আজ আমি একটা খুব আকর্ষণীয় বাংলা ছড়ার কথা বলতে চলেছি। এই ছড়াটির নাম “খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে”। ছড়াটি ছোটদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। আপনি যদি ছড়াটি না জেনে থাকেন, তাহলে আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সেটাও শোনাব। এছাড়াও, ছড়াটির বিষয়বস্তু, কে এটা লিখেছিলেন, এবং ছড়াটি থেকে আমরা কী শিক্ষা নিতে পারি সেসব নিয়েও আলোচনা করব। তাই আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে’ ছড়াটির লেখক কে?
‘খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে’ ছড়াটির লেখক হলেন বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এই ছড়াটি তিনি ১৯২২ সালে লিখেছিলেন এবং এটি তার ‘ছায়া-সঞ্চয়’ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত হয়। ছড়াটি একজন খোকা বা শিশুর মুখ দিয়ে বলা হয়েছে, যে তার ঘুমিয়ে পড়ার অল্প কিছুক্ষণ পরেই বর্গীদের আক্রমণের কথা শোনে এবং তার আতঙ্ক এবং বিশৃঙ্খলার বর্ণনা দেয়। কাজী নজরুল ইসলামের এই ছড়াটি বাংলা সাহিত্যে বর্গীদের আক্রমণের একটি জীবন্ত চিত্র তুলে ধরে এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভয় ও আতঙ্কের বর্ণনা দেয়।
ছড়াটির বিষয়বস্তু
‘খোকা ঘুমাল পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে’ ছড়াটির লেখক হলেন বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এই ছড়াটি তিনি ১৯২২ সালে লিখেছিলেন এবং এটি তার ‘ছায়া-সঞ্চয়’ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত হয়। ছড়াটি একজন খোকা বা শিশুর মুখ দিয়ে বলা হয়েছে, যে তার ঘুমিয়ে পড়ার অল্প কিছুক্ষণ পরেই বর্গীদের আক্রমণের কথা শোনে এবং তার আতঙ্ক এবং বিশৃঙ্খলার বর্ণনা দেয়। কাজী নজরুল ইসলামের এই ছড়াটি বাংলা সাহিত্যে বর্গীদের আক্রমণের একটি জীবন্ত চিত্র তুলে ধরে এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভয় ও আতঙ্কের বর্ণনা দেয়।
ছড়াটির শিক্ষা
এই ছড়াটি লিখেছেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। তিনি বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বাংলা কবিতায় স্বকীয়তা নিয়ে আসেন। তাঁর কবিতায় আধুনিক মানুষের মনের হতাশা, অসহায়তা, একাকিত্ব ও অন্ধকারের কথা বলা হয়েছে। তাঁর কবিতায় সরল ভাষা এবং চিত্রময় বর্ণনার ব্যবহার খুবই উল্লেখযোগ্য। তাঁর কবিতাগুলি আজও পাঠকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
ছড়াটির জনপ্রিয়তা
ছেলেবেলায় এই ছড়াটি কে না শুনেছে? যদিও এখন অনেক বাচ্চারাই এই ছড়া সম্পর্কে কিছু জানে না। কিন্তু এক সময় এই ছড়াটি ছিল সর্বজনীন। শুধু যে বাচ্চারাই জানত তা নয়, বড়রাও এই ছড়াটির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। এমনকি অনেকেই এই ছড়াটি গুনগুন করে গাইতেন।
এই র পেছনে রয়েছে বিশেষ কারণ। প্রথমত, এই ছড়াটির ছন্দ খুবই মধুর। তাই এটি গাইতে খুবই সুখকর। দ্বিতীয়ত, এই ছড়াটির ভাষা খুবই সহজ ও সরল। ফলে এটি বাচ্চারাও সহজেই বুঝতে পারে। তৃতীয়ত, এই ছড়াটির বিষয়বস্তুও খুবই মজার। ছড়াটিতে বলা হয়েছে, একটা ছেলে ঘুমোলে তার ঘরের পাশে বহু বর্গী এসে হাজির হয়। এমন একটা অবাস্তব ঘটনাকে এত সুন্দরভাবে বলা হয়েছে যে, শুনে মনটা খুশিতে ভরে ওঠে।
আজকালকার বাচ্চাদের এই ছড়াটি জানা উচিত। কারণ, এটি শুধু একটি ছড়া নয়, এটি আমাদের সাহিত্যের একটা অংশ। এমন একটি সাহিত্য যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে।
Leave a Reply