আমেরিকান ইউনাইটেড স্টেটসকে যুক্তরাষ্ট্র কেন বলা হয় || এর ঐতিহাসিক পটভূমি

আমেরিকান ইউনাইটেড স্টেটসকে যুক্তরাষ্ট্র কেন বলা হয় || এর ঐতিহাসিক পটভূমি

সবাইকে অভিবাদন! আজকের পোস্টে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস এবং বিবর্তনের এক উত্তেজনাপূর্ণ যাত্রায় যোগ দেব। এই পোস্টটি যুক্তরাষ্ট্রের উৎপত্তি, প্রাথমিক উপনিবেশ, স্বাধীনতার ঘোষণা, বিপ্লবী যুদ্ধ এবং শেষ পর্যন্ত একটি জাতি হিসাবে এর গঠনের একটি বিস্তারিত অ্যাকাউন্ট প্রদান করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস বিশ্ব ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি একটি গল্প যা স্বাধীনতা, স্বাধীনতা এবং প্রগতির প্রতীক। এই পোস্টটি মাধ্যমে, আমরা এই গল্পটির পেছনে লুকানো ঘটনা এবং ব্যক্তিদের অন্বেষণ করব যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী দেশে পরিণত করেছে। আমাদের যাত্রায় যোগ দিন এবং এই অসাধারণ জাতির উত্থান এবং বিবর্তনের আকর্ষণীয় গল্পটি আবিষ্কার করুন।

যুক্তরাষ্ট্র কী?

আমাদের পোশাকের ওপর লেখা মার্কিন কাপড় কথাটির রহস্য উন্মোচন করার জন্য আমাদেরকে একটু পেছনে ফিরে তাকাতে হবে, যখন আমাদের দেশ ভারতীয় উপমহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই সময়ে, আমাদের দেশটি বিভিন্ন কাপড়ের উৎপাদন এবং রফতানির জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করেছিল। বিশেষ করে বাংলাদেশের মসলিন কাপড় তখন বিশ্বের বাজারে অত্যন্ত মূল্যবান এবং চাহিদাপ্রাপ্ত ছিল।

এই কাপড়ের বাণিজ্যের কারণে আমাদের দেশের বণিকরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করতেন। বিদেশে গিয়ে তারা দেখতেন যে ওখানে তাদের কাপড়গুলিকে “মার্কিন কাপড়” নামে পরিচিত করা হত। এই শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে আমাদের দেশের পুরনো নাম “মোঙ্গল” শব্দটি থেকে। বিদেশিরা আমাদের দেশের নাম ঠিকঠাক উচ্চারণ করতে না পারায় তারা ধীরে ধীরে “মোঙ্গল” শব্দটিকে “মার্কিন” শব্দটিতে পরিবর্তিত করে ফেলে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উৎপত্তি

যুক্তরাষ্ট্র একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র যা উত্তর আমেরিকার মহাদেশের কেন্দ্রীয় অংশে অবস্থিত। এটি বিষয় আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এবং জনসংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ৫০টি রাজ্য, একটি ফেডারেল জেলা, পাঁচটি প্রধান অঞ্চল এবং বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন, ডিসি।

যুক্তরাষ্ট্র অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। মূল তেরটি উপনিবেশ ১৭৭৬ সালে গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছিল। ১৭৮৩ সালে প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।

See also  ছবি আঁকার জগতে প্রবেশ: শুরু করার সহজ গাইড

যুক্তরাষ্ট্র একটি ফেডারেল প্রজাতন্ত্র যেখানে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান হিসাবে কাজ করেন। দেশটি একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট কংগ্রেস দ্বারা শাসিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিনিধিদের সভা এবং সিনেট। যুক্তরাষ্ট্র একটি সংবিধান দ্বারা শাসিত যা ১৭৮৮ সালে অনুমোদিত হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্র একটি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় দেশ যার বহুমুখী ভূগোল, জলবায়ু এবং সংস্কৃতি রয়েছে। দেশটি বিশ্বের অন্য কোনো দেশের চেয়ে বেশি জাতিগত ও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বাসস্থান। যুক্তরাষ্ট্র একটি অগ্রণী অর্থনীতি, শক্তিশালী সামরিক এবং উন্নত অবকাঠামো রয়েছে। এটি জাতিসংঘ, নাটো এবং বিশ্বব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সদস্য৷

আমেরিকা মহাদেশে প্রাথমিক উপনিবেশগুলি

আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলির একটি হল প্রাথমিক উপনিবেশগুলির প্রতিষ্ঠা। এই উপনিবেশগুলি মহাদেশে ইউরোপীয় উপস্থিতির ভিত্তি স্থাপন করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত যে দেশটি আমরা আজকে যুক্তরাষ্ট্র হিসাবে চিনি তার ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

প্রথম ইউরোপীয় উপনিবেশটি ১৫৬৫ সালে স্পেনীয়দের দ্বারা সেন্ট অগাস্টিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৬০৭ সালে ইংরেজরা জেমসটাউন এবং ১৬২০ সালে প্লাইমাউথ প্রতিষ্ঠা করে। এই তিনটি উপনিবেশ আমেরিকাতে ইংরেজি উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করে এবং পরবর্তী শতাব্দীতে আরও উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করে।

প্রাথমিক উপনিবেশগুলি বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিছু উপনিবেশ, যেমন ভার্জিনিয়া, অর্থনৈতিক সুযোগের সন্ধানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অন্যদের, যেমন প্লাইমাউথ, ধর্মীয় স্বাধীনতার সন্ধানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যদিও তাদের উদ্দেশ্যগুলি ভিন্ন হলেও, প্রাথমিক উপনিবেশগুলির সকলেরই ইউরোপীয় সভ্যতার প্রসারে অবদান রাখা একটি সাধারণ লক্ষ্য ছিল।

প্রাথমিক উপনিবেশগুলির ইতিহাস একটি জটিল এবং আকর্ষণীয় বিষয়। এই উপনিবেশগুলি প্রায়শই সংগ্রাম এবং কষ্ট দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল, তবে তাদের মধ্যে আমাদের দেশের কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও ঘটেছিল। প্রাথমিক উপনিবেশগুলির ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানতে আমি আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটটি এক্সপ্লোর করতে উদ্বুদ্ধ করছি।

স্বাধীনতার ঘোষণা এবং বিপ্লবী যুদ্ধ

আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলির একটি হল প্রাথমিক উপনিবেশগুলির প্রতিষ্ঠা। এই উপনিবেশগুলি মহাদেশে ইউরোপীয় উপস্থিতির ভিত্তি স্থাপন করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত যে দেশটি আমরা আজকে যুক্তরাষ্ট্র হিসাবে চিনি তার ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

See also  বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকৃতি দেওয়া দেশ সমূহের তালিকা

প্রথম ইউরোপীয় উপনিবেশটি ১৫৬৫ সালে স্পেনীয়দের দ্বারা সেন্ট অগাস্টিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৬০৭ সালে ইংরেজরা জেমসটাউন এবং ১৬২০ সালে প্লাইমাউথ প্রতিষ্ঠা করে। এই তিনটি উপনিবেশ আমেরিকাতে ইংরেজি উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করে এবং পরবর্তী শতাব্দীতে আরও উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করে।

প্রাথমিক উপনিবেশগুলি বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিছু উপনিবেশ, যেমন ভার্জিনিয়া, অর্থনৈতিক সুযোগের সন্ধানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অন্যদের, যেমন প্লাইমাউথ, ধর্মীয় স্বাধীনতার সন্ধানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যদিও তাদের উদ্দেশ্যগুলি ভিন্ন হলেও, প্রাথমিক উপনিবেশগুলির সকলেরই ইউরোপীয় সভ্যতার প্রসারে অবদান রাখা একটি সাধারণ লক্ষ্য ছিল।

প্রাথমিক উপনিবেশগুলির ইতিহাস একটি জটিল এবং আকর্ষণীয় বিষয়। এই উপনিবেশগুলি প্রায়শই সংগ্রাম এবং কষ্ট দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল, তবে তাদের মধ্যে আমাদের দেশের কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও ঘটেছিল। প্রাথমিক উপনিবেশগুলির ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানতে আমি আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটটি এক্সপ্লোর করতে উদ্বুদ্ধ করছি।

যুক্তরাষ্ট্রের গঠন

যুক্তরাষ্ট্র কেন বলা হয়? এর ইতিহাস কি?

আমরা সকলেই জানি যে যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্তরাষ্ট্র বলা হয়। কিন্তু কখনো কি ভেবেছ দেশটিকে কেন যুক্তরাষ্ট্র বলা হয়? এর পেছনে রয়েছে দেশটির ইতিহাস এবং রাজনৈতিক গঠন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস খুবই জটিল এবং দীর্ঘ। ১৭৭৬ সালে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জন্ম হয়। স্বাধীনতা ঘোষণার পরবর্তী বছরগুলিতে, ১৩টি উপনিবেশ একটি কনফেডারেশন গঠন করে যা আনুষ্ঠানিকভাবে ১৭৮১ সালে অনুমোদিত হয়।

কনফেডারেশন একটি দুর্বল কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত হত এবং রাজ্যগুলিকে অনেক ক্ষমতা দেওয়া হত। এই ব্যবস্থা ১৭৮৭ সালে সংবিধানের অনুমোদনের সাথে ব্যাপকভাবে সংস্কার করা হয়।

সংবিধান একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করে যা রাজ্যগুলিকে বেশ কিছু ক্ষমতা অর্পণ করে। সংবিধানটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

গণতন্ত্রের অর্থ হল সরকার জনগণ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, জনগণ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয়ভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করে।

See also  বাংলাদেশের প্রথম মুভির ইতিহাস: নাম ও নায়কের পরিচয়

প্রত্যক্ষ নির্বাচন হল যখন জনগণ সরাসরি প্রার্থীদের নির্বাচন করে। যুক্তরাষ্ট্রে, প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য এবং রাজ্যের গভর্নরদের নির্বাচিত করা হয়।

পরোক্ষ নির্বাচন হল যখন জনগণ একটি মধ্যস্থ সংস্থাকে নির্বাচন করে যা তারপরে প্রতিনিধিদের নির্বাচন করে। যুক্তরাষ্ট্রে, পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেটরদের নির্বাচিত করা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র এবং একটি প্রজাতন্ত্রও। প্রজাতন্ত্রের অর্থ হল রাষ্ট্রপতির মতো সরকারের প্রধান পদ জনগণ দ্বারা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্তরাষ্ট্র বলা হওয়ার কারণ

যুক্তরাষ্ট্র হল বিশ্বের একটি বিশাল এবং শক্তিশালী দেশ। কিন্তু কেন এটিকে যুক্তরাষ্ট্র বলা হয়? তার পেছনে রয়েছে একটি ইতিহাস।

১৮ শতকের শেষের দিকে, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ১৩টি উপনিবেশ বিদ্রোহ করে এবং স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এরপর এই উপনিবেশগুলি একটি কনফেডারেশন গঠন করে, যাকে “আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র” বলা হত। পরবর্তীতে, ১৭৮৭ সালে, এই কনফেডারেশনটি একটি আরও শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে একটি ফেডারেশনে রূপান্তরিত হয়। এই নতুন সরকারের নাম ছিল “দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা”।

“যুক্তরাষ্ট্র” নামটি ল্যাটিন শব্দ “ফেডারে” থেকে এসেছে, যার অর্থ “একত্রিত করা” বা “একত্রীভূত করা”। এটি সেই সত্যকে বোঝায় যে যুক্তরাষ্ট্রটি আলাদা আলাদা রাজ্যগুলির একটি সমষ্টি যা একটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে একত্রিত হয়েছে।

এই একক নামের অধীনে একত্রিত হওয়া দেশটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। এটি জাতীয় ঐক্য এবং স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে ওঠে এবং আজও তাই রয়েছে।

Shohel Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *