বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কে ছিলেন?

বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কে ছিলেন?

ভাষার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কথা উঠলেই যে নামটি মনে পড়ে, সেটি হল বাংলা অ্যাকাডেমি। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলা ভাষায় গবেষণা, প্রকাশনাসহ নানাবিধ কাজের সঙ্গে জড়িত। বাংলা অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে একটি দীর্ঘ ইতিহাস এবং উদ্দেশ্য। এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পেছনের কারণ, এর প্রথম মহাপরিচালকের নিয়োগ এবং তার অবদান নিয়ে আলোচনা করবো। এছাড়াও এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরাধিকার নিয়েও কথা বলব। আশা করি, এই লেখাটি বাংলা অ্যাকাডেমি সম্পর্কে জানার আগ্রহী পাঠকদের জন্য উপকারী হবে।

বাংলা অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠা

বাংলা অ্যাকাডেমি হলো বাংলা ভাষা এবং সাহিত্যের গবেষণা ও চর্চার একটি প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলা অ্যাকাডেমির প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন বিশিষ্ট ভাষাতাত্ত্বিক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম অধ্যাপক এবং আধুনিক বাংলা ভাষাতত্ত্বের জনক হিসেবে পরিচিত। ড. শহীদুল্লাহর नेतृत्वে বাংলা অ্যাকাডেমি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষণা, প্রকাশনা এবং প্রচারের কাজে ব্যাপক অবদান রেখেছে।

প্রথম মহাপরিচালক নিয়োগের প্রেক্ষাপট

বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি ১৯৫৫ সালে এই পদে নিযুক্ত হন এবং ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ড. শহীদুল্লাহর মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট রয়েছে।

১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নের জন্য বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়। একাডেমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মহাপরিচালক পদটির গুরুত্ব অনস্বীকার্য ছিল। এ কারণে, এমন একজন ব্যক্তির সন্ধান করা হয়, যিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ জ্ঞানসম্পন্ন, উচ্চ শিক্ষিত এবং একাডেমিক অঙ্গনে সুপ্রতিষ্ঠিত।

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এই সকল যোগ্যতায় সম্পূর্ণরূপে খাপ খেয়েছিলেন। তিনি ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষায় ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ড. শহীদুল্লাহ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ব্যাপক গবেষণা ও প্রকাশনা করেন এবং তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বাংলা ভাষার অভিধান’ প্রণয়নে নিয়োজিত হন।

See also  বাংলাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত: তাদের গল্প, সংগ্রাম ও সাফল্য

তার অসামান্য যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার কারণে বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক হিসেবে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নিয়োগ অত্যন্ত স্বাভাবিক ও যুক্তিযুক্ত ছিল। তার নেতৃত্বে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

প্রথম মহাপরিচালকের পরিচয়

বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন বিশিষ্ট ভাষাবিজ্ঞানী ও গবেষক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। ১৯৫৭ সালের ৩ ডিসেম্বর তিনি এ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ১৯৬৯ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।

তার দীর্ঘ ও বিশিষ্ট কর্মজীবনে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা ও লেখালেখি করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বাংলা ভাষার ইতিহাস’, ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’, ‘বাংলা ব্যাকরণ’ এবং ‘বাংলা ভাষার অভিধান’।

মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম প্রধানও ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তার গবেষণা ও লেখালেখি আজও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

পদে নিয়োগের কারণ

বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন বিশিষ্ট ভাষাবিজ্ঞানী ও গবেষক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। ১৯৫৭ সালের ৩ ডিসেম্বর তিনি এ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ১৯৬৯ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।

তার দীর্ঘ ও বিশিষ্ট কর্মজীবনে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা ও লেখালেখি করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বাংলা ভাষার ইতিহাস’, ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’, ‘বাংলা ব্যাকরণ’ এবং ‘বাংলা ভাষার অভিধান’।

মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম প্রধানও ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তার গবেষণা ও লেখালেখি আজও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

See also  যে কারণে বাংলাদেশের নদী সাগরের দিকেই প্রবাহিত হয়

মহাপরিচালকের অবদান

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির অবদান অপরিসীম। একাডেমির প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর মহাপরিচালকেরা এই অবদানকে আরও সমৃদ্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন ড. মুহম্মদ এনামুল হক। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ও দূরদর্শিতার কারণে বাংলা একাডেমি আজ একটি প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

ড. হক ছিলেন একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ ও সাহিত্যিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রথম প্রধান ছিলেন। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘বাংলা অভিধান’ বাংলা ভাষার একটি প্রামাণিক অভিধান হিসেবে স্বীকৃত। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘বাংলা সাহিত্য পরিষদ’। এছাড়াও, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্য রচনার ওপর একটি গবেষণা গ্রন্থ লিখেছিলেন।

বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক হিসেবে ড. হক একাডেমির কার্যক্রমকে জনপ্রিয় করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি একাডেমির প্রকাশনা কর্মসূচিকে সম্প্রসারিত করেছেন এবং নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তাঁর উদ্যোগে একাডেমি থেকে ‘বাংলা একাডেমি পত্রিকা’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হতে শুরু করে। তিনিই সর্বপ্রথম বাংলা একাডেমিতে ফেলোশিপ প্রদানের ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও, তিনি বাংলা ভাষার গবেষণার জন্য ‘বাংলা ভাষা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

উত্তরাধিকার

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির অবদান অপরিসীম। একাডেমির প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর মহাপরিচালকেরা এই অবদানকে আরও সমৃদ্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন ড. মুহম্মদ এনামুল হক। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ও দূরদর্শিতার কারণে বাংলা একাডেমি আজ একটি প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

ড. হক ছিলেন একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ ও সাহিত্যিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রথম প্রধান ছিলেন। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘বাংলা অভিধান’ বাংলা ভাষার একটি প্রামাণিক অভিধান হিসেবে স্বীকৃত। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘বাংলা সাহিত্য পরিষদ’। এছাড়াও, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্য রচনার ওপর একটি গবেষণা গ্রন্থ লিখেছিলেন।

See also  বাংলাদেশ: বৃহৎ বদ্বীপের রহস্য উন্মোচন

বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক হিসেবে ড. হক একাডেমির কার্যক্রমকে জনপ্রিয় করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি একাডেমির প্রকাশনা কর্মসূচিকে সম্প্রসারিত করেছেন এবং নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। তাঁর উদ্যোগে একাডেমি থেকে ‘বাংলা একাডেমি পত্রিকা’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হতে শুরু করে। তিনিই সর্বপ্রথম বাংলা একাডেমিতে ফেলোশিপ প্রদানের ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও, তিনি বাংলা ভাষার গবেষণার জন্য ‘বাংলা ভাষা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

Ishti Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *