসেছি। ক্রিকেটের মাঠের পিচের আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মাপ 22 ইয়ার্ড (20.12 মিটার)। এটা ব্যাটিং ক্রিজের দুই স্ট্যাম্পের মধ্যকার দূরত্বকে বোঝায়। তবে, কিছু ঘরোয়া বা অনানুষ্ঠানিক ম্যাচে পিচের দৈর্ঘ্য 18-20 ইয়ার্ডের মধ্যে হতে পারে।

একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠের পিচের প্রস্থ 10 ফুট (3.05 মিটার)। মাঠের দুই প্রান্তে দুটি ব্যাটিং ক্রিজ থাকে, যা প্রতিটি 4 ফুট (1.22 মিটার) প্রস্থের এবং 8 ফুট 8 ইঞ্চি (2.64 মিটার) লম্বা। ব্যাটিং ক্রিজের মাঝখানে বোলারের জন্য একটি 6 ফুট (1.83 মিটার) লম্বা পপিং ক্রিজ থাকে।

বিভিন্ন ফরম্যাটের ক্রিকেটের মাঠের আকারের পার্থক্য

তোমরা অনেকেই ক্রিকেটের মাঠের মাপ কত, এই প্রশ্নটির উত্তর খুঁজছো। তাই তোমাদের জন্যই এই লেখাটি লিখলাম। ক্রিকেটের মাঠের আকার বিভিন্ন ফরম্যাট অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। যেহেতু ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা, তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ফরম্যাটের ক্রিকেট খেলা হয়। তাই ক্রিকেটের মাঠের মাপও বিভিন্ন হয়ে থাকে।

টেস্ট ক্রিকেটের জন্য মাঠের দৈর্ঘ্য 90 মিটার এবং প্রস্থ 120 মিটার হয়। ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্য মাঠের দৈর্ঘ্য 90 মিটার এবং প্রস্থ 90 মিটার হয়। আর টুয়েন্টি20 ক্রিকেটের জন্য মাঠের দৈর্ঘ্য 70 মিটার এবং প্রস্থ 70 মিটার হয়। তাই ক্রিকেটের যে ফরম্যাটই খেলা হোক না কেন, মাঠের আকার আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের নির্ধারিত ক্রিকেটের মাঠের মাপের মানদণ্ড

সম্পর্কে জানার আগে, আমাদের ক্রিকেটের মাঠের বিশদ বিবরণটি বুঝতে হবে। একটি ক্রিকেট মাঠ সাধারণত একটি ওভাল বা বৃত্তাকার আকৃতির হয়, মাঠের মাঝখানে যেখানে উইকেট স্থাপন করা হয়। উইকেট হল একটি ২২ গজ লম্বা পিচ, যার প্রতিটি প্রান্তে তিনটি স্ট্যাম্প স্থাপন করা হয়। পিচের মাঝখানে একটি ক্রিজ অঙ্কিত থাকে, যা ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইকিং পজিশন নির্দেশ করে।

See also  ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক: তিনটি পরপর উইকেট নেওয়ার গল্প

এখন, আসুন সম্পর্কে জানি:

  • মাঠের আকার: ক্রিকেটের মাঠের আকার ওভাল বা বৃত্তাকার হতে পারে। মাঠের আউটফিল্ডের পরিধি হওয়া উচিত 135 থেকে 150 মিটার।
  • পিচের দৈর্ঘ্য: পিচের দৈর্ঘ্য 22 গজ বা 20.12 মিটার হতে হবে।
  • উইকেটের প্রস্থ: উইকেটের প্রস্থ 8 ফুট বা 2.44 মিটার হতে হবে।
  • বোলিং ক্রিজের দৈর্ঘ্য: বোলিং ক্রিজের দৈর্ঘ্য 8 ফুট 8 ইঞ্চি বা 2.64 মিটার হতে হবে।
  • পপিং ক্রিজের দৈর্ঘ্য: পপিং ক্রিজের দৈর্ঘ্য 4 ফুট বা 1.22 মিটার হতে হবে।
  • ব্যাটিং ক্রিজের দৈর্ঘ্য: ব্যাটিং ক্রিজের দৈর্ঘ্য 6 ফুট 8 ইঞ্চি বা 2.03 মিটার হতে হবে।
  • বাইন্ড্রি রোপের দূরত্ব: বাইন্ড্রি রোপের দূরত্ব পিচ থেকে 65 থেকে 75 মিটার হতে হবে।
  • আউটফিল্ড ঘাসের উচ্চতা: আউটফিল্ড ঘাসের উচ্চতা 8 থেকে 10 মিলিমিটার হতে হবে।

উল্লিখিত মানদণ্ডগুলির পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল মাঠের নিরাপত্তা, নিকাশ ব্যবস্থা এবং আলো সম্পর্কিত অতিরিক্ত নির্দেশিকাও নির্ধারণ করেছে। এই মানদণ্ডগুলি নিশ্চিত করে যে ক্রিকেটার এবং দর্শকরা সুরক্ষিত এবং উপভোগ্য পরিবেশে খেলা এবং উপভোগ করতে পারে।

Payel Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *