আজ আমি তোমাদের এমন একজন মানুষের কথা বলবো, যিনি বাংলাদেশের বিমানচালনা ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি হলেন গোলাম মোস্তফা সাহা। তিনি বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট। তার জীবনের গল্প শুনলে তোমরা আশ্চর্য হয়ে যাবে। আজ আমরা তার জীবন এবং ক্যারিয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। এই আর্টিকেলটি পড়ার পর তোমরা জানতে পারবে কীভাবে তিনি একজন সাধারণ মানুষ থেকে বাংলাদেশের বিমানচালনা ইতিহাসের একজন কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছিলেন। তোমরা তার জীবন থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে, যা তোমাদের নিজেদের জীবনে সফল হতে সাহায্য করবে।
পরিচিতি
একজন বাঙালি পেশাদার কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে, আমি তোমাকে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে একটি তথ্যবহুল ব্লগ পোস্ট প্যারাগ্রাফ লিখে দিতে পারি।
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। তিনি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন একজন আইনজীবী, রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সংগঠক। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সফলতা অর্জিত হয় এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
গোলাম মোস্তফা সাহার সংক্ষিপ্ত জীবনী
গোলাম মোস্তফা সাহার জীবনী
গোলাম মোস্তফা সাহা (১৯২০-২০০১, বাংলাদেশ) দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম বাঙালি যিনি যুদ্ধকালীন যুক্তরাজ্যের রাজকীয় বিমানবাহিনীতে পাইলট হিসেবে যোগদান করেছিলেন। তিনি ১৯৪১ সালে রাজকীয় বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বোম্বার পাইলট হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধের পর তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থায় যোগ দেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম প্রধান এবং প্রথম অধিনায়ক ছিলেন। তিনি “বাংলাদেশের আকাশের রথী” হিসেবে পরিচিত। তিনি তার জীবদ্দশায় অনেক পুরস্কার এবং সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি ২০০১ সালে মারা যান।
পাইলট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ
যখনই আকাশে কোনো বিমান উড়তে দেখব, তখনই মনে পড়বে সেই দিনের কথা। যখন আমি প্রথমবারের মতো পাইলট হিসেবে কোনো বিমানের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। সেদিন সকাল থেকেই বুকের মধ্যে একটা অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করছিল। একটু আনন্দ, একটু ভয়, একটু রোমাঞ্চ। কী এক অদ্ভুত অনুভূতি!
আমি ছোটবেলা থেকেই পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। আকাশে উড়ন্ত বিমানের প্রতি আমার ছিল একটা অন্যরকম মোহ। আর সেই স্বপ্নই আজ বাস্তবায়িত হতে চলেছে। বিমানবন্দরে পৌঁছেই আমি সরাসরি ককপিটে গেলাম। সিটে বসে সামনে তাকিয়ে দেখি, আমার সামনে এক বিশাল বিমান। আজ এই বিশাল জাহাজের দায়িত্ব আমার কাঁধে।
প্রথম বিমান চালনা
বাংলাদেশের প্রথম বিমানের পাইলট ছিলেন শহীদ ক্যাপ্টেন মাতিউর রহমান। তিনি ১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর যশোর বিমানঘাঁটি থেকে একটি ডগলাস ডিসি-৩ বিমানটি নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন এবং ভারতের আগরতলা বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেন। এই ঘটনাটিকে বাংলাদেশের বিমান চালনার ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি বাংলাদেশের প্রথম বিমান চালক এবং প্রথম বিমান বহরের কমান্ডার ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর একটি বিমান দ্বারা আক্রান্ত হয়ে শহীদ হন। তাঁর সাহসিকতার জন্য তাঁকে মরণোত্তরভাবে মহানায়ক খেতাব প্রদান করা হয়। তাঁর নামে ঢাকায় একটি বিমান ঘাঁটি নামকরণ করা হয়েছে এবং তাঁর জীবনী নিয়ে একটি সিনেমাও তৈরি করা হয়েছে।
ক্যারিয়ার হাইলাইট
বাংলাদেশের প্রথম বিমানের পাইলট ছিলেন শহীদ ক্যাপ্টেন মাতিউর রহমান। তিনি ১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর যশোর বিমানঘাঁটি থেকে একটি ডগলাস ডিসি-৩ বিমানটি নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন এবং ভারতের আগরতলা বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেন। এই ঘটনাটিকে বাংলাদেশের বিমান চালনার ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি বাংলাদেশের প্রথম বিমান চালক এবং প্রথম বিমান বহরের কমান্ডার ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর একটি বিমান দ্বারা আক্রান্ত হয়ে শহীদ হন। তাঁর সাহসিকতার জন্য তাঁকে মরণোত্তরভাবে মহানায়ক খেতাব প্রদান করা হয়। তাঁর নামে ঢাকায় একটি বিমান ঘাঁটি নামকরণ করা হয়েছে এবং তাঁর জীবনী নিয়ে একটি সিনেমাও তৈরি করা হয়েছে।
Leave a Reply