বাংলাদেশের সেনাপ্রধানগণ: র‍্যাংক, মেয়াদকাল ও উল্লেখযোগ্য ঘটনা

বাংলাদেশের সেনাপ্রধানগণ: র‍্যাংক, মেয়াদকাল ও উল্লেখযোগ্য ঘটনা

আর্মি চিফ বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ পদ। এই পদটি রক্ষা সচিবের আওতাধীন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দায়ের করে। সেনাপ্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান। এই পদের অধিকারী ব্যক্তি一名 মেজর জেনারেল বা লেফটেন্যান্ট জেনারেল হন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশাসনিক এবং অপারেশনাল দায়িত্বের তত্ত্বাবধান করেন।

এই আর্টিকেলে, আমি বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব, কর্তব্য, নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়াও, বর্তমান সেনাপ্রধানের সম্পর্কেও জানাব। এই আর্টিকেলটি পড়ার পর, আপনি সেনাপ্রধানের ভূমিকা ও দায়িত্ব সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পাবেন।

সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিগন

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সেনাপ্রধান হলেন সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিং কর্মকর্তা। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন করেন। সেনাপ্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশাসনিক এবং অপারেশনাল দায়িত্বের জন্য দায়ী।

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে ১৭ জন ব্যক্তি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথম সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল এম এ জি ওসমানী। তিনি ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান সেনাপ্রধান হলেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি ২০২১ সাল থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

সেনাপ্রধানের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে:

  • সেনাবাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।
  • সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করা।
  • সেনাবাহিনীর নিয়োগ এবং পদোন্নতি নীতি নির্ধারণ করা।
  • সেনাবাহিনীর বাজেট এবং সংস্থান ব্যবস্থাপনা করা।
  • বিদেশী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা।

সেনাপ্রধান একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং তিনি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য দায়ী। সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিরা দেশের সবচেয়ে সজ্জন এবং অভিজ্ঞ সামরিক কর্মকর্তা।

সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব ও কর্তব্য

বাংলাদেশে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব কে কে পালন করেছেন?

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদ হচ্ছে সেনাপ্রধান। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৭ জন সেনা কর্মকর্তা সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁরা হলেন-

১। মেজর জেনারেল ওসমানী (১৯৭১-১৯৭২)
২। মেজর জেনারেল এমএজি ওসমানী (১৯৭২-১৯৭৪)
৩। লেফটেন্যান্ট জেনারেল খালেদ মোশাররফ (১৯৭৪-১৯৭৫)
৪। লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান (১৯৭৫-১৯৭৭)
৫। মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান (১৯৭৭-১৯৭৮)
৬। লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান (১৯৭৮-১৯৮১)
৭। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ (১৯৮১-১৯৯০)
৮। লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূর উদ্দিন খান (১৯৯০-১৯৯১)
৯। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (১৯৯১-১৯৯৪)
১০। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু সালেহ মুহাম্মদ নাসিম (১৯৯৪-১৯৯৬)
১১। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন (১৯৯৬-১৯৯৭)
১২। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ সুলতানউদ্দিন (১৯৯৭-২০০০)
১৩। জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (২০০০-২০০২)
১৪। জেনারেল এম হারুন অর রশীদ (২০০২-২০০৫)
১৫। জেনারেল মোহাম্মদ মঈন উ আহমদ (২০০৫-২০০৯)
১৬। জেনারেল ইনামুল হক (২০০৯-২০১০)
১৭। জেনারেল আব্দুর রাজ্জাক (২০১০-২০১২)
১৮। জেনারেল আরশাদুর রহমান (২০১২)
১৯। জেনারেল পীরুজ আলম (২০১২ -২০১৫)
২০। জেনারেল আজিজ আহমেদ (২০১৫ – ২০১৮)
২১। জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক (২০১৮ – ২০১৯)
২২। জেনারেল আজিজ আহমেদ (২০১৯ -২০২১)
২৩। জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ (২০২১ – বর্তমান)

See also  অ্যাটর্নি জেনারেল: রাষ্ট্রের প্রধান আইনজ্ঞ

সেনাপ্রধানের নিয়োগ প্রক্রিয়া

সেনাপ্রধান হলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান। তিনি তিনটি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। সেনাপ্রধান নিয়োগের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। সেনা সদর দপ্তরের সেনা প্রশাসন শাখার সংশ্লিষ্ট পরিচালক সেনাপ্রধানের পদ শূন্য হওয়ার 3 মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি প্রেরণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তৎক্ষণাৎ এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে লিখিতভাবে সেনাপ্রধান নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেন। প্রক্রিয়া অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে গঠিত সেনাপ্রধান নির্বাচন বোর্ড সংশ্লিষ্ট পদে উপযুক্ত 3 থেকে 5 জন কর্মকর্তার নাম সুপারিশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সুপারিশকৃত তালিকা থেকে প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী সেনাপ্রধান নির্বাচন করেন। এই প্রক্রিয়ার সর্বশেষ ধাপ হিসেবে রাষ্ট্রপতি কর্মকর্তাকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগপত্র প্রদান করেন।

বাংলাদেশে সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকৃত ব্যক্তিগণের তালিকা

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হলেন সেনাপ্রধান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান দায়িত্ব পালন করেন সেনাপ্রধান। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত ১৭ জন সেনাপ্রধান দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বাধীনতার পর সেনাবাহিনীর প্রথম সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল এম এ জি ওসমানী। তিনি ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে দীর্ঘতম সময় দায়িত্ব পালন করেছেন জেনারেল হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনকারী একমাত্র নৌবাহিনীর কর্মকর্তা হলেন অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মইনুল হক। তিনি ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি ২০১৮ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।

বর্তমান সেনাপ্রধান

আমি তোমাকে বাংলাদেশে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনকারীদের সম্পর্কে বলবো। বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর প্রধান হলেন সেনাপ্রধান যিনি রাষ্ট্রপতির অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৬ জন সেনাপ্রধান দায়িত্ব পালন করেছেন।

See also  উঠ! মরুভূমিতে দিনের পর দিন জল পান না করে কেমন করে উট টিকে থাকে

প্রথম সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল এম এ জি ওসমানী, যিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। হলেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, যিনি ২০১৮ সালের ২৫ জুন থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।

উপসংহার

আমি তোমাকে বাংলাদেশে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনকারীদের সম্পর্কে বলবো। বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর প্রধান হলেন সেনাপ্রধান যিনি রাষ্ট্রপতির অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৬ জন সেনাপ্রধান দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রথম সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল এম এ জি ওসমানী, যিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। হলেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, যিনি ২০১৮ সালের ২৫ জুন থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।

Omi Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *