মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইসলামবিরোধী বিষয়বস্তু কেন, নাগরিক হিসেবে আমাদের করণীয় কী?

মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইসলামবিরোধী বিষয়বস্তু কেন, নাগরিক হিসেবে আমাদের করণীয় কী?

আমি একজন পেশাদার বাঙালি কন্টেন্ট রাইটার, এবং আমি আপনাকে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি যেটি আজকের সমাজে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা প্রায়ই দেখি মঙ্গল শোভাযাত্রা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় মূর্তির বিসর্জন ইত্যাদি নিয়ে বিতর্ক ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনাগুলো আমাদের মানবতাবাদী মূল্যবোধকে লঙ্ঘন করছে, সামাজিক সম্প্রীতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং এমনকি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সম্ভাবনা তৈরি করছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অমান্য করা হচ্ছে এবং এভাবেই আমরা আমাদের সামাজিক দায়িত্ববোধের অভাবকে প্রমাণ করছি। আমাদের মনে রাখতে হবে, সহিষ্ণুতা ও সমঝোতা ছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব নয়। এই আর্টিকেলটিতে, আমি এই সমস্যাগুলোকে বিশ্লেষণ করব এবং আমাদের সমাজে এই বিষয়গুলোর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব।

কেন ইসলামবিরোধী?

মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে ইসলামবিরোধিতার কোনও যোগসূত্র নেই। মঙ্গল শোভাযাত্রা হল এমন একটি উৎসব যা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা পালন করা হয় এবং এটি ভগবান মঙ্গল পূজা করার জন্য উদযাপন করা হয়। অন্যদিকে, ইসলামবিরোধিতা হল মুসলমানদের বা ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ বা অসহিষ্ণুতা। এই দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারণা এবং এদের মধ্যে কোনও যোগ নেই।

মঙ্গল শোভাযাত্রার সময় কখনও কখনও কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে, তবে এটি এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য নয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা হল একটি শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক উৎসব যা সকলে উপভোগ করতে পারে, তাদের ধর্ম যা-ই হোক না কেন। আমাদের সকলের বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসকে সম্মান করা উচিত এবং বিদ্বেষ বা অসহিষ্ণুতাকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।

মূর্তির বিসর্জন নিয়ে বিতর্ক

এবারও দেখা দিয়েছে। একদলের মতে এটি হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, তাই অন্য ধর্মাবলম্বীদের এ নিয়ে আপত্তি করা উচিত নয়। আবার অন্যদলের মতে বিসর্জনের সময় তৈরি হওয়া শব্দদূষণ ও পরিবেশ দূষণ সবারই জন্য সমস্যার কারণ হয়।

See also  আমি কি কারো টিকটক আইডি আমার ফোন থেকে নষ্ট করে দিতে পারবো?

আমি মনে করি বিসর্জনের সময় শব্দদূষণ ও পরিবেশ দূষণের বিষয়টি নিয়ে সকলের সচেতন হওয়া উচিত। শব্দদূষণ কমাতে কম আওয়াজে মাইক ব্যবহার করা, বিসর্জনের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া ইত্যাদি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। আবার পরিবেশ দূষণ কমাতে পুকুর বা নদীর জলে বিসর্জনের পরিবর্তে অন্য কোনো উপায় বের করা যেতে পারে। যেমন – মাটিতে পুঁতে ফেলা বা কোনো পার্কে বা খোলা জায়গায় রেখে দেওয়া।

একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে সকলেরই অবদান রাখতে হবে। বিসর্জনের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানও হবে, আবার সকলের সুবিধাও থাকবে – এমন একটি উপায় বের করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

সামাজিক সম্প্রীতির হুমকি

এবারও দেখা দিয়েছে। একদলের মতে এটি হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, তাই অন্য ধর্মাবলম্বীদের এ নিয়ে আপত্তি করা উচিত নয়। আবার অন্যদলের মতে বিসর্জনের সময় তৈরি হওয়া শব্দদূষণ ও পরিবেশ দূষণ সবারই জন্য সমস্যার কারণ হয়।

আমি মনে করি বিসর্জনের সময় শব্দদূষণ ও পরিবেশ দূষণের বিষয়টি নিয়ে সকলের সচেতন হওয়া উচিত। শব্দদূষণ কমাতে কম আওয়াজে মাইক ব্যবহার করা, বিসর্জনের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া ইত্যাদি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। আবার পরিবেশ দূষণ কমাতে পুকুর বা নদীর জলে বিসর্জনের পরিবর্তে অন্য কোনো উপায় বের করা যেতে পারে। যেমন – মাটিতে পুঁতে ফেলা বা কোনো পার্কে বা খোলা জায়গায় রেখে দেওয়া।

একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে সকলেরই অবদান রাখতে হবে। বিসর্জনের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানও হবে, আবার সকলের সুবিধাও থাকবে – এমন একটি উপায় বের করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সম্ভাবনা

এবারও দেখা দিয়েছে। একদলের মতে এটি হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, তাই অন্য ধর্মাবলম্বীদের এ নিয়ে আপত্তি করা উচিত নয়। আবার অন্যদলের মতে বিসর্জনের সময় তৈরি হওয়া শব্দদূষণ ও পরিবেশ দূষণ সবারই জন্য সমস্যার কারণ হয়।

See also  কেঁ লিখতে কীবোর্ডে কোন কোন কী চাপতে হবে? (সহজ উপায়)

আমি মনে করি বিসর্জনের সময় শব্দদূষণ ও পরিবেশ দূষণের বিষয়টি নিয়ে সকলের সচেতন হওয়া উচিত। শব্দদূষণ কমাতে কম আওয়াজে মাইক ব্যবহার করা, বিসর্জনের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া ইত্যাদি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। আবার পরিবেশ দূষণ কমাতে পুকুর বা নদীর জলে বিসর্জনের পরিবর্তে অন্য কোনো উপায় বের করা যেতে পারে। যেমন – মাটিতে পুঁতে ফেলা বা কোনো পার্কে বা খোলা জায়গায় রেখে দেওয়া।

একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে সকলেরই অবদান রাখতে হবে। বিসর্জনের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানও হবে, আবার সকলের সুবিধাও থাকবে – এমন একটি উপায় বের করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

সরকারি নির্দেশ অমান্যের অভিযোগ

ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নগরীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন রায়হান (২০) ও আব্দুল্লাহ (২১)। পূর্বপল্লী থানার ওসি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান আজ বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেলা প্রশাসনের দেয়া নির্দেশ অমান্য করে মঙ্গলবার রাতে নগরীর স্টেডিয়াম এলাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ সময় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বড় ধরনের ডিজে মেশিন ও লাইট ব্যবহার করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শোভাযাত্রা বন্ধ করে দুই যুবককে আটক করে। কিশোর আইনে দুই যুবককে আটক রাখা হয়েছে বলে ওসি জানান।

সহিষ্ণুতা ও সমঝোতার প্রয়োজন

মঙ্গল শোভাযাত্রা কেন ইসলামবিরোধী?

যদিও মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি ধর্মীয় উৎসব, তবে কিছু লোক দাবি করেন যে এটি ইসলাম বিরোধী। এই দাবিটি অনেক ভুল বোঝাবুঝি এবং ভ্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা আসলে সকল ধর্মের সহাবস্থান ও সহিষ্ণুতার উদযাপন। উৎসবটি সমস্ত ধর্মের মানুষদেরকে একত্রিত করে শান্তি ও ভালবাসার বার্তা ছড়ায়।

Tonmoy Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *