আমি তোমাদেরকে অফিসে কর্মক্ষমতা হ্রাসের কারণ সম্পর্কে বলব। অফিসে কর্মক্ষমতা হ্রাস একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমাদের সজাগ হওয়া উচিত। কর্মক্ষমতা হ্রাসের কারণ সম্পর্কে জানা আমাদেরকে এই সমস্যাটি সমাধান করতে এবং আমাদের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
এই নিবন্ধে, আমি অফিসে কর্মক্ষমতা হ্রাসের পাঁচটি প্রধান কারণ আলোচনা করব। এই কারণগুলি বোঝা আমাদেরকে এই সমস্যাটির সমাধানে সাহায্য করতে পারে এবং আমাদের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে পারে।
কারণ ১: আধিকারিকদের উপস্থিতির অভাব
অফিসের সময় বিদ্যুৎ বিভাগের অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ কর্মকর্তাই গায়েব। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রধানও অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। তাই লোডশেডিং সম্পর্কিত সমস্যা, বিল পেমেন্ট বা নতুন সংযোগ নেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলার জন্য কাউকে পাওয়া যায় না। সরাসরি কাজের সঙ্গে জড়িত কর্মচারীরাও প্রায়ই অফিসে উপস্থিত থাকেন না। ফলে অফিসের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না, যা বিদ্যুৎ অফিসকে অফ দ্য অফিসে পরিণত করে।
কারণ ২: কম কাজের চাপ
বিদ্যুৎ অফিসে কাজের চাপ অনেক কম। এখানে কোনো রকম তাগাদা নেই, কোনো রকম ডেডলাইন নেই। কাজের পরিমাণও খুব কম। তাই এখানে কাজ করে খুব স্বস্তি লাগে। আমি এখানে কাজ করতে এসে প্রথমে ভেবেছিলাম যে এখানে অনেক বেশী কাজ করতে হবে। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম যে কাজের চাপ একেবারেই নেই। এখানে আমি সারাদিন আলসে বসে থাকতে পারি। এখানে কোনো রকম কাজের চাপ নেই। এখানে আমি খুব স্বস্তিতে কাজ করতে পারি।
কারণ ৩: শিথিল পরিবেশ
বিদ্যুৎ অফিসে কর্মচারীরা একটি খুবই শিথিল পরিবেশে কাজ করে। এর কারণ হল যে বিদ্যুৎ শিল্প একটি নিয়ন্ত্রিত শিল্প, এবং সরকার বিদ্যুৎ দর নির্ধারণ করে। এর অর্থ হল যে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি তাদের দাম বাড়িয়ে লাভ বাড়াতে পারে না। পরিবর্তে, তারা তাদের লাভ বাড়ানোর জন্য তাদের খরচ কমাতে ফোকাস করে।
এই শিথিল পরিবেশ কর্মচারীদের অনেক সুবিধা প্রদান করে। প্রথমত, তারা তাদের কাজের সময়সূচীতে আরও নমনীয় হতে পারে। দ্বিতীয়ত, তারা তাদের কাজের পরিবেশ নিয়ে আরও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তৃতীয়ত, তারা তাদের সহকর্মীদের সাথে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। এই সুবিধাগুলি বিদ্যুৎ অফিসকে একটি খুব আকর্ষণীয় কর্মক্ষেত্র করে তোলে।
কারণ ৪: কঠোর নিয়মকানুনের অভাব
বিদ্যুৎ সেবা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কঠোর কোনো নিয়মকানুনের অভাবই আজকের এই দুরবস্থার অন্যতম কারণ। বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ সম্পর্কে আমাদের দেশে কোনো স্বতন্ত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই। বিদ্যুৎ বিভাগ নিজেরাই নিজেদের সেবা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে, তারা ইচ্ছেমতো বিদ্যুৎ সরবরাহে ফাঁকি দেয় বা বেশি দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করে। এছাড়া, নিম্নমানের সরঞ্জামাদি ব্যবহার ও ভালোমানের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবও বিদ্যুৎ সরবরাহে বাধার সৃষ্টি করে।
কারণ ৫: দায়িত্বশীলতার অভাব
বিদ্যুৎ যেমন আমাদের জীবনকে সহজতর করে তুলেছে, তেমনি বিদ্যুতের অভাবে আমাদের জীবনযাত্রাও স্তব্ধ হয়ে যায়। আমাদের কাজ থেকে শুরু করে আমাদের ঘরোয়া জীবন বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কিন্তু আমরা কি জানি কেন যে কারণে আমাদের বিদ্যুৎ অফিসকে অফ দা অফিস বলা হয়? এই পোস্টে আমরা তেমনই ৫টি কারণ নিয়ে আলোচনা করব যার কারণে বিদ্যুৎ অফিসকে অফ দা অফিস বলা হয়।
দায়িত্বশীলতার অভাব হলো এমন একটি কারণ যা বিদ্যুৎ অফিসকে অফ দা অফিস হিসেবে আখ্যায়িত করার জন্য দায়ী। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীরা প্রায়ই তাদের দায়িত্ববোধে অবহেলা করেন। ফলস্বরূপ, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় ত্রুটি ঘটে যা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো ট্রান্সফর্মারে ত্রুটি দেখা দেয় তবে কর্মচারীরা দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর পরিবর্তে অপেক্ষা করেন যা কখনও কখনও দীর্ঘতর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ হয়।
Leave a Reply