ডিমের অজানা রহস্য: সাদা অংশের নাম কী জানো?

ডিমের অজানা রহস্য: সাদা অংশের নাম কী জানো?

ডিম আমাদের সকলের কাছেই একটি পরিচিত খাবার। অনেকেই প্রতিদিনের ডায়েটে ডিমকে অন্তর্ভুক্ত করে থাকেন। ডিম দুটি অংশে বিভক্ত – সাদা অংশ এবং কুসুম অংশ। সাধারণত কুসুম অংশটিই বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। তবে সাদা অংশটিও পুষ্টিগুণে কম নয়। এই লেখায় আমরা ডিমের সাদা অংশ নিয়ে আলোচনা করব। আমরা জানবো সাদা অংশ কী দিয়ে তৈরি, এর পুষ্টিগুণ কী কী, রান্নায় এটি কীভাবে ব্যবহার করা যায় এবং এর কিছু সীমাবদ্ধতা কী কী।

ডিমের সাদা অংশের নাম

ডিমের সাদা অংশকে আমরা সাধারণত সাদা অংশই বলি, তবে এর একটি বিশেষ নাম আছে যা হল “অ্যালবুমিন”। অ্যালবুমিন হল একটি প্রোটিন যা ডিমের সাদা অংশের প্রায় 60% গঠন করে। এই প্রোটিনটি ডিমের গঠন এবং আকৃতি বজায় রাখতে, সেইসাথে ভ্রূণকে পুষ্টি প্রদান করতে সাহায্য করে। এতে বিভিন্ন ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিডও রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। ডিমের সাদা অংশ খাওয়া স্বাস্থ্যকর কারণ এটি ক্যালোরি, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটে কম, তবে প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ।

সাদা অংশের উপাদান

আমরা প্রায়ই ডিম খাই, কিন্তু আমাদের অনেকেরই ডিমের বিভিন্ন অংশের নাম সম্পর্কে জ্ঞান নেই। ডিমের হলুদ অংশকে আমরা কুসুম হিসেবে চিনি, কিন্তু সাদা অংশের নাম কী, তা অনেকেই জানি না। আসুন, আজ আমরা ডিমের সাদা অংশের নাম এবং উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ডিমের সাদা অংশকে ‘অ্যালবুমিন’ বলা হয়। এটি মূলত একটি জলজ প্রোটিন, যা প্রায় 90% পানি এবং 10% প্রোটিন নিয়ে গঠিত। এই প্রোটিনগুলির মধ্যে প্রধান হল ওভালবুমিন, কন্যালবুমিন, ওভোট্রান্সফেরিন এবং লাইসোজাইম। অ্যালবুমিন ডিমের সাদা অংশকে তার স্বতন্ত্র ঘনত্ব এবং রঙ প্রদান করে। এটি ডিমের প্রায় 60% ভর তৈরি করে।

অ্যালবুমিনের প্রধান কাজ হল ডিমের কুসুমকে সুরক্ষিত করা এবং পুষ্টিকর করা। এটি একটি উচ্চ-মানের প্রোটিন, যা দেহের জন্য অত্যাবশ্যক অ্যামিনো অ্যাসিডগুলির একটি সমৃদ্ধ উৎস। এছাড়াও, অ্যালবুমিনে বিভিন্ন খনিজ এবং ভিটামিন, যেমন রিবোফ্লেবিন, নিয়াসিন, সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে।

See also  আপনার দেখা সমাজের কিছু কঠিন বাস্তবতা, যা আমাদের মুখোমুখি হতে হয়

পরিশেষে, ডিমের সাদা অংশ বা অ্যালবুমিন একটি মূল্যবান খাদ্য উপাদান, যা প্রোটিন, খনিজ এবং ভিটামিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। এটি সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যের একটি অপরিহার্য অংশ হতে পারে।

সাদা অংশের পুষ্টিগুণ

ডিমের হলুদ অংশকে কুসুম বলা হয়, কিন্তু সাদা অংশকে কী বলে জানো? এই অংশটিকে এ্যালবুমিন বলা হয়। এ্যালবুমিন প্রোটিনের একটি প্রকার যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি অ্যামিনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ যা শরীরের টিস্যু এবং পেশী গঠনে সাহায্য করে। এ্যালবুমিন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে, রক্ত জমাট বাঁধতে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও এতে রয়েছে রিবোফ্লাবিন, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্কের মতো ভিটামিন ও মিনারেল। সুতরাং পরের বার যখন তুমি ডিম খাবে, তখন শুধুমাত্র কুসুমটাই খেও না, বরং সাদা অংশটিও খাও। এটা তোমার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

রান্নায় সাদা অংশের ব্যবহার

ডিমের সাদা অংশটিকে ডিমের সাদা বা শ্বেতপত্র বলা হয়। এটি একটি স্বচ্ছ, জেল-জাতীয় পদার্থ যা প্রধানত প্রোটিন দিয়ে তৈরি। ডিমের সাদাতে ক্যালোরি বা চর্বি খুব কম থাকে, তাই এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য বিকল্প হতে পারে। রান্নায়, ডিমের সাদা অংশটিকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। এটি ফ্রাই করা, সেদ্ধ করা, অমলেটে যোগ করা বা মেরিঙ্গু তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা পেশী গঠন এবং রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে। এতে রিবোফ্লেভিন এবং সেলেনিয়ামও থাকে, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।

সাদা অংশের সীমাবদ্ধতা

ডিমের হলুদ অংশকে কুসুম বলা হলেও সাদা অংশের নির্দিষ্ট কোনো নাম নেই। তবে একে কখনও কখনও “ডিমের সাদা অংশ” বা “ডিমের অ্যালবুমিন” বলা হয়। ডিমের সাদা অংশের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সাদা অংশে এমন কিছু প্রোটিন থাকে যা তাপে সহজে জমাট বেঁধে যায়। ফলে, ডিমের সাদা অংশ খুব বেশি তাপে রান্না করা হলে এটি শক্ত এবং চিউয়ি হয়ে যায়। এ ছাড়া, ডিমের সাদা অংশে ফ্যাট এবং ক্যালোরি কম থাকে। যার ফলে, এটি ওজন কমানোর জন্য উপকারী হলেও এতে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। তাই, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য ডিমের সাদা এবং হলুদ অংশ উভয়ই খাওয়া প্রয়োজন।

See also  বাংলাদেশ থেকে ট্রাস্ট ওয়ালেট ব্যবহার: আইনী নাকি অবৈধ?

Ucchal Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *