আজ আমার এই লেখায় আমরা গ্রিনল্যান্ড নিয়ে আলোচনা করবো। গ্রিনল্যান্ড বিশ্বের একটি অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর ও রহস্যময় স্থান। এই দ্বীপটি উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের মধ্যে অবস্থিত, এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ দ্বীপ। গ্রিনল্যান্ডের আয়তন প্রায় ২২ লাখ বর্গকিলোমিটার এবং এটির জনসংখ্যা প্রায় ৫৬ হাজার।
এই লেখায়, আমরা গ্রিনল্যান্ডের ভৌগোলিক অবস্থান, ঐতিহাসিক পটভূমি, সরকার ব্যবস্থা, ডেনমার্কের সঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের সম্পর্কের বিবর্তন, গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং বর্তমানে গ্রিনল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসন ও ডেনমার্কের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবো।
গ্রিনল্যান্ডের ভৌগোলিক অবস্থান
গ্রিনল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ। এটি উত্তর আমেরিকার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এবং আটলান্টিক মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের দ্বারা বেষ্টিত। গ্রিনল্যান্ডের পশ্চিমে কানাডা, দক্ষিণে আইসল্যান্ড এবং পূর্বে নরওয়ে অবস্থিত। গ্রিনল্যান্ডের উপকূলরেখা ১৬,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ এবং এর মধ্যে বেশিরভাগই হিমবাহ দ্বারা আবৃত। গ্রিনল্যান্ডের আয়তন ২,১৬৬,০৮৬ বর্গকিলোমিটার এবং এর জনসংখ্যা প্রায় ৫৬,০০০। গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক এবং এটি একটি স্ব-শাসিত অঞ্চল যা ডেনমার্ক রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।
গ্রিনল্যান্ডের ঐতিহাসিক পটভূমি
গ্রিনল্যান্ডের ইতিহাস একটি বিস্তৃত এবং জটিল গল্প, যা প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রায় 4,500 বছর আগে প্যালিও-এস্কিমো শিকারীরা প্রথম গ্রিনল্যান্ডে বসতি স্থাপন করেছিল। তারা প্রায় 2,500 বছর ধরে সেখানে বসবাস করেছিল, কিন্তু তাদের সংস্কৃতি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল এবং তাদের প্রতিস্থাপিত হয়েছিল থুলে সংস্কৃতি, যা আজও গ্রিনল্যান্ডের স্থানীয় ইনুইট জনগণের পূর্বপুরুষ।
1000 সালের দিকে, নরওয়েজিয়ান ভাইকিংরা গ্রিনল্যান্ডে পৌঁছেছিল এবং বেশ কয়েকটি বসতি স্থাপন করেছিল। তারা প্রায় 500 বছর ধরে গ্রিনল্যান্ডে বসবাস করেছিল, কিন্তু তাদের বসতিগুলি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল এবং তাদের প্রতিস্থাপিত হয়েছিল থুলে সংস্কৃতি।
18শ শতাব্দীতে, ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ডের উপর দাবি করেছিল এবং 1953 সালে এটি ডেনমার্কের একটি প্রদেশ হয়ে উঠেছিল। ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ডকে একটি উপনিবেশ হিসাবে শাসন করেছিল, তবে 1979 সালে স্ব-শাসন প্রদান করা হয়েছিল। 2008 সালে, গ্রিনল্যান্ডকে আরও স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল এবং এটি এখন একটি স্ব-শাসিত দেশ, যদিও এটি এখনও ডেনমার্কের রাজতন্ত্রের অধীনে রয়েছে।
গ্রিনল্যান্ডের সরকার ব্যবস্থা
গ্রিনল্যান্ডের ইতিহাস একটি বিস্তৃত এবং জটিল গল্প, যা প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রায় 4,500 বছর আগে প্যালিও-এস্কিমো শিকারীরা প্রথম গ্রিনল্যান্ডে বসতি স্থাপন করেছিল। তারা প্রায় 2,500 বছর ধরে সেখানে বসবাস করেছিল, কিন্তু তাদের সংস্কৃতি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল এবং তাদের প্রতিস্থাপিত হয়েছিল থুলে সংস্কৃতি, যা আজও গ্রিনল্যান্ডের স্থানীয় ইনুইট জনগণের পূর্বপুরুষ।
1000 সালের দিকে, নরওয়েজিয়ান ভাইকিংরা গ্রিনল্যান্ডে পৌঁছেছিল এবং বেশ কয়েকটি বসতি স্থাপন করেছিল। তারা প্রায় 500 বছর ধরে গ্রিনল্যান্ডে বসবাস করেছিল, কিন্তু তাদের বসতিগুলি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল এবং তাদের প্রতিস্থাপিত হয়েছিল থুলে সংস্কৃতি।
18শ শতাব্দীতে, ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ডের উপর দাবি করেছিল এবং 1953 সালে এটি ডেনমার্কের একটি প্রদেশ হয়ে উঠেছিল। ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ডকে একটি উপনিবেশ হিসাবে শাসন করেছিল, তবে 1979 সালে স্ব-শাসন প্রদান করা হয়েছিল। 2008 সালে, গ্রিনল্যান্ডকে আরও স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল এবং এটি এখন একটি স্ব-শাসিত দেশ, যদিও এটি এখনও ডেনমার্কের রাজতন্ত্রের অধীনে রয়েছে।
ডেনমার্কের সঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের সম্পর্কের বিবর্তন
গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের স্বশাসিত আশ্রিত অঞ্চল হলেও এটি ডেনমার্কের অংশ নয়। ডেনমার্ক ও গ্রিনল্যান্ডের মধ্যে ১৯৫৩ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়, যা গ্রিনল্যান্ডকে ডেনমার্কের রাজ্যের অংশ হিসেবে মর্যাদা দেয়। এই সমঝোতার ফলে গ্রিনল্যান্ডকে নিজেদের আইন তৈরি করার ক্ষমতা দেওয়া হয় এবং নিজেদের সরকার ও সংসদ নির্বাচন করার অধিকার দেওয়া হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, যেমন পররাষ্ট্র নীতি ও প্রতিরক্ষা, ডেনমার্কের এখনও গ্রিনল্যান্ডের উপর সার্বভৌম কর্তৃত্ব রয়েছে।
গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা আন্দোলন
গ্রিনল্যান্ড হল ডেনমার্কের অধীন একটি স্ব-শাসিত অঞ্চল, যা উত্তর আমেরিকার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। ১৯৭৯ সাল থেকে গ্রিনল্যান্ডের নিজস্ব সংসদ এবং সরকার রয়েছে। তারা তাদের নিজস্ব আইন পাস করতে, নিজস্ব কর সংগ্রহ করতে এবং তাদের নিজস্ব আন্তর্জাতিক বিষয় পরিচালনা করতে সক্ষম। তবে, ডেনমার্ক এখনও গ্রিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষা এবং পররাষ্ট্র নীতির জন্য দায়ী।
স্বাধীনতা আন্দোলন গ্রিনল্যান্ডে একটি দীর্ঘ এবং জটিল ইতিহাস রয়েছে। ১৯৪০-এর দশক থেকে কিছু গ্রিনল্যান্ডার ডেনমার্ক থেকে পূর্ণ স্বাধীনতার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তবে, অনেকে বিশ্বাস করেন যে স্বাধীনতা অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। ২০১৮ সালের একটি গণভোটে, গ্রিনল্যান্ডাররা একটি নতুন সংবিধানের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে, যা তাদের ডেনমার্ক থেকে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিল।
বর্তমানে গ্রিনল্যান্ডে স্বাধীনতার ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট ঐক্যমত নেই। কিছু গ্রিনল্যান্ডার বিশ্বাস করেন যে পূর্ণ স্বাধীনতা সর্বোত্তম পথ, অন্যরা বিশ্বাস করেন যে ডেনমার্কের সাথে বর্তমান সম্পর্কই সর্বোত্তম বিকল্প। এই তর্কটি আগামী বছরগুলিতে অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে গ্রিনল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসন ও ডেনমার্কের ভূমিকা
গ্রিনল্যান্ড হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দ্বীপ। রাজনৈতিকভাবে, এটি ডেনমার্কের একটি স্বশাসিত অঞ্চল। ১৯৭৯ সালে গ্রিনল্যান্ডকে স্বশাসন দেওয়া হয়, যা তাদের নিজস্ব সরকার, সংসদ এবং আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়। ডেনমার্ক এখনও গ্রিনল্যান্ডের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা নীতির দায়িত্বে রয়েছে, তবে স্থানীয় বিষয়গুলি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রিনল্যান্ড সরকারের।
গ্রিনল্যান্ডের স্বশাসনের অর্থ হল যে এটি ডেনমার্ক থেকে স্বাধীন একটি দেশ নয়। এটি এখনও ডেনমার্কের রাজ্যের একটি অংশ, তবে এটি একটি উচ্চ স্তরের স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করে। এই স্বায়ত্তশাসন অর্জন করতে গ্রিনল্যান্ডে অনেক বছর ধরে আন্দোলন চলেছে এবং এটি গ্রিনল্যান্ডে স্ব-শাসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার পরে অর্জিত হয়েছিল। স্বশাসনের অর্থ হল যে গ্রিনল্যান্ড তার নিজস্ব আইন প্রণয়ন করতে এবং তাদের নিজস্ব বিষয়গুলি পরিচালনা করতে পারে।
তবে, ডেনমার্কের সাথে গ্রিনল্যান্ডের এখনও কিছু শক্তিশালী সংযোগ রয়েছে। ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ডের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা নীতিসমূহের জন্য দায়ী এবং গ্রিনল্যান্ডের মুদ্রা এখনও ডেনিশ ক্রোন। এছাড়াও, গ্রিনল্যান্ডে ডেনমার্কের একটি উচ্চ কমিশন রয়েছে, যা দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখে। সামগ্রিকভাবে, গ্রিনল্যান্ডের ডেনমার্কের সাথে একটি জটিল সম্পর্ক রয়েছে, যা স্বায়ত্তশাসন এবং নির্ভরতার একটি সংমিশ্রণ।
Leave a Reply